অ্যাপেক সম্মেলনেও রিপাবলিকান প্রার্থীদের সমালোচনায় ওবামা
ইরান ও আন্তর্জাতিক অন্যান্য ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন-প্রত্যাশী মিট রোমনির অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। একই সঙ্গে মার্কিন অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য নতুন কংগ্রেস প্রয়োজন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
নিজের রাজ্য হাওয়াইয়ে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা ফোরামের (অ্যাপেক) দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবামা তাঁর সরকারের পররাষ্ট্রনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন।
ওবামা বলেন, চীনের সঙ্গে তাঁর সরকারের খোলামেলা সম্পর্কের কারণে অনেক লাভ হয়েছে। এতে করে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে একটি সম্মিলিত অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন-প্রত্যাশী মিট রোমনি সম্প্রতি বলেছেন, ওবামা পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে ফেলতে পারবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরানকে একা করে ফেলতে ধীরস্থির ও জোরালো অগ্রগতি হচ্ছে।
ওবামা বলেন, ইরানের ওপর তিনি যে অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, তাতে দেশটির অর্থনীতির ওপর ভয়াবহ চাপ পড়েছে। তিনি আরও বলেন, তিনি সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে এবং এ ক্ষেত্রে সব পথ খোলা আছে।
এ ছাড়া সন্দেহভাজন বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওয়াটারবোর্ডিংসহ অন্যান্য জিজ্ঞাসাবাদ কৌশল বাতিল করে ওবামা ঠিক করেননি বলে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থীরা যে মন্তব্য করেছেন, এরও সমালোচনা করেন ওবামা।
ওবামা বলেন, ‘তারা ভুল বলছে। ওয়াটারবোর্ডিং নির্যাতন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী।’
এর আগে সম্মেলনে ওবামা বলেন, এ অঞ্চলের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপের (টিপিপি) মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি এ কথা জোর দিয়ে জানাতে চাই যে মার্কিন অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর গুরুত্ব অনেক বেশি। এ জন্য আমরা এটিকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করি। এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাফল্য ছাড়া আমরাও আমাদের লোকজনের চাকরি ফিরিয়ে দিতে পারব না, আমাদের অর্থনীতি বিকশিত হবে না এবং সুযোগ বাড়াতে পারব না। এ জন্যই আমরা ওই অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি।’
এ ছাড়া অ্যাপেক আরও যে কারণে ওবামার কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে, তা হলো চীন, রাশিয়া ও জাপানসহ ২১টি দেশের এ সংস্থা ২০১৫ সাল নাগাদ পরিবেশ বাণিজ্যের ওপর শুল্ক বাধা কমানো বা প্রত্যাহারের প্রুতিশ্রুতি দিয়েছে।
চীনের আপত্তি সত্ত্বেও অ্যাপেক এই ঐচ্ছিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে ২০৩৫ সাল নাগাদ তারা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর জ্বালানির ব্যবহার ৪৫ শতাংশ কাটছাঁট করবে। চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ লক্ষ্য উচ্চাভিলাষী।
এদিকে সম্মেলন শেষে চীনের মুদ্রা ইউয়ান নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ওবামা। তিনি অভিযোগ করেন, ইউয়ানের ন্যায্য বাজারমূল্য নির্ধারণে চীন সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ কারণে চীনা রপ্তানিকারকেরা অন্যায্য সুবিধা নিচ্ছেন।
ওবামা বলেন, ‘ইউয়ানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলোরও একই কথা। আমরা এখনো জোর দিয়ে বলছি, অন্যদের জন্য যে নিয়ম, চীনকেও সেই একই নিয়ম মেনে চলতে হবে। আমরা চাই না যে ইউয়ান যুক্তরাষ্ট্র বা মার্কিন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অন্যায় সুবিধা নিক।
নিজের রাজ্য হাওয়াইয়ে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা ফোরামের (অ্যাপেক) দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবামা তাঁর সরকারের পররাষ্ট্রনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন।
ওবামা বলেন, চীনের সঙ্গে তাঁর সরকারের খোলামেলা সম্পর্কের কারণে অনেক লাভ হয়েছে। এতে করে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে একটি সম্মিলিত অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন-প্রত্যাশী মিট রোমনি সম্প্রতি বলেছেন, ওবামা পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে ফেলতে পারবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরানকে একা করে ফেলতে ধীরস্থির ও জোরালো অগ্রগতি হচ্ছে।
ওবামা বলেন, ইরানের ওপর তিনি যে অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, তাতে দেশটির অর্থনীতির ওপর ভয়াবহ চাপ পড়েছে। তিনি আরও বলেন, তিনি সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে এবং এ ক্ষেত্রে সব পথ খোলা আছে।
এ ছাড়া সন্দেহভাজন বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওয়াটারবোর্ডিংসহ অন্যান্য জিজ্ঞাসাবাদ কৌশল বাতিল করে ওবামা ঠিক করেননি বলে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থীরা যে মন্তব্য করেছেন, এরও সমালোচনা করেন ওবামা।
ওবামা বলেন, ‘তারা ভুল বলছে। ওয়াটারবোর্ডিং নির্যাতন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী।’
এর আগে সম্মেলনে ওবামা বলেন, এ অঞ্চলের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপের (টিপিপি) মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি এ কথা জোর দিয়ে জানাতে চাই যে মার্কিন অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর গুরুত্ব অনেক বেশি। এ জন্য আমরা এটিকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করি। এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাফল্য ছাড়া আমরাও আমাদের লোকজনের চাকরি ফিরিয়ে দিতে পারব না, আমাদের অর্থনীতি বিকশিত হবে না এবং সুযোগ বাড়াতে পারব না। এ জন্যই আমরা ওই অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি।’
এ ছাড়া অ্যাপেক আরও যে কারণে ওবামার কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে, তা হলো চীন, রাশিয়া ও জাপানসহ ২১টি দেশের এ সংস্থা ২০১৫ সাল নাগাদ পরিবেশ বাণিজ্যের ওপর শুল্ক বাধা কমানো বা প্রত্যাহারের প্রুতিশ্রুতি দিয়েছে।
চীনের আপত্তি সত্ত্বেও অ্যাপেক এই ঐচ্ছিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে ২০৩৫ সাল নাগাদ তারা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর জ্বালানির ব্যবহার ৪৫ শতাংশ কাটছাঁট করবে। চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ লক্ষ্য উচ্চাভিলাষী।
এদিকে সম্মেলন শেষে চীনের মুদ্রা ইউয়ান নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ওবামা। তিনি অভিযোগ করেন, ইউয়ানের ন্যায্য বাজারমূল্য নির্ধারণে চীন সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ কারণে চীনা রপ্তানিকারকেরা অন্যায্য সুবিধা নিচ্ছেন।
ওবামা বলেন, ‘ইউয়ানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলোরও একই কথা। আমরা এখনো জোর দিয়ে বলছি, অন্যদের জন্য যে নিয়ম, চীনকেও সেই একই নিয়ম মেনে চলতে হবে। আমরা চাই না যে ইউয়ান যুক্তরাষ্ট্র বা মার্কিন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অন্যায় সুবিধা নিক।
No comments