বারবার আগুনে পুড়েও বেঁচে আছে গাছটি by মাসুম মিজান
লেলিহান শিখার সঙ্গে বারবার লড়াই করে বেঁচে আছে শ্যামলীর সেই পোড়া চাম্বল গাছটি। এখনও মাঝে মধ্যে এ গাছটির গোড়ায় আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। কয়েক বছরে জীবিত গাছটির কাঁচা কাণ্ডের একাংশ পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। বাকি অংশ নিয়ে বেঁচে আছে গাছটি।রাজধানীর মিরপুর রোডের কল্যাণপুর সড়ক ও জনপথ কার্যালয় সংলগ্ন হলি গলির মুখের চাম্বল গাছটির গোড়ায় অভ্যন্তরীণ রুটের পাঁচটি সিটিং সার্ভিস বাসের কাউন্টার।
অসংখ্য যাত্রী ও পথচারীর সমাগম সত্ত্বেও এখানে জড়ো করা হয় গোটা এলাকার ময়লা-আবর্জনা। ফেলা হয় গার্মেন্ট, মার্কেট ও বাসাবাড়ির উচ্ছিষ্ট। প্রায় রাতেই ময়লার স্তূপে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। তখন পুড়তে থাকে জীবিত গাছটির কাণ্ড। গাছটির গোড়া থেকে ওপরের ১০-১৫ ফুট পর্যন্ত এবং ছাল ও কা পুড়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গাছটির বয়স কমপক্ষে ৪০ বছর। উচ্চতায় ছয়-সাততলা ভবন ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর সমকালে এ চাম্বল গাছ সম্পর্কে 'বাঁচতে দাও, নয়তো মেরে ফেল!' শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন গাছের গোড়ায় অগি্নসংযোগের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পোড়া গাছটি নতুন করে অনেক ডালপাতা ছেড়েছে।
বাস কাউন্টারের কর্মচারী খোকন সমকালকে জানান, এলাকায় সিটি করপোরেশনের কোনো ডাস্টবিন না থাকায় চাম্বল গাছটির গোড়ায় অস্থায়ীভাবে ময়লা ফেলা হয়। মাঝে মধ্যে গার্মেন্টের ঝুটের স্তূপ বড় আকার ধারণ করে। রাতে দোকান ও কাউন্টারগুলো বন্ধ হয়ে গেলে ময়লার স্তূপে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়; কিন্তু কে বা কারা এখানে আগুন দিচ্ছে, তা কেউ জানাতে পারেননি।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, রাতে রিকশাচালক ও ভাসমান মানুষ মশা তাড়াতে এখানে আগুন জ্বালায়। মাঝে মধ্যে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা না এলে অনেক ময়লা জমা হয়। তখন পচা-বাসি দুর্গন্ধ তাড়াতে স্থানীয়রা অগি্নসংযোগ করে।
এলাকার বাসিন্দা মশিউর রহমান গাছের গোড়ায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাজার হাজার মানুষের চোখের সামনে একটি জীবিত গাছ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। গাছটির এ করুণ পরিণতি এতদিনেও কোনো পরিবেশবাদী সংগঠন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মন স্পর্শ করতে পারেনি। তাই আগুন দেওয়ার ঘটনাও পুরোপুরি থামেনি।
স্থানীয়রা জানান, গাছটির বয়স কমপক্ষে ৪০ বছর। উচ্চতায় ছয়-সাততলা ভবন ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর সমকালে এ চাম্বল গাছ সম্পর্কে 'বাঁচতে দাও, নয়তো মেরে ফেল!' শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন গাছের গোড়ায় অগি্নসংযোগের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পোড়া গাছটি নতুন করে অনেক ডালপাতা ছেড়েছে।
বাস কাউন্টারের কর্মচারী খোকন সমকালকে জানান, এলাকায় সিটি করপোরেশনের কোনো ডাস্টবিন না থাকায় চাম্বল গাছটির গোড়ায় অস্থায়ীভাবে ময়লা ফেলা হয়। মাঝে মধ্যে গার্মেন্টের ঝুটের স্তূপ বড় আকার ধারণ করে। রাতে দোকান ও কাউন্টারগুলো বন্ধ হয়ে গেলে ময়লার স্তূপে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়; কিন্তু কে বা কারা এখানে আগুন দিচ্ছে, তা কেউ জানাতে পারেননি।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, রাতে রিকশাচালক ও ভাসমান মানুষ মশা তাড়াতে এখানে আগুন জ্বালায়। মাঝে মধ্যে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা না এলে অনেক ময়লা জমা হয়। তখন পচা-বাসি দুর্গন্ধ তাড়াতে স্থানীয়রা অগি্নসংযোগ করে।
এলাকার বাসিন্দা মশিউর রহমান গাছের গোড়ায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাজার হাজার মানুষের চোখের সামনে একটি জীবিত গাছ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। গাছটির এ করুণ পরিণতি এতদিনেও কোনো পরিবেশবাদী সংগঠন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মন স্পর্শ করতে পারেনি। তাই আগুন দেওয়ার ঘটনাও পুরোপুরি থামেনি।
No comments