ভারতে পেট্রলের দাম কমেছে
ভারতে পেট্রলের দাম কমেছে। লিটার প্রতি ২ দশমিক ২৫ রুপি করে কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয় গতকাল মঙ্গলবার। আজ বুধবার থেকে এই দাম কার্যকর হবে। ২০০৯ সালের জানুয়ারির পর এবারই প্রথম পেট্রলের দাম কমানো হলো। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় এই দাম কমানো সম্ভব হলো বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
এ মাসের শুরুর দিকে ভারতের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত তেল কম্পানিগুলো পেট্রলের দাম লিটারপ্রতি ১ দশমিক ৮ রুপি বাড়িয়ে দেয়। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত তিনটি খুচরা জ্বালানি কম্পানির মধ্যে একটির শীর্ষ নির্বাহী জানান, নভেম্বরের প্রথমে বিশ্ববাজারে পেট্রলের দাম গড়ে ব্যারেলপ্রতি পাঁচ ডলার কমেছে। গত ৩ নভেম্বর ভারতে যখন পেট্রলের দাম বাড়ানো হয়, তখনো বিশ্ববাজারে পেট্রলের দাম এর চেয়ে বেশি ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, 'যেহেতু পেট্রলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে ওঠা-নামা করে, কাজেই ভোক্তা পর্যায়েও এর দাম কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করছি আমরা।' জানা গেছে, নভেম্বরের প্রথমার্ধে পেট্রলের ব্যারেলপ্রতি দাম ছিল ১১৫ দশমিক ৮৫ ডলার। যেখানে অক্টোবরের শেষ দিকে দাম ছিল এর চেয়ে পাঁচ ডলার বেশি ১২১ দশমিক ৬৭ ডলার। ফলে এ মাসের শুরুর দিকে দাম ১ দশমিক ৮০ রুপি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটা ছিল ভারতে এক বছরের মধ্যে চতুর্থবারের মতো দাম বাড়ে। গত জুন থেকে সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়ে ভারতের জ্বালানি কম্পানিগুলো বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পাক্ষিক ভিত্তিতে এ মূল্যবৃদ্ধি ঘটায়। তবে ৩৩ মাসের মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো দাম কমার সম্ভাবনা তৈরি হলো।
পেট্রলের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে ডলারের বিপরীতে রুপির মূল্যের উত্থান-পতনের বিষয়টিকেও আমলে রাখা হয়। এ মাসে গড়ে ডলারের বিপরীতে রুপির দামও কিছুটা বেড়েছে। এখন ডলারপ্রতি রুপির বিনিময়মূল্য গড়ে ৪৯ দশমিক ২০। গত মাসে যা ছিল ৪৯ দশমিক ৪০। ফলে বিদেশ থেকে ডলারে তেল কিনতে ভারতীয় রুপির কিছুটা সুবিধা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা জানান, 'এবার পেট্রলের দাম লিটারপ্রতি সব ধরনের কর ছাড়া ১ দশমিক ৮৬ রুপি কমানো হতে পারে। আর দেয় করের হিসাব করলে খুচরা বাজারে লিটারপ্রতি মূল্য প্রায় দুই রুপি কমবে।'
গতবার দাম বাড়ানোর সময়ও পেট্রলের দাম কমানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়।
তবে সে ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমা এবং রুপির মূল্য ডলারের বিপরীতে আর না বাড়ার কথা বলা হয়। তিনি বলেন, 'এখন পেট্রলের দাম অপরিশোধিত তেলের চেয়েও কম। আজ দিন শেষে পেট্রলের দাম পুনর্নির্ধারণ করব আমরা।' সূত্র : পিটিআই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, 'যেহেতু পেট্রলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে ওঠা-নামা করে, কাজেই ভোক্তা পর্যায়েও এর দাম কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করছি আমরা।' জানা গেছে, নভেম্বরের প্রথমার্ধে পেট্রলের ব্যারেলপ্রতি দাম ছিল ১১৫ দশমিক ৮৫ ডলার। যেখানে অক্টোবরের শেষ দিকে দাম ছিল এর চেয়ে পাঁচ ডলার বেশি ১২১ দশমিক ৬৭ ডলার। ফলে এ মাসের শুরুর দিকে দাম ১ দশমিক ৮০ রুপি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটা ছিল ভারতে এক বছরের মধ্যে চতুর্থবারের মতো দাম বাড়ে। গত জুন থেকে সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়ে ভারতের জ্বালানি কম্পানিগুলো বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পাক্ষিক ভিত্তিতে এ মূল্যবৃদ্ধি ঘটায়। তবে ৩৩ মাসের মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো দাম কমার সম্ভাবনা তৈরি হলো।
পেট্রলের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে ডলারের বিপরীতে রুপির মূল্যের উত্থান-পতনের বিষয়টিকেও আমলে রাখা হয়। এ মাসে গড়ে ডলারের বিপরীতে রুপির দামও কিছুটা বেড়েছে। এখন ডলারপ্রতি রুপির বিনিময়মূল্য গড়ে ৪৯ দশমিক ২০। গত মাসে যা ছিল ৪৯ দশমিক ৪০। ফলে বিদেশ থেকে ডলারে তেল কিনতে ভারতীয় রুপির কিছুটা সুবিধা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা জানান, 'এবার পেট্রলের দাম লিটারপ্রতি সব ধরনের কর ছাড়া ১ দশমিক ৮৬ রুপি কমানো হতে পারে। আর দেয় করের হিসাব করলে খুচরা বাজারে লিটারপ্রতি মূল্য প্রায় দুই রুপি কমবে।'
গতবার দাম বাড়ানোর সময়ও পেট্রলের দাম কমানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়।
তবে সে ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমা এবং রুপির মূল্য ডলারের বিপরীতে আর না বাড়ার কথা বলা হয়। তিনি বলেন, 'এখন পেট্রলের দাম অপরিশোধিত তেলের চেয়েও কম। আজ দিন শেষে পেট্রলের দাম পুনর্নির্ধারণ করব আমরা।' সূত্র : পিটিআই।
No comments