ক্ষমা চেয়ে অব্যাহতি পেলেন সেই ইউপি চেয়ারম্যান
গাইবান্ধা সদরের গিদারী ইউনিয়নে ‘আদালত’ পরিচালনাকারী ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাদেককে সতর্ক করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করায় আদালত তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ গতকাল রোববার এ আদেশ দেন।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ গতকাল রোববার এ আদেশ দেন।
ওই ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্দেশে আদালত বলেন, নিজস্ব ক্ষমতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। কারও প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা এবং সূর্যের দিকে মুখ করে দাঁড় করিয়ে রাখার ক্ষমতা তাঁর নেই। জোর করে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নিয়ে আসা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপরাধ। আদালত তাঁকে আরও বলেন, ‘আপনার নিজের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানা উচিত।’
৮ জানুয়ারি প্রথম আলোয় ‘এক চেয়ারম্যানের নিজস্ব আদালত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তা আদালতের নজরে আনা হলে পরদিন হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। একই সঙ্গে ওই ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গতকাল সকালে গোলাম সাদেক, গ্রামপুলিশের সদস্য ও অন্তঃসত্ত্বা কল্পনা বেগমের স্বামী আবদুস সাত্তার হাইকোর্টে হাজির হন। প্রথম আলোর গাইবান্ধা প্রতিনিধি শাহাবুল শাহীনও আদালতে উপস্থিত হন।
বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। প্রায় ২০ মিনিটের শুনানিকালে ওই ইউপি চেয়ারম্যান কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। কয়েক মিনিট পর এক গ্রামপুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। শুরুতে তাঁর পক্ষে আইনজীবী কে এম হাফিজুল আলম বলেন, ‘গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ অনুসারে আদালত গঠন করা হয়। তবে বিচারপ্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি।’
পরে আদালতে আবদুস সাত্তার বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের একটি মামলা দেওয়ানি আদালতে রয়েছে। এর পরও এ নিয়ে চেয়ারম্যান হাজিরের জন্য তাঁকে ধরে আনতে গ্রামপুলিশকে পাঠান। পরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়ে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হাজির করা হয়।
শাহাবুল শাহীন বলেন, সরেজমিনে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য রেকর্ড করা আছে।
পরে আদালত ইউপি চেয়ারম্যানকে সতর্ক করে আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন। পরে আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এক গ্রামপুলিশের প্রতি আদালত রুল জারি করেছেন। তাঁকে আইনজীবীর মাধ্যমে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
৮ জানুয়ারি প্রথম আলোয় ‘এক চেয়ারম্যানের নিজস্ব আদালত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তা আদালতের নজরে আনা হলে পরদিন হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। একই সঙ্গে ওই ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গতকাল সকালে গোলাম সাদেক, গ্রামপুলিশের সদস্য ও অন্তঃসত্ত্বা কল্পনা বেগমের স্বামী আবদুস সাত্তার হাইকোর্টে হাজির হন। প্রথম আলোর গাইবান্ধা প্রতিনিধি শাহাবুল শাহীনও আদালতে উপস্থিত হন।
বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। প্রায় ২০ মিনিটের শুনানিকালে ওই ইউপি চেয়ারম্যান কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। কয়েক মিনিট পর এক গ্রামপুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। শুরুতে তাঁর পক্ষে আইনজীবী কে এম হাফিজুল আলম বলেন, ‘গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ অনুসারে আদালত গঠন করা হয়। তবে বিচারপ্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি।’
পরে আদালতে আবদুস সাত্তার বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের একটি মামলা দেওয়ানি আদালতে রয়েছে। এর পরও এ নিয়ে চেয়ারম্যান হাজিরের জন্য তাঁকে ধরে আনতে গ্রামপুলিশকে পাঠান। পরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়ে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হাজির করা হয়।
শাহাবুল শাহীন বলেন, সরেজমিনে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য রেকর্ড করা আছে।
পরে আদালত ইউপি চেয়ারম্যানকে সতর্ক করে আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন। পরে আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এক গ্রামপুলিশের প্রতি আদালত রুল জারি করেছেন। তাঁকে আইনজীবীর মাধ্যমে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
No comments