বাসমালিকদের দুরভিসন্ধির কাছে নতিস্বীকার নয় - জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি
জ্বালানি তেলের মূল্য আরেক দফা বাড়ানোর ঘটনাটিকে বাসমালিকেরা নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগানোর মতলব এঁটেছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। শিগগিরই তাঁরা বাসভাড়া বাড়াবেন, কিন্তু কতটা বাড়াবেন সেই হিসাব করতে গিয়ে শুধু জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিটাই ধরবেন না, আরও অন্তত ষোলটি বিষয় যোগ করবেন। এবং সোমবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, যোগাযোগমন্ত্রী ও নৌপরিবহনমন্ত্রী বাসমালিকদের এই দুরভিসন্ধি পূরণে সায় দিয়েছেন।
জ্বালানি তেলের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় ডিজেলের মূল্য বাড়ানো হয়েছে লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা। এর ফলে বাসভাড়া বৃদ্ধির স্বাভাবিক হার হওয়ার কথা কিলোমিটারপ্রতি পাঁচ পয়সা। এর আগের বাসভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছিল এই হারেই। কিন্তু এবার বাসমালিকেরা বলছেন শুধু ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির অনুপাতে তাঁরা বাসভাড়া বাড়াবেন না, আমলে নেবেন খুচরা যন্ত্রাংশ, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়সহ আরও ষোলটি বিষয়। বলা হচ্ছে, বাসমালিকদের সামগ্রিক ব্যয় বিশ্লেষণ করে নতুন করে বাসভাড়া নির্ধারণ করা হবে। রোববার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে দুই মন্ত্রী ও এক পরিবহন নেতা কয়েক দফা বৈঠক করেছেন; প্রকাশিত খবর অনুযায়ী যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ‘কিছু দাবি-দাওয়া’ মেনে নিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে বাসভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভাড়া নির্ধারণ-সংক্রান্ত কমিটি বাসমালিকদের ‘ব্যয় বিশ্লেষণ’ করার পর নতুন ভাড়ার হার নির্ধারণ করবে, এবং তা ঘটবে শিগগিরই।
জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রীরা জনগণের স্বার্থ দেখছেন, নাকি বাসমালিকদের মুনাফা বৃদ্ধির লক্ষে যোগসাজশ করছেন—এমন প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি পরিষ্কার। বাসভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে তাঁরা বৈঠক করছেন পরিবহন নেতার সঙ্গে। অতি মুনাফালোভী বাসমালিকদের কথাই শুধু তাঁরা শুনছেন, তাঁদের অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া মেনে নিচ্ছেন। জনস্বার্থের কথা তাঁরা ভাবছেন না, যাত্রীস্বার্থের প্রতিনিধিদের বৈঠকে কথা বলার জন্য ডাকাও হচ্ছে না। দুই মন্ত্রীর এই অবস্থান এক কথায় গণবিরোধী।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাসভাড়া বৃদ্ধি অবশ্যই যৌক্তিক হারে হতে হবে, এর অতিরিক্ত জনগণ মেনে নেবে না। যে ‘ব্যয় বিশ্লেষণের’ কথা বলা হচ্ছে তাতে কেবল পরিবহন মালিকদের স্বার্থই বিবেচিত হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বাসের খুচরা যন্ত্রাংশের দাম বেড়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বেড়েছে, অন্যান্যা ব্যয় বেড়েছে। কিন্তু সবকিছুর পরেও বর্তমান হারেই বাসমালিকদের মুনাফা হচ্ছে কি না, সেই হিসাব কি তাঁরা সরকারকে দিয়েছেন বা সরকার কি তাঁদের কাছে সেই হিসাব কখনো চেয়েছে? কতটা মুনাফা যৌক্তিক—এই প্রশ্নও কি কখনো তোলা হয়েছে?
মুনাফা যৌক্তিক মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে বিভিন্ন অজুহাতে জনগণের ঘাড়ে বাড়তি মাশুল চাপানোর অপচেষ্টা কোনো কোনো মহল করতে পারে। এ ধরনের প্রবণতা মোকাবিলা করার দায়িত্ব সরকারের, উল্টোটা নয়। জনগণের ওপর আর্থিক চাপের বোঝা যাতে না বাড়ে সেটাও দেখার দায়িত্ব সরকারের। বাসের খুচরা যন্ত্রাংশের শুল্কহার কমানোসহ বাসমালিকদের সামগ্রিক ব্যয় লাঘবের ক্ষেত্রে সরকারের কিছু করণীয় থাকলে তা করা উচিত এবং একই সঙ্গে বেশি হারে বাসভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক দাবি প্রত্যাখ্যান করা উচিত। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির চাপে ইতিমধ্যে বিপর্যস্ত জনগণের ওপর আরও চাপ বাড়ানোর পথ বন্ধ করুন।
জ্বালানি তেলের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় ডিজেলের মূল্য বাড়ানো হয়েছে লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা। এর ফলে বাসভাড়া বৃদ্ধির স্বাভাবিক হার হওয়ার কথা কিলোমিটারপ্রতি পাঁচ পয়সা। এর আগের বাসভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছিল এই হারেই। কিন্তু এবার বাসমালিকেরা বলছেন শুধু ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির অনুপাতে তাঁরা বাসভাড়া বাড়াবেন না, আমলে নেবেন খুচরা যন্ত্রাংশ, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়সহ আরও ষোলটি বিষয়। বলা হচ্ছে, বাসমালিকদের সামগ্রিক ব্যয় বিশ্লেষণ করে নতুন করে বাসভাড়া নির্ধারণ করা হবে। রোববার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে দুই মন্ত্রী ও এক পরিবহন নেতা কয়েক দফা বৈঠক করেছেন; প্রকাশিত খবর অনুযায়ী যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ‘কিছু দাবি-দাওয়া’ মেনে নিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে বাসভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভাড়া নির্ধারণ-সংক্রান্ত কমিটি বাসমালিকদের ‘ব্যয় বিশ্লেষণ’ করার পর নতুন ভাড়ার হার নির্ধারণ করবে, এবং তা ঘটবে শিগগিরই।
জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রীরা জনগণের স্বার্থ দেখছেন, নাকি বাসমালিকদের মুনাফা বৃদ্ধির লক্ষে যোগসাজশ করছেন—এমন প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি পরিষ্কার। বাসভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে তাঁরা বৈঠক করছেন পরিবহন নেতার সঙ্গে। অতি মুনাফালোভী বাসমালিকদের কথাই শুধু তাঁরা শুনছেন, তাঁদের অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া মেনে নিচ্ছেন। জনস্বার্থের কথা তাঁরা ভাবছেন না, যাত্রীস্বার্থের প্রতিনিধিদের বৈঠকে কথা বলার জন্য ডাকাও হচ্ছে না। দুই মন্ত্রীর এই অবস্থান এক কথায় গণবিরোধী।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাসভাড়া বৃদ্ধি অবশ্যই যৌক্তিক হারে হতে হবে, এর অতিরিক্ত জনগণ মেনে নেবে না। যে ‘ব্যয় বিশ্লেষণের’ কথা বলা হচ্ছে তাতে কেবল পরিবহন মালিকদের স্বার্থই বিবেচিত হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বাসের খুচরা যন্ত্রাংশের দাম বেড়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বেড়েছে, অন্যান্যা ব্যয় বেড়েছে। কিন্তু সবকিছুর পরেও বর্তমান হারেই বাসমালিকদের মুনাফা হচ্ছে কি না, সেই হিসাব কি তাঁরা সরকারকে দিয়েছেন বা সরকার কি তাঁদের কাছে সেই হিসাব কখনো চেয়েছে? কতটা মুনাফা যৌক্তিক—এই প্রশ্নও কি কখনো তোলা হয়েছে?
মুনাফা যৌক্তিক মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে বিভিন্ন অজুহাতে জনগণের ঘাড়ে বাড়তি মাশুল চাপানোর অপচেষ্টা কোনো কোনো মহল করতে পারে। এ ধরনের প্রবণতা মোকাবিলা করার দায়িত্ব সরকারের, উল্টোটা নয়। জনগণের ওপর আর্থিক চাপের বোঝা যাতে না বাড়ে সেটাও দেখার দায়িত্ব সরকারের। বাসের খুচরা যন্ত্রাংশের শুল্কহার কমানোসহ বাসমালিকদের সামগ্রিক ব্যয় লাঘবের ক্ষেত্রে সরকারের কিছু করণীয় থাকলে তা করা উচিত এবং একই সঙ্গে বেশি হারে বাসভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক দাবি প্রত্যাখ্যান করা উচিত। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির চাপে ইতিমধ্যে বিপর্যস্ত জনগণের ওপর আরও চাপ বাড়ানোর পথ বন্ধ করুন।
No comments