ঈদের ছুটিতে স্বাস্থ্যসেবা-ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়
এবার ঈদের ছুটির সময় রাজধানীর সরকারি হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসাসেবায় তেমন বিঘ্ন ঘটেনি। জেলা ও উপজেলা সদর থেকেও চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তাই বলে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর সব বিভাগেই পর্যাপ্ত ডাক্তার ছিলেন এটা দাবি করা যায় না। তবে ছুটির সময় সরকারি হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগে অন্তত চিকিৎসকের দেখা মিলেছে।
ছুটির সময় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর অধিকাংশ বন্ধ থাকায় রোগীদের অনেকেই শেষ চেষ্টা হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শরণাপন্ন হন। সেখানে গিয়ে চিকিৎসাসেবা পেয়ে রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। আসলে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঈদের ছুটির সময় জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ব্যাপারে আগাম ব্যবস্থা করেছিল বলেই এ ব্যাপারে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে একই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে সরকারি-বেসরকারি এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সেবা বাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রশ্ন হলো, ঈদের ছুটির সময় দেশের সব হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার মতো ডাক্তার ও নার্স মিলবে কি-না। যেসব ব্যক্তি চিকিৎসাসেবাকেই জীবনের মহান ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছেন, সেই স্বল্পসংখ্যককে অবশ্যই ঈদের ছুটিতেও পাওয়া যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। যাদের স্বামী বা স্ত্রী চাকরি করেন না সেসব চিকিৎসকের একটি ক্ষুদ্র অংশও এ কাজে এগিয়ে আসতে পারে। তা ছাড়া হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্ম অবলম্বনকারীদের অধিকাংশই স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসতে পারেন। এ ব্যাপারে ছুটি ও বিশেষ সুবিধা প্রদানের বিষয়টি সিদ্ধান্ত তালিকায় রাখা উচিত। এভাবে সব ধরনের লম্বা ছুটির সময়ও জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব।
সরকারি হাসপাতাল বিশেষ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষ এবার ঈদের ছুটির সময় জরুরি বিভাগ খোলা রেখে রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের যে ব্যবস্থা করেছে তা অনুসরণযোগ্য। এ জন্য তাদের অভিনন্দন জানাই। ভবিষ্যতেও একই ধরনের চিকিৎসাসেবা দেশবাসী সব হাসপাতাল থেকে পাবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
সরকারি হাসপাতাল বিশেষ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষ এবার ঈদের ছুটির সময় জরুরি বিভাগ খোলা রেখে রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের যে ব্যবস্থা করেছে তা অনুসরণযোগ্য। এ জন্য তাদের অভিনন্দন জানাই। ভবিষ্যতেও একই ধরনের চিকিৎসাসেবা দেশবাসী সব হাসপাতাল থেকে পাবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
No comments