দেয়াল ধসে স্কুলছাত্রের মৃত্যু-অঙ্কুরেই ঝরে পড়ল একটি স্বপ্ন
বাবার ইচ্ছা, ছেলে হবে চিকিৎসক। তবে মায়ের চাওয়া ছিল ভিন্ন। এ নিয়ে দু'জনের মতবিরোধও ছিল। কিন্তু সে সবের কিছুই হওয়া হলো না আট বছরের ফাহিমের। স্কুলের টিফিন আওয়ারে খেলা করতে গিয়ে নির্মাণাধীন ঘরের ইটের দেয়াল ভেঙে পড়ে তার ওপর। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এভাবে অঙ্কুরেই ঝরে পড়ল একটি স্বপ্ন। করুণ এ ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া এলাকায়।
গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম শ্রাবণ ও উল্লাস নামে আরও দুই শিশু আহত হয়েছে। ফাহিমের মৃত্যুতে তার স্কুলে তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইনস্টিটিউটের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র ছিল জোবায়ের আহমেদ ফাহিম। মঙ্গলবার সকালে ফাহিম অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে স্কুলের একটি নির্মাণাধীন টিনশেড ঘরের পাশে খেলছিল। তারা ঝুলে থাকা একটি রশি ধরে টান দিলে ইটের দেয়ালের একাংশ ধসে পড়ে। এতে তিন ছাত্র আহত হয়। তাদের তখনই উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু
ফাহিমকে বাঁচানো যায়নি। ফাহিম বাবা-মায়ের সঙ্গে দক্ষিণ বনশ্রীর একটি বাসায় থাকত। তার বাবা মনিরুজ্জামান সেলিম পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) একজন উপ-পরিদর্শক।
ফাহিমের বাবা মনিরুজ্জামান সেলিম হাসপাতালে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এভাবে আমার স্বপ্নের অপমৃত্যু হবে কোনোদিন ভাবিনি। আজ ফাহিম স্কুলে যেতে চায়নি। ওর মা জয়নব বেগম তারপরও জোর করে স্কুলে পাঠায়। ছেলে আমার স্কুল থেকে আর বাসায় ফিরল না। ফাহিমের বড় বোন রিপা পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে।
ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ফেরদৌসী বেগম সমকালকে বলেন, বাচ্চারা দুষ্টুমি করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন তো আদালতের নির্দেশের কারণে শিক্ষার্থীদের শাসনও করা যায় না।
ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক সমকালকে বলেন, সকাল ৯টা ২৫ মিনিট থেকে স্কুলের প্রভাতি শাখার নাশতার বিরতি (টিফিন পিরিয়ড) চলছিল। এ সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। স্কুল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানেই কয়েকটি শ্রেণীকক্ষ নির্মাণের কাজ চলছে। এরই একটির দেয়াল ধসে ছাত্ররা আহত হয়। এটা আমাদেরই অসাবধানতার ফলে ঘটেছে, এ জন্য আমরাই দায়ী।
ফাহিমকে বাঁচানো যায়নি। ফাহিম বাবা-মায়ের সঙ্গে দক্ষিণ বনশ্রীর একটি বাসায় থাকত। তার বাবা মনিরুজ্জামান সেলিম পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) একজন উপ-পরিদর্শক।
ফাহিমের বাবা মনিরুজ্জামান সেলিম হাসপাতালে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এভাবে আমার স্বপ্নের অপমৃত্যু হবে কোনোদিন ভাবিনি। আজ ফাহিম স্কুলে যেতে চায়নি। ওর মা জয়নব বেগম তারপরও জোর করে স্কুলে পাঠায়। ছেলে আমার স্কুল থেকে আর বাসায় ফিরল না। ফাহিমের বড় বোন রিপা পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে।
ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ফেরদৌসী বেগম সমকালকে বলেন, বাচ্চারা দুষ্টুমি করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন তো আদালতের নির্দেশের কারণে শিক্ষার্থীদের শাসনও করা যায় না।
ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক সমকালকে বলেন, সকাল ৯টা ২৫ মিনিট থেকে স্কুলের প্রভাতি শাখার নাশতার বিরতি (টিফিন পিরিয়ড) চলছিল। এ সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। স্কুল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানেই কয়েকটি শ্রেণীকক্ষ নির্মাণের কাজ চলছে। এরই একটির দেয়াল ধসে ছাত্ররা আহত হয়। এটা আমাদেরই অসাবধানতার ফলে ঘটেছে, এ জন্য আমরাই দায়ী।
No comments