সদস্য পদ রক্ষার জন্য সংসদে যাওয়া নয়-শীতকালীন অধিবেশন
২৫ জানুয়ারি শুরু হওয়া জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি কৌশলগত কারণে হলেও যোগ দিতে পারে। বর্তমানে তাদের একটানা অনুপস্থিতি ৫৩ দিন পূর্ণ হয়েছে। আর ৩৭ কার্যদিবসের মধ্যে যোগ না দিলে তাদের আসন শূন্য হবে। তবে সেই যোগদান নিছক সদস্য পদ রক্ষার জন্য হবে না বলেই দেশবাসী আশা করে।
গত তিন বছরে মাত্র ২৫৪ কার্যদিবস সংসদের বৈঠক বসেছে। এর মধ্যে বিএনপি ২০০ দিনই অনুপস্থিত থেকেছে। একাদিক্রমে ৯০ কার্যদিবসের পরিবর্তে শুধু ৯০ দিন অনুপস্থিত থাকলে সংসদের আসন শূন্য হওয়ার একটা প্রস্তাব ছিল। কিন্তু তাতে সরকারি দলও সায় দেয়নি। তাই এটা ধরে নেওয়া যায় যে সংসদ বয়কটের সংস্কৃতি চলছে ও চলবে। ২৫৪ কার্যদিবসের মধ্যে মাত্র ছয় দিন উপস্থিত থেকে বিরোধীদলীয় নেতা তাঁর আসন টিকিয়ে রাখছেন। আর দু-একটি দিন হাজিরা দিয়ে তিনি আগামী দুই বছর পার করতে পারবেন। এর মধ্যে বিরোধী দল ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ দেখলেও আমরা সর্বনাশের ঘণ্টাধ্বনি শুনতে পাই।
সরকারি দল বলে আসছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিরোধী দল সংসদে কথা বলুক, বিল আনুক। এটা আন্তরিক কি না তা প্রমাণ করতেই বিরোধী দলের উচিত সংসদে গিয়ে তাদের বক্তব্য জোরালো ভাষায় উত্থাপন করা। বিরোধী দলের দাবি, সংসদে তাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলার সুযোগ থাকে। বিরোধী দলের উচিত হবে, এই সুযোগ কাজে লাগানো। ২৫৪ কার্যদিবসের মধ্যে মাত্র ৫৪ দিন উপস্থিত থেকে বিরোধী দল কিন্তু ৬৪৪টি মুলতবি প্রস্তাব দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। তারা দেখাতে চাইছে, সংসদের প্রতি তাদের দরদ কোনো অংশে কম নয়। কিন্তু এটি সংসদ কার্যকর করার পথ নয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার গণভবনে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিরোধীদলীয় নেতার উদ্দেশে বলেন, ‘কিছু বলার থাকলে তা সংসদে এসে বলুন। ভিন্ন পথ খুঁজে ক্ষমতায় যাওয়া বাংলাদেশে আর হবে না ইনশাআল্লাহ।’ এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেছেন, ‘অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার বদল বিএনপি সমর্থন করে না।’ এ কথাগুলো সংসদে গিয়ে বললে নিশ্চয়ই তা আরও বেশি তাৎপর্য বহন করত।
সেনাছাউনিতে জন্মের কলঙ্ক নিয়েও বিএনপি গত প্রায় তিন দশকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। জনগণের রায় নিয়ে একাধিকবার সরকার গঠন করেছে। সুতরাং তথ্য-প্রমাণ ছাড়া বিরোধী দলকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আহত করার রাজনীতি যে বুমেরাং হতে পারে, তা সরকারের নীতিনির্ধারকদের উপলব্ধি করতে হবে। একই সঙ্গে এ কথাও বলব, চট্টগ্রামের জনসভায় বিরোধী দলের নেতার ‘সেনাসদস্যদের গুম করা হচ্ছে’ মর্মে ঢালাও মন্তব্যও দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়।
আমরা আশা করব, বিরোধী দল অধিবেশনের প্রথম দিনেই যোগ দেবে এবং পুরো অধিবেশনে সংসদে থেকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। কেননা, নির্বাচকমণ্ডলী সংসদে যাওয়ার জন্যই তাদের নির্বাচিত করেছেন—সদস্য পদ রক্ষার জন্য নয়।
সরকারি দল বলে আসছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিরোধী দল সংসদে কথা বলুক, বিল আনুক। এটা আন্তরিক কি না তা প্রমাণ করতেই বিরোধী দলের উচিত সংসদে গিয়ে তাদের বক্তব্য জোরালো ভাষায় উত্থাপন করা। বিরোধী দলের দাবি, সংসদে তাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলার সুযোগ থাকে। বিরোধী দলের উচিত হবে, এই সুযোগ কাজে লাগানো। ২৫৪ কার্যদিবসের মধ্যে মাত্র ৫৪ দিন উপস্থিত থেকে বিরোধী দল কিন্তু ৬৪৪টি মুলতবি প্রস্তাব দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। তারা দেখাতে চাইছে, সংসদের প্রতি তাদের দরদ কোনো অংশে কম নয়। কিন্তু এটি সংসদ কার্যকর করার পথ নয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার গণভবনে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিরোধীদলীয় নেতার উদ্দেশে বলেন, ‘কিছু বলার থাকলে তা সংসদে এসে বলুন। ভিন্ন পথ খুঁজে ক্ষমতায় যাওয়া বাংলাদেশে আর হবে না ইনশাআল্লাহ।’ এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেছেন, ‘অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার বদল বিএনপি সমর্থন করে না।’ এ কথাগুলো সংসদে গিয়ে বললে নিশ্চয়ই তা আরও বেশি তাৎপর্য বহন করত।
সেনাছাউনিতে জন্মের কলঙ্ক নিয়েও বিএনপি গত প্রায় তিন দশকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। জনগণের রায় নিয়ে একাধিকবার সরকার গঠন করেছে। সুতরাং তথ্য-প্রমাণ ছাড়া বিরোধী দলকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আহত করার রাজনীতি যে বুমেরাং হতে পারে, তা সরকারের নীতিনির্ধারকদের উপলব্ধি করতে হবে। একই সঙ্গে এ কথাও বলব, চট্টগ্রামের জনসভায় বিরোধী দলের নেতার ‘সেনাসদস্যদের গুম করা হচ্ছে’ মর্মে ঢালাও মন্তব্যও দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়।
আমরা আশা করব, বিরোধী দল অধিবেশনের প্রথম দিনেই যোগ দেবে এবং পুরো অধিবেশনে সংসদে থেকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। কেননা, নির্বাচকমণ্ডলী সংসদে যাওয়ার জন্যই তাদের নির্বাচিত করেছেন—সদস্য পদ রক্ষার জন্য নয়।
No comments