যশোরে তিন সড়কের সংস্কার-৩৮ লাখ টাকা কাজে আসেনি by মনিরুল ইসলাম
গত অর্থবছরে সংস্কার করা যশোর শহরের অধিকাংশ সড়কে বিটুমিনের আস্তরণ (কার্পেটিং) উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এসব সড়কে চলাচল করতে শহরের বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে পৌরসভার অধীনে থাকা শহরের এম এম আলী সড়ক (মাওলানা মোহাম্মদ আলী) ও রেল সড়ক সংস্কারের জন্য ১৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়।
এদিকে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে গরীবশাহ সড়ক সংস্কারের জন্য ব্যয় হয় ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। তবে কিছুদিনের মধ্যে সড়কগুলো আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। প্রায় ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব সড়ক সংস্কার করা হলেও তা কোনো কাজে আসেনি। এতে শুধু টাকার অপচয় হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এম এম আলী সড়ক: শহরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কের উকিল বার মোড় থেকে চিত্রা মোড় পর্যন্ত ৮০০ মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ২০১০ সালের ডিসেম্বরে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজ পায় যশোর-৩ আসনের সাংসদ খালেদুর রহমানের ছেলে মাশুক হাসানের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এই সড়কের সংস্কারকাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে গত নভেম্বরের শেষ দিকে পৌর কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে ওই সড়কে নিরীক্ষা চালায়। নিরীক্ষায় অভিযোগের সত্যতা মেলে। পরে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নয় লাখ টাকা দিয়ে কাজ বন্ধ রাখা হয়। এ সময় সড়কের ম্যাকাডামের (ইট খোয়ার স্তর) কাজ চলছিল। পরে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইটের খোয়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়।
রেল সড়ক: যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে শহরে ঢোকার মূল পথ হচ্ছে রেল সড়ক। দেড় কিলোমিটারের এ সড়কটির বেহাল দশা। বিটুমিনের আস্তরণ উঠে নিচের খোয়া বেরিয়ে পড়েছে। অনেক স্থানে বড় বড় গর্ত দেখা দিয়েছে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, সড়কটি সংস্থারের জন্য ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১৬ লাখ ও ২০১০-১১ অর্থবছরে আট লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অথচ সংস্কারের পর সড়কটি তিন মাসের মধ্যে আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।
পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কবির হাছান বলেন, সড়কটির ভিত অত্যন্ত দুর্বল। ওই সড়কে খাদ্যগুদাম থাকায় ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ ওজনের পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করে, যার জন্য সংস্কার কোনো কাজে আসেনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখা, আদদ্বীন হাসপাতাল, সরকারি বক্ষব্যাধি ক্লিনিক মোড়, রামকৃষ্ণ আশ্রম, বধ্যভূমি এলাকায় সড়কের মাঝে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বেহাল অবস্থার কারণে রিকশা-ভ্যান ও ইজি বাইকের চালকেরা ওই সড়কে যেতে চান না। গেলেও যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
গরীবশাহ সড়ক: সওজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২১ এপ্রিল গরীবশাহ সড়কে সংস্কারকাজ শুরু হয়। জুনে সওজ বিভাগের কাছে কাজটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। দড়াটানা মোড় থেকে বিমান কার্যালয় মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। মেসার্স মহিদুল ইসলাম নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সে (অনুমোদন) যশোর শহরের ঠিকাদার জিয়া উদ্দীন কাজটি করেন। কিন্তু কাজটি বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয় বলে জানা গেছে।
সওজ বিভাগ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, দরপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। কিন্তু ওই সড়কে পয়োনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের ওপর পানি জমে থাকে। যার জন্য দ্রুত সড়কটি নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি জানান, দড়াটানা এলাকার পানি বের করার জন্য ছোট ক্রস ড্রেন নির্মাণসহ সড়কটি সংস্কার ও পালবাড়ী-মনিহার-মড়ুলি সড়কের বকচর এলাকার কিছু অংশ সংস্কারের জন্য ৪০ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম জানান, পৌরসভার অধীনে ১২০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ৮০ ভাগ সড়কের অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। পৌরসভার নিজস্ব অর্থে এক সপ্তাহের মধ্যে সড়ক সংস্কার, ডাস্টবিন ও পয়োনিষ্কাশনের নর্দমা (ড্রেন) নির্মাণের জন্য সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, বেহাল ৮০ ভাগের মধ্যে ২০ ভাগ সড়ক সংস্কার করা সম্ভব হবে।
এম এম আলী সড়ক: শহরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কের উকিল বার মোড় থেকে চিত্রা মোড় পর্যন্ত ৮০০ মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ২০১০ সালের ডিসেম্বরে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজ পায় যশোর-৩ আসনের সাংসদ খালেদুর রহমানের ছেলে মাশুক হাসানের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এই সড়কের সংস্কারকাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে গত নভেম্বরের শেষ দিকে পৌর কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে ওই সড়কে নিরীক্ষা চালায়। নিরীক্ষায় অভিযোগের সত্যতা মেলে। পরে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নয় লাখ টাকা দিয়ে কাজ বন্ধ রাখা হয়। এ সময় সড়কের ম্যাকাডামের (ইট খোয়ার স্তর) কাজ চলছিল। পরে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইটের খোয়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়।
রেল সড়ক: যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে শহরে ঢোকার মূল পথ হচ্ছে রেল সড়ক। দেড় কিলোমিটারের এ সড়কটির বেহাল দশা। বিটুমিনের আস্তরণ উঠে নিচের খোয়া বেরিয়ে পড়েছে। অনেক স্থানে বড় বড় গর্ত দেখা দিয়েছে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, সড়কটি সংস্থারের জন্য ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১৬ লাখ ও ২০১০-১১ অর্থবছরে আট লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অথচ সংস্কারের পর সড়কটি তিন মাসের মধ্যে আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।
পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কবির হাছান বলেন, সড়কটির ভিত অত্যন্ত দুর্বল। ওই সড়কে খাদ্যগুদাম থাকায় ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ ওজনের পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করে, যার জন্য সংস্কার কোনো কাজে আসেনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখা, আদদ্বীন হাসপাতাল, সরকারি বক্ষব্যাধি ক্লিনিক মোড়, রামকৃষ্ণ আশ্রম, বধ্যভূমি এলাকায় সড়কের মাঝে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বেহাল অবস্থার কারণে রিকশা-ভ্যান ও ইজি বাইকের চালকেরা ওই সড়কে যেতে চান না। গেলেও যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
গরীবশাহ সড়ক: সওজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২১ এপ্রিল গরীবশাহ সড়কে সংস্কারকাজ শুরু হয়। জুনে সওজ বিভাগের কাছে কাজটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। দড়াটানা মোড় থেকে বিমান কার্যালয় মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। মেসার্স মহিদুল ইসলাম নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সে (অনুমোদন) যশোর শহরের ঠিকাদার জিয়া উদ্দীন কাজটি করেন। কিন্তু কাজটি বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয় বলে জানা গেছে।
সওজ বিভাগ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, দরপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। কিন্তু ওই সড়কে পয়োনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের ওপর পানি জমে থাকে। যার জন্য দ্রুত সড়কটি নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি জানান, দড়াটানা এলাকার পানি বের করার জন্য ছোট ক্রস ড্রেন নির্মাণসহ সড়কটি সংস্কার ও পালবাড়ী-মনিহার-মড়ুলি সড়কের বকচর এলাকার কিছু অংশ সংস্কারের জন্য ৪০ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম জানান, পৌরসভার অধীনে ১২০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ৮০ ভাগ সড়কের অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। পৌরসভার নিজস্ব অর্থে এক সপ্তাহের মধ্যে সড়ক সংস্কার, ডাস্টবিন ও পয়োনিষ্কাশনের নর্দমা (ড্রেন) নির্মাণের জন্য সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, বেহাল ৮০ ভাগের মধ্যে ২০ ভাগ সড়ক সংস্কার করা সম্ভব হবে।
No comments