তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সংলাপের আহ্বান জানালেন বান কি মুন
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো মতপার্থক্য থাকলে তার শান্তিপূর্ণ সমাধানে তাদের মধ্যে সংলাপ হওয়া প্রয়োজন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়ে সরকারি ও বিরোধী দলের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিবের এই বক্তব্য এলো। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা চাইলে আগামী সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য করতে টেকনিক্যাল সহায়তা দিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ঢাকায় জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়ক নিল ওয়াকার উপস্থিত ছিলেন।
২০০৮ সালের নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছিল। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা
বাতিল করায় নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনেই হবে। এ ক্ষেত্রে প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে না গেলে সেই নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে কি-না জানতে চাইলে বান কি মুন বলেন, 'আমি অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। কীভাবে নির্বাচন হবে তা বাংলাদেশের নিজস্ব প্রক্রিয়ার বিষয়। তা বাংলাদেশিদের বেছে নেওয়ার
.বিষয়। কোনো সমস্যা থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে সংলাপের মধ্য দিয়ে সমাধান করা উচিত। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। বান কি মুন আশা করেন, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য রাজনৈতিক নেতারা তাদের রাজনৈতিক লাইনের বাইরে অবস্থান নেবেন।
আগামী নির্বাচনে জাতিসংঘের কোনো মধ্যস্থতার ভূমিকা থাকবে কি-না জানতে চাইলে বান কি মুন বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আমি বাংলাদেশ সফর করেছি। সে সময় আমি তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও মিলিটারি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাদের জোর দিয়ে বলেছি নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে অনুষ্ঠান করতে হবে। এ জন্য সহায়তা দিতে জাতিসংঘ প্রস্তুত। রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি চায় তাহলে ২০১৪ সালের নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করতে টেকনিক্যাল ও লজিস্টিকস (কারিগরি ও উপকরণগত) সহায়তা দিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ। তিনি আবারও বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেনাসদস্য কাজ করছেন। কিন্তু জাতিসংঘে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব তেমন নেই। এ বিষয়ে মহাসচিবের কোনো পরিকল্পনা আছে কি-না জানতে চাইলে বান কি মুন বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রশংসা করি যে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশটি ভালো করছে। বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি বিভিন্ন শান্তি মিশনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। বড় বড় পদে আরও বাংলাদেশির নিয়োগ পাওয়া উচিত। এ জন্য আমি যতটা সম্ভব চেষ্টা করব।
বান কি মুন তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ গণতন্ত্র চর্চায় ভালো করেছে। তবে এর জন্য আরও কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।
মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হ্রাসসহ স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন বান কি মুন। নারীর ক্ষমতায়ন, জাতিসংঘ কার্যক্রমে ও কার্বন নিরপেক্ষ নীতিতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অন্য দেশের কাছে অনুকরণীয় মডেলে পরিণত হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় বান কি মুন ঢাকা ছেড়ে যাবেন। তিনি এরপর থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া সফর করবেন।
২০০৮ সালের নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছিল। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা
বাতিল করায় নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনেই হবে। এ ক্ষেত্রে প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে না গেলে সেই নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে কি-না জানতে চাইলে বান কি মুন বলেন, 'আমি অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। কীভাবে নির্বাচন হবে তা বাংলাদেশের নিজস্ব প্রক্রিয়ার বিষয়। তা বাংলাদেশিদের বেছে নেওয়ার
.বিষয়। কোনো সমস্যা থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে সংলাপের মধ্য দিয়ে সমাধান করা উচিত। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। বান কি মুন আশা করেন, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য রাজনৈতিক নেতারা তাদের রাজনৈতিক লাইনের বাইরে অবস্থান নেবেন।
আগামী নির্বাচনে জাতিসংঘের কোনো মধ্যস্থতার ভূমিকা থাকবে কি-না জানতে চাইলে বান কি মুন বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আমি বাংলাদেশ সফর করেছি। সে সময় আমি তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও মিলিটারি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাদের জোর দিয়ে বলেছি নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে অনুষ্ঠান করতে হবে। এ জন্য সহায়তা দিতে জাতিসংঘ প্রস্তুত। রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি চায় তাহলে ২০১৪ সালের নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করতে টেকনিক্যাল ও লজিস্টিকস (কারিগরি ও উপকরণগত) সহায়তা দিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ। তিনি আবারও বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেনাসদস্য কাজ করছেন। কিন্তু জাতিসংঘে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব তেমন নেই। এ বিষয়ে মহাসচিবের কোনো পরিকল্পনা আছে কি-না জানতে চাইলে বান কি মুন বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রশংসা করি যে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশটি ভালো করছে। বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি বিভিন্ন শান্তি মিশনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। বড় বড় পদে আরও বাংলাদেশির নিয়োগ পাওয়া উচিত। এ জন্য আমি যতটা সম্ভব চেষ্টা করব।
বান কি মুন তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ গণতন্ত্র চর্চায় ভালো করেছে। তবে এর জন্য আরও কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।
মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হ্রাসসহ স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন বান কি মুন। নারীর ক্ষমতায়ন, জাতিসংঘ কার্যক্রমে ও কার্বন নিরপেক্ষ নীতিতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অন্য দেশের কাছে অনুকরণীয় মডেলে পরিণত হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় বান কি মুন ঢাকা ছেড়ে যাবেন। তিনি এরপর থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া সফর করবেন।
No comments