শতকোটি টাকার শুল্ক জালিয়াতির তদন্ত শুরু-চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস by সারোয়ার সুমন,
দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ২০ মাসে শতকোটি টাকা শুল্ক জালিয়াতির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিশেষ টাস্কফোর্স। দুর্নীতির টাকায় কোটিপতি বনে যাওয়া কাস্টমস কর্মকর্তাদের পিছু নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত মাসেও কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে চট্টগ্রাম দুদক। অনুসন্ধান পর্যায়ে রয়েছে আরও ২৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির ফাইল।
এদিকে ঘুষ-দুর্নীতি কমাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি শুরু করেছে এনবিআর। ক'দিনে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ও অতিরিক্ত কমিশনারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অন্তত ২০ জনকে বদলি করা হয়। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানে একসঙ্গে এত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বদলির ঘটনা এটাই প্রথম।
কোটিপতিদের খোঁজে দুদক : ঘুষ-দুর্নীতি কমাতে কাস্টমের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে গত মাসেই চারটি মামলা করেছে দুদক। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সাবেক অ্যাপ্রেইজার (বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ কাস্টমস এক্সসাইজ অ্যান্ড ভ্যাটে পরিদর্শক পদে কর্মরত) গোফরান ভঁূইয়া এবং তার স্ত্রী শাহেনা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৭ অক্টোবর মামলা করেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২-এর উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, 'কাস্টমস কর্মকর্তা গোফরান ভঁূইয়া ও তার স্ত্রী ১ কোটি ৯২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। পাশাপাশি তারা ৮৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্যও গোপন করেন।'
এদিকে সম্পদ থাকার তথ্য গোপন করা ও বৈধ আয়ের উৎস দেখাতে না পারায় কাস্টমসের সাবেক সুপারিনটেন্ডেন্ট শেখ আকরাম হোসেন এবং তার দুই স্ত্রীর বিরুদ্ধেও ১৬ অক্টোবর নগরীর ডবলমুরিং থানায় হয়েছে তিনটি মামলা। দায়ের করা
এসব মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, 'সম্প্রতি অবসরকালীন ছুটিতে যাওয়া কাস্টমস কর্মকর্তা আকরাম হোসেন দুদকের নোটিশ পেয়ে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দুদক তদন্ত করে তার সম্পদ পেয়েছে ২ কোটি ৮০ লাখ ৯৬ হাজার টাকার। এই হিসাবে তিনি ৯২ লাখ ৭৩ হাজার টাকার সম্পদ থাকার তথ্য গোপন করেছেন।' এ ছাড়া আকরাম হোসেনের অর্জিত সম্পদের মধ্যে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৭ টাকার বৈধ আয়ের কোনো উৎস পাওয়া যায়নি। একইভাবে তার প্রথম স্ত্রী জাহানারা বেগম ১১ লাখ ৬ হাজার টাকার সম্পদ থাকার তথ্য গোপন করেছেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে ৪৪ লাখ ২৯ হাজার টাকার। তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিনের এমন সম্পদ পাওয়া গেছে ৩০ লাখ ৫৩ হাজার টাকার। তথ্য গোপন করেছেন তিনি ২৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকার।
শতকোটি টাকার জালিয়াতি তদন্ত করছে টাস্কফোর্স : ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১১ সালের মার্চ পর্যন্ত মাত্র ২০ মাসে শতকোটি টাকার শুল্ক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম কাস্টমে। ১২টি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংঘটিত এ জালিয়াতি তদন্ত করছে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। তারা ১২টি সিঅ্যান্ডএফের মাধ্যমে খালাসকৃত সব পণ্যের নথি তলব করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ১২ রকমের তথ্য চেয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমে চিঠিও পাঠিয়েছে তারা। ২৮ এপ্রিল উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
টাস্কফোর্স যেসব প্রতিষ্ঠানের আমদানির তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সেগুলোর মধ্যে আছে_ বুলবুল এন্টারপ্রাইজ (প্রা.) লিমিটেড, অয়ন ট্রেডিং করপোরেশন, সৈয়দ ট্রেড, গঙ্গা ট্রেডার্স, ক্রাউন ইন্টারন্যাশনাল, মাহবুব শিপিং এজেন্সি, জুব্বের ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, সূচনা ট্রেডার্স, লিলি এন্টারপ্রাইজ (প্রা.) লিমিটেড, জিএন ইসলাম এন্টারপ্রাইজ, আল আমীন ট্রেডিং সিন্ডিকেট ও ডায়মন্ড ট্রেডিং করপোরেশন। নির্দিষ্ট সময়ে এ ১২টি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মাধ্যমে যেসব ব্যবসায়ীর পণ্য খালাস হয়েছে তাদের তথ্যও জানতে চেয়েছে টাস্কফোর্স।
গণহারে বদলির রেকর্ড : চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গণহারে বদলি করছে এনবিআর। দুর্নীতি এবং আমদানি ও রফতানি শাখাকে একীভূত করার বিষয়টি সামনে রেখে এনবিআর এরই মধ্যে কাস্টমের কিছু কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করেছে। কাউকে বদলি করেছে পদোন্নতি দিয়ে। কাস্টমের আমদানি শাখার কমিশনার সৈয়দ গোলাম কিবরিয়াকে চট্টগ্রাম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয়েছে। শতকোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির ঘটনায় কমিশনারের নিকটাত্মীয়ের প্রতিষ্ঠান থাকায় তাকে বদলি করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ও এর আগে সুপারিশ করেছিল। অন্যান্য কর্মকর্তার মধ্যে রফতানি কমিশনার জামাল হোসেনকে চট্টগ্রাম বন্ড কমিশনারেটে, যুগ্ম কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেনকে পদোন্নতি দিয়ে চট্টগ্রাম ভ্যাটে, রফতানির অতিরিক্ত কমিশনার মুস্তবা আলীকে ঢাকা এনবিআরে, ডেপুটি কমিশনার নাহিদা ফরিদীকে পদোন্নতি দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটে, ডেপুটি কমিশনার সামশুল ইসলামকে পদোন্নতি দিয়ে কুমিল্লায়, ডেপুটি কমিশনার ফজলুল হককে ঢাকা এনবিআরে এবং সহকারী কমিশনার বিনোদ বিহারী ভৌমিককে কুমিল্লায় বদলি করা হয়েছে। বিপরীতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার পদে ঢাকা বন্ডের কমিশনার ড. মারুফুল ইসলামকে, অতিরিক্ত কমিশনার পদে চট্টগ্রাম বন্ডে থাকা ড. মতিউর রহমানকে এবং যুগ্ম কমিশনারের পদে ঢাকা শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদফতরের পরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমানকে বদলি করা হয়েছে।
যাদের দুর্নীতির ফাইল রয়েছে অনুসন্ধান পর্যায়ে : চট্টগ্রাম কাস্টমের আরও যেসব কর্মকর্তার ফাইল দুদক যাচাই-বাছাই করছে তাদের মধ্যে আছেন_ সহকারী কমিশনার মোকাররম হোসেন, প্রিন্সিপাল অ্যাপ্রেইজার হায়দার আলী গাজী, আমদানি শাখার প্রধান সহকারী মোঃ আবদুল বাকি, অ্যাপ্রেইজার আমিনুল ইসলাম, মোঃ আলী চৌধুরী, কামরুল ইসলাম খান, মহসিন ভঁূইয়া, নজরুল ইসলাম আকন্দ, নুর মোহাম্মদ চৌধুরী, আবুল কাশেম, জাকির হোসেন, কামরুল হাসান, মোজাম্মেল হক, কাজী মফিজুল হক, হরিশ চন্দ্র বর্মা, মোঃ আবু মুছা, গোলাম রহমান, মাহফুজ আলী প্রধান, হাফিজুর রহমান, সিকদার মুজিবুর রহমান, প্রিন্সিপাল অ্যাপ্রেইজার হুমায়ুন কবির, শেখ শওকত আলী, কাজী আবদুল বাসিত, সৈয়দ মজিবুর রহমান, এআইআর শাখার মঞ্জুরুল হক চৌধুরী, জাহাঙ্গীর খান এবং প্রধান সহকারী আবদুস সাত্তার।
চট্টগ্রাম দুদকের বিভাগীয় পরিচালক মেজর ফয়সাল পাশা বলেন, বন্দর কাস্টমসহ বিভিন্ন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এসব প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি কমাতে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম দুদক । এরই মধ্যে কয়েকজন কাস্টমস কর্মকর্তা ও তাদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই পর্যায়ে আছে আরও অনেকের দুর্নীতির ফাইল।
কোটিপতিদের খোঁজে দুদক : ঘুষ-দুর্নীতি কমাতে কাস্টমের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে গত মাসেই চারটি মামলা করেছে দুদক। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সাবেক অ্যাপ্রেইজার (বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ কাস্টমস এক্সসাইজ অ্যান্ড ভ্যাটে পরিদর্শক পদে কর্মরত) গোফরান ভঁূইয়া এবং তার স্ত্রী শাহেনা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৭ অক্টোবর মামলা করেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২-এর উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, 'কাস্টমস কর্মকর্তা গোফরান ভঁূইয়া ও তার স্ত্রী ১ কোটি ৯২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। পাশাপাশি তারা ৮৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্যও গোপন করেন।'
এদিকে সম্পদ থাকার তথ্য গোপন করা ও বৈধ আয়ের উৎস দেখাতে না পারায় কাস্টমসের সাবেক সুপারিনটেন্ডেন্ট শেখ আকরাম হোসেন এবং তার দুই স্ত্রীর বিরুদ্ধেও ১৬ অক্টোবর নগরীর ডবলমুরিং থানায় হয়েছে তিনটি মামলা। দায়ের করা
এসব মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, 'সম্প্রতি অবসরকালীন ছুটিতে যাওয়া কাস্টমস কর্মকর্তা আকরাম হোসেন দুদকের নোটিশ পেয়ে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দুদক তদন্ত করে তার সম্পদ পেয়েছে ২ কোটি ৮০ লাখ ৯৬ হাজার টাকার। এই হিসাবে তিনি ৯২ লাখ ৭৩ হাজার টাকার সম্পদ থাকার তথ্য গোপন করেছেন।' এ ছাড়া আকরাম হোসেনের অর্জিত সম্পদের মধ্যে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৭ টাকার বৈধ আয়ের কোনো উৎস পাওয়া যায়নি। একইভাবে তার প্রথম স্ত্রী জাহানারা বেগম ১১ লাখ ৬ হাজার টাকার সম্পদ থাকার তথ্য গোপন করেছেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে ৪৪ লাখ ২৯ হাজার টাকার। তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিনের এমন সম্পদ পাওয়া গেছে ৩০ লাখ ৫৩ হাজার টাকার। তথ্য গোপন করেছেন তিনি ২৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকার।
শতকোটি টাকার জালিয়াতি তদন্ত করছে টাস্কফোর্স : ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১১ সালের মার্চ পর্যন্ত মাত্র ২০ মাসে শতকোটি টাকার শুল্ক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম কাস্টমে। ১২টি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংঘটিত এ জালিয়াতি তদন্ত করছে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। তারা ১২টি সিঅ্যান্ডএফের মাধ্যমে খালাসকৃত সব পণ্যের নথি তলব করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ১২ রকমের তথ্য চেয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমে চিঠিও পাঠিয়েছে তারা। ২৮ এপ্রিল উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
টাস্কফোর্স যেসব প্রতিষ্ঠানের আমদানির তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সেগুলোর মধ্যে আছে_ বুলবুল এন্টারপ্রাইজ (প্রা.) লিমিটেড, অয়ন ট্রেডিং করপোরেশন, সৈয়দ ট্রেড, গঙ্গা ট্রেডার্স, ক্রাউন ইন্টারন্যাশনাল, মাহবুব শিপিং এজেন্সি, জুব্বের ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, সূচনা ট্রেডার্স, লিলি এন্টারপ্রাইজ (প্রা.) লিমিটেড, জিএন ইসলাম এন্টারপ্রাইজ, আল আমীন ট্রেডিং সিন্ডিকেট ও ডায়মন্ড ট্রেডিং করপোরেশন। নির্দিষ্ট সময়ে এ ১২টি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মাধ্যমে যেসব ব্যবসায়ীর পণ্য খালাস হয়েছে তাদের তথ্যও জানতে চেয়েছে টাস্কফোর্স।
গণহারে বদলির রেকর্ড : চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গণহারে বদলি করছে এনবিআর। দুর্নীতি এবং আমদানি ও রফতানি শাখাকে একীভূত করার বিষয়টি সামনে রেখে এনবিআর এরই মধ্যে কাস্টমের কিছু কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করেছে। কাউকে বদলি করেছে পদোন্নতি দিয়ে। কাস্টমের আমদানি শাখার কমিশনার সৈয়দ গোলাম কিবরিয়াকে চট্টগ্রাম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয়েছে। শতকোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির ঘটনায় কমিশনারের নিকটাত্মীয়ের প্রতিষ্ঠান থাকায় তাকে বদলি করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ও এর আগে সুপারিশ করেছিল। অন্যান্য কর্মকর্তার মধ্যে রফতানি কমিশনার জামাল হোসেনকে চট্টগ্রাম বন্ড কমিশনারেটে, যুগ্ম কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেনকে পদোন্নতি দিয়ে চট্টগ্রাম ভ্যাটে, রফতানির অতিরিক্ত কমিশনার মুস্তবা আলীকে ঢাকা এনবিআরে, ডেপুটি কমিশনার নাহিদা ফরিদীকে পদোন্নতি দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটে, ডেপুটি কমিশনার সামশুল ইসলামকে পদোন্নতি দিয়ে কুমিল্লায়, ডেপুটি কমিশনার ফজলুল হককে ঢাকা এনবিআরে এবং সহকারী কমিশনার বিনোদ বিহারী ভৌমিককে কুমিল্লায় বদলি করা হয়েছে। বিপরীতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার পদে ঢাকা বন্ডের কমিশনার ড. মারুফুল ইসলামকে, অতিরিক্ত কমিশনার পদে চট্টগ্রাম বন্ডে থাকা ড. মতিউর রহমানকে এবং যুগ্ম কমিশনারের পদে ঢাকা শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদফতরের পরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমানকে বদলি করা হয়েছে।
যাদের দুর্নীতির ফাইল রয়েছে অনুসন্ধান পর্যায়ে : চট্টগ্রাম কাস্টমের আরও যেসব কর্মকর্তার ফাইল দুদক যাচাই-বাছাই করছে তাদের মধ্যে আছেন_ সহকারী কমিশনার মোকাররম হোসেন, প্রিন্সিপাল অ্যাপ্রেইজার হায়দার আলী গাজী, আমদানি শাখার প্রধান সহকারী মোঃ আবদুল বাকি, অ্যাপ্রেইজার আমিনুল ইসলাম, মোঃ আলী চৌধুরী, কামরুল ইসলাম খান, মহসিন ভঁূইয়া, নজরুল ইসলাম আকন্দ, নুর মোহাম্মদ চৌধুরী, আবুল কাশেম, জাকির হোসেন, কামরুল হাসান, মোজাম্মেল হক, কাজী মফিজুল হক, হরিশ চন্দ্র বর্মা, মোঃ আবু মুছা, গোলাম রহমান, মাহফুজ আলী প্রধান, হাফিজুর রহমান, সিকদার মুজিবুর রহমান, প্রিন্সিপাল অ্যাপ্রেইজার হুমায়ুন কবির, শেখ শওকত আলী, কাজী আবদুল বাসিত, সৈয়দ মজিবুর রহমান, এআইআর শাখার মঞ্জুরুল হক চৌধুরী, জাহাঙ্গীর খান এবং প্রধান সহকারী আবদুস সাত্তার।
চট্টগ্রাম দুদকের বিভাগীয় পরিচালক মেজর ফয়সাল পাশা বলেন, বন্দর কাস্টমসহ বিভিন্ন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এসব প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি কমাতে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম দুদক । এরই মধ্যে কয়েকজন কাস্টমস কর্মকর্তা ও তাদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই পর্যায়ে আছে আরও অনেকের দুর্নীতির ফাইল।
No comments