ডিজেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধিতে হতাশ মেহেরপুরের কৃষক-সেচ বাবদ খরচ বাড়বে একরে দেড় হাজার টাকা! by তানিয়া লাবণ্য,
আসন্ন বোরো মৌসুমে সার ও সেচযন্ত্রের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মেহেরপুরের এক লাখ পাঁচ হাজার কৃষক অতিরিক্ত ব্যয়ের আশঙ্কায় আছেন। তাঁদের মতে, এক একর জমিতে সেচ দিতে অতিরিক্ত দেড় হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে! উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলেও গত মৌসুমে উৎপাদিত ধানের দাম কমে যাওয়ায় বড় চাষিরা জমি বর্গা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
মেহেরপুর সদর উপজেলার উত্তর শালিকা গ্রামের কৃষক আবদুর রহমান জানান, গ্রামের মানুষ বোরো আবাদের জন্য বীজতলা তৈরি করেছেন। আমন ধান কাটার পরই আবাদ শুরু করবেন। নতুন করে ডিজেলের দাম বাড়ায় গ্রামের প্রান্তিক চাষিরা হতাশ। এ জন্য আবদুর রহমান জমি বর্গা দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানান।
প্রতি লিটার ডিজেলে পাঁচ টাকা মূল্যবৃদ্ধি এবং প্রতি বস্তা ইউরিয়া সারে ৫০০ টাকা মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষকরা চরম হতাশার মধ্যে আছেন। এক একর জমি এক মৌসুমে ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র ব্যবহার করে চাষাবাদ করতে অতিরিক্ত ব্যয় হবে দেড় হাজার টাকা! এ জন্য অনেক প্রান্তিক চাষিই এই ব্যয়বার বহন করা সম্ভব হবে না বলে মত দিয়েছেন।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে চলতি মৌসুমে সেচের আওতায় ১০ লাখ চার হাজার ৪২২ জন কৃষক ৬০ হাজার ২৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধান ও গমসহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করবেন। এ জন্য ডিজেলচালিত ৮৮টি গভীর নলকূপ ও ৩০ হাজার ৬৩৬টি অগভীর নলকূপ সেচযন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন। পুরো মৌসুমে সেচ দিতে সাড়ে ১৬ কোটি লিটার ডিজেলের প্রয়োজন হবে। দুই দফায় পাঁচ মাসের ব্যবধানে প্রতি লিটারে ১০ টাকা মূল্যবৃদ্ধির কারণে সেচ খাতে কৃষকদের অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে ১৬০ কোটি টাকা। আর এসব জমিতে ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হবে ১৮ লাখ ৩০ টন। প্রতি টনে ১০ হাজার টাকা মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষকদের আরো অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে ১৮ কোটি তিন লাখ টাকা!
মনোহরপুর গ্রামের কৃষক নুর তাজুল জানান, ইউরিয়া সারের মূল্যবৃদ্ধি হলেও টিএসপি, ডিএসপি ও মিশ্র সারের দাম কমে যাওয়ার কারণে কৃষকরা ইউরিয়া সারের মূল্যবৃদ্ধিতে হতাশ হননি। কিন্তু দুই দফায় ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষকরা খাদ্য উৎপাদনে বিমুখ হবেন। কারণ অতিরিক্ত খরচ করে উৎপাদিত পণ্যের সঠিক দাম পাওয়া যায় না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শেখ ইফতেখাব জানান, তেলের সঙ্গে কৃষির সব কিছুর সম্পর্ক। উৎপাদন থেকে পরিববহন খরচ পর্যন্ত ডিজেল জড়িত। তাই তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদিত সব সামগ্রীর মূল্যও বৃদ্ধি পাবে। তবে ভালো দাম পেলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
প্রতি লিটার ডিজেলে পাঁচ টাকা মূল্যবৃদ্ধি এবং প্রতি বস্তা ইউরিয়া সারে ৫০০ টাকা মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষকরা চরম হতাশার মধ্যে আছেন। এক একর জমি এক মৌসুমে ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র ব্যবহার করে চাষাবাদ করতে অতিরিক্ত ব্যয় হবে দেড় হাজার টাকা! এ জন্য অনেক প্রান্তিক চাষিই এই ব্যয়বার বহন করা সম্ভব হবে না বলে মত দিয়েছেন।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে চলতি মৌসুমে সেচের আওতায় ১০ লাখ চার হাজার ৪২২ জন কৃষক ৬০ হাজার ২৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধান ও গমসহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করবেন। এ জন্য ডিজেলচালিত ৮৮টি গভীর নলকূপ ও ৩০ হাজার ৬৩৬টি অগভীর নলকূপ সেচযন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন। পুরো মৌসুমে সেচ দিতে সাড়ে ১৬ কোটি লিটার ডিজেলের প্রয়োজন হবে। দুই দফায় পাঁচ মাসের ব্যবধানে প্রতি লিটারে ১০ টাকা মূল্যবৃদ্ধির কারণে সেচ খাতে কৃষকদের অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে ১৬০ কোটি টাকা। আর এসব জমিতে ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হবে ১৮ লাখ ৩০ টন। প্রতি টনে ১০ হাজার টাকা মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষকদের আরো অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে ১৮ কোটি তিন লাখ টাকা!
মনোহরপুর গ্রামের কৃষক নুর তাজুল জানান, ইউরিয়া সারের মূল্যবৃদ্ধি হলেও টিএসপি, ডিএসপি ও মিশ্র সারের দাম কমে যাওয়ার কারণে কৃষকরা ইউরিয়া সারের মূল্যবৃদ্ধিতে হতাশ হননি। কিন্তু দুই দফায় ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষকরা খাদ্য উৎপাদনে বিমুখ হবেন। কারণ অতিরিক্ত খরচ করে উৎপাদিত পণ্যের সঠিক দাম পাওয়া যায় না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শেখ ইফতেখাব জানান, তেলের সঙ্গে কৃষির সব কিছুর সম্পর্ক। উৎপাদন থেকে পরিববহন খরচ পর্যন্ত ডিজেল জড়িত। তাই তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদিত সব সামগ্রীর মূল্যও বৃদ্ধি পাবে। তবে ভালো দাম পেলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
No comments