চিঠিপত্র-বেসরকারি ব্যাংকে নিয়োগ বৈষম্য
সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদপত্রে কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাংকগুলো আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে স্নাতক শ্রেণীতে পঠিত বিষয় নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় একটি বৈষম্য সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যেমন বিজ্ঞান অনুষদের ক্ষেত্রে গণিত, পরিসংখ্যান, মানবিক অনুষদের ক্ষেত্রে ইংরেজি, আইন এবং সামাজিক বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোর মধ্য থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও লোকপ্রশাসন চাওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাণিজ্য অনুষদ ব্যতিক্রম।
বিজ্ঞপ্তিতে বাণিজ্য অনুষদের সব বিভাগের শিক্ষার্থীকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাংলা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী যদি সরকারি ব্যাংকগুলোতে সবার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সমান তালে এগিয়ে যেতে পারে, তাহলে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে কেন পারবে না? কেন এই পক্ষপাতিত্ব? স্বীকার করছি, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সেবার মান সরকারি ব্যাংকগুলোর তুলনায় অনেক ভালো। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বাণিজ্যিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের শুধু বাণিজ্যই শিক্ষা দেওয়া হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা মানবিক শিক্ষা অর্জনের যথেষ্ট সুযোগ পায় না। ব্যাংক একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। এখানে সব শ্রেণীর মানুষের আনাগোনা। তাই এখানে সব বিভাগের শিক্ষার্থীদেরও সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।
কামিনুর ইসলাম
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচ্ছন্ন ঢাকা
মেগাসিটি হিসেবে ঢাকা বিশ্বের কাছে সুপরিচিত। এর ওপর দিয়ে গড়িয়েছে বুড়িগঙ্গার অনেক জল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, ঢাকার অতীতের জৌলুস বা ঐতিহ্যের ছাপ এখন আর পাওয়া যায় না। অব্যবস্থাপনার কারণে ঢাকা এখন পরিণত হয়েছে আবর্জনার নগরে। নগরীর নির্দিষ্ট স্থানে ডাস্টবিন থাকলেও যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়। নাগরিকরা এর দায় কোনোভাবে এড়াতে পারে না। এ জন্য নাগরিকদের অসচেতনতাই মূলত দায়ী। আমরা বাদাম, ঝালমুড়ি, বিস্কুট, চিপসের প্যাকেট পর্যন্ত যেখানে-সেখানে ফেলে রাখি। এসব আবর্জনা স্তূপীকৃত হয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়। বায়ুদূষণ হয়। আবর্জনা থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধের কারণে রাস্তায় হাঁটা যায় না। এ ছাড়া আমাদের মধ্যে আরেকটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ডাস্টবিনে ময়লা রাখতে গিয়ে আমরা একটু পাশে রেখে দিই। যার ফলে ডাস্টবিনে ময়লা না থাকলেও আবর্জনায় স্তূপীকৃত হয়ে যায় ডাস্টবিনের আশপাশের জায়গা। এটা ঠিক যে, ডিসিসির কর্মীরা প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সত্যি কথা হলো, আমাদের অবহেলার কারণে পরিবেশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আর পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি আমরাই। পরিবেশ সুরক্ষার মতো এত বড় দায়িত্ব সরকারের একার পক্ষে পালন করা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, ঐকান্তিক সহযোগিতা। নির্মল বায়ুর শ্বাস নিতে ঢাকার নাগরিক সমাজের কাছে আমার অনুরোধ, আসুন আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখি।
সাইফুল্লাহ ওমর নাসিফ
শিক্ষার্থী, নটর ডেম কলেজ, ঢাকা
রাস্তা সংস্কার চাই
আমরা বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার বাসিন্দা। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজে আমাদের জেলা শহর বগুড়ায় যেতে হয়। জেলা শহরে যাওয়ার জন্য এই এলাকার মানুষ মূলত খয়রাপুর-বারোপুর রাস্তাটিই ব্যবহার করে। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় প্রায় ২৫ কিলোমিটার। রাস্তাটির অবস্থা এতই খারাপ যে, চলাচল করতে লোকজনকে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ছাড়া রাস্তাটি এত সংকীর্ণ যে দুটি গাড়ি সহজে ক্রসিং করতে পারে না। অসাবধানতাবশত ক্রসিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তায় কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক আলো নেই। নিয়মিত সংস্কার না করার কারণে রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গেছে। এ কারণে গাড়ি চলাচল করতে সমস্যা হয়। তারপরও মানুষ তাদের প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। অন্ধকার রাতে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। ভাঙা রাস্তার কারণে রাতের আঁধারে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্বে শীর্ষ দেশ জাপান। তার পরের অবস্থান বাংলাদেশের। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ ভাঙা রাস্তা। তাই সড়ক দুর্ঘটনা থেকে এ এলাকাবাসীকে মুক্তি দিতে রাস্তাটি সংস্কার করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জাহিদ হাসান (আকাশ)
শিবগঞ্জ, বগুড়া
কামিনুর ইসলাম
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচ্ছন্ন ঢাকা
মেগাসিটি হিসেবে ঢাকা বিশ্বের কাছে সুপরিচিত। এর ওপর দিয়ে গড়িয়েছে বুড়িগঙ্গার অনেক জল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, ঢাকার অতীতের জৌলুস বা ঐতিহ্যের ছাপ এখন আর পাওয়া যায় না। অব্যবস্থাপনার কারণে ঢাকা এখন পরিণত হয়েছে আবর্জনার নগরে। নগরীর নির্দিষ্ট স্থানে ডাস্টবিন থাকলেও যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়। নাগরিকরা এর দায় কোনোভাবে এড়াতে পারে না। এ জন্য নাগরিকদের অসচেতনতাই মূলত দায়ী। আমরা বাদাম, ঝালমুড়ি, বিস্কুট, চিপসের প্যাকেট পর্যন্ত যেখানে-সেখানে ফেলে রাখি। এসব আবর্জনা স্তূপীকৃত হয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়। বায়ুদূষণ হয়। আবর্জনা থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধের কারণে রাস্তায় হাঁটা যায় না। এ ছাড়া আমাদের মধ্যে আরেকটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ডাস্টবিনে ময়লা রাখতে গিয়ে আমরা একটু পাশে রেখে দিই। যার ফলে ডাস্টবিনে ময়লা না থাকলেও আবর্জনায় স্তূপীকৃত হয়ে যায় ডাস্টবিনের আশপাশের জায়গা। এটা ঠিক যে, ডিসিসির কর্মীরা প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সত্যি কথা হলো, আমাদের অবহেলার কারণে পরিবেশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আর পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি আমরাই। পরিবেশ সুরক্ষার মতো এত বড় দায়িত্ব সরকারের একার পক্ষে পালন করা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, ঐকান্তিক সহযোগিতা। নির্মল বায়ুর শ্বাস নিতে ঢাকার নাগরিক সমাজের কাছে আমার অনুরোধ, আসুন আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখি।
সাইফুল্লাহ ওমর নাসিফ
শিক্ষার্থী, নটর ডেম কলেজ, ঢাকা
রাস্তা সংস্কার চাই
আমরা বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার বাসিন্দা। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজে আমাদের জেলা শহর বগুড়ায় যেতে হয়। জেলা শহরে যাওয়ার জন্য এই এলাকার মানুষ মূলত খয়রাপুর-বারোপুর রাস্তাটিই ব্যবহার করে। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় প্রায় ২৫ কিলোমিটার। রাস্তাটির অবস্থা এতই খারাপ যে, চলাচল করতে লোকজনকে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ছাড়া রাস্তাটি এত সংকীর্ণ যে দুটি গাড়ি সহজে ক্রসিং করতে পারে না। অসাবধানতাবশত ক্রসিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তায় কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক আলো নেই। নিয়মিত সংস্কার না করার কারণে রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গেছে। এ কারণে গাড়ি চলাচল করতে সমস্যা হয়। তারপরও মানুষ তাদের প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। অন্ধকার রাতে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। ভাঙা রাস্তার কারণে রাতের আঁধারে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্বে শীর্ষ দেশ জাপান। তার পরের অবস্থান বাংলাদেশের। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ ভাঙা রাস্তা। তাই সড়ক দুর্ঘটনা থেকে এ এলাকাবাসীকে মুক্তি দিতে রাস্তাটি সংস্কার করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জাহিদ হাসান (আকাশ)
শিবগঞ্জ, বগুড়া
No comments