ওয়ালস্ট্রিটবিরোধীদের হটিয়ে দিল পুলিশ :গ্রেফতার ১১৮
ওয়ালস্ট্রিটবিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কের জুকোট্টি পার্ক এবং ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ড থেকে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ১১৮ জনকে। আন্দোলনের ফলে ওই এলাকার ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে দাবি করে আন্দোলন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। খবর এএফপি, এপি, বিবিসি ও রয়টার্স অনলাইনের।
আন্দোলনকারীরা জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার ওয়ালস্ট্রিটবিরোধী আন্দোলনের দু'মাস পূর্তি হচ্ছে। ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের জুকোট্টি পার্ক থেকে এ আন্দোলন শুরু হয়। অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করার দাবিতে এ আন্দোলন চলছে।
পুলিশের মুখপাত্র পল ব্রাউনি জানান, জুকোট্টি পার্ক থেকে সোমবার রাতে অন্তত ৭০ আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়। আশপাশের এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় আরও ১৫ জন। বেশ ক'বার চলে যেতে বলার পরও আন্দোলনকারীরা অনড় থাকায় অভিযান চালানো হয়। ভেঙে দেওয়া হয় তাদের ক্যাম্প। ভোর সোয়া ৪টায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের পার্ক থেকে বের করে দেয়। অভিযান শুরুর আগে লাউড স্পিকারে বিক্ষোভকারীদের পার্ক ছেড়ে যেতে বলা হয়। অন্যথায় তাদের গ্রেফতার করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
ব্রাউনি বলেন, বেশিরভাগ মানুষই শান্তিপূর্ণভাবে শিবির ছেড়ে যান। তবে পার্কের মাঝখানে ছোট একটি দল ক্যাম্প ছেড়ে যেতে চাইছিল না।
পার্কটি পরিষ্কার করার পর বিক্ষোভকারীরা আবার সেখানে ফিরতে পারবেন।
নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বিক্ষোভকারীদের সাময়িকভাবে পার্ক ছেড়ে যেতে এবং তাঁবু ও জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে সোমবার রাতে অকল্যান্ডে অভিযান চালায় পুলিশ। শত শত দাঙ্গা পুলিশ আন্দোলনকারীদের একটি তাঁবু সরিয়ে দেয়। গ্রেফতার করে ৩৩ জনকে। এক আন্দোলনকারী চিৎকার করে বলতে থাকেন, তিনি আবারও সেখানে ফিরে যাবেন। শত শত আন্দোলনকারী ফিরে গেছেন ফ্রাঙ্ক ওগাওয়া প্লাজায়। তাদের অনেকে বলেন, সেখানে তারা আবারও তাঁবু স্থাপন করবেন। রোববার সন্ধ্যায় ওরেগানের পোর্টল্যান্ডে পুলিশ এ ধরনের অভিযান চালায়। গ্রেফতার করে ৫০ জনকে। গত সপ্তাহে ভারমন্ট নগরের তাঁবুতেও এ ধরনের অভিযান চালানো হয়। ওই তাঁবুতে এক লোক গুলি করে আত্মহত্যা করার পর এ অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। অকল্যান্ডে অভিযান চালায় এক যুবক খুন হওয়ার পর। ওই প্লাজার কাছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কায়েদি ওলা ফোস্টার নামে এক যুবক খুন হন। নিহতের পরিবার পুলিশকে জানায়, সন্দেহভাজন খুনি ওই তাঁবুতে আছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অকল্যান্ড প্লাজাকে 'অপরাধস্থল' ঘোষণা করে। এ শহরের মেয়র জিয়ান কুয়ান বলেন, ওই যুবক খুন হওয়ার ঘটনায় এ অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। এ ধরপাকড়ের প্রতিবাদে মেয়রের আইন উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট টুইটারে সোমবার রাতে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা নেন। এদিকে ম্যানহাটানের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এ আন্দোলন বন্ধ করতে নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গের প্রতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
সোমবার তারা বলেন, এ আন্দোলনের ফলে তাদের ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অ্যাজেক্স ওয়ার্ল্ড ক্যাফের মালিক জন কোস্টালাস বলেন, এ আন্দোলন তাদের ব্যবসার জন্য দুর্যোগ। আন্দোলনকারীরা তাদের বাথরুম ব্যবহার করছেন। তাদের অবাধ যাতায়াতের কারণে খদ্দের আসছেন না।
পুলিশের মুখপাত্র পল ব্রাউনি জানান, জুকোট্টি পার্ক থেকে সোমবার রাতে অন্তত ৭০ আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়। আশপাশের এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় আরও ১৫ জন। বেশ ক'বার চলে যেতে বলার পরও আন্দোলনকারীরা অনড় থাকায় অভিযান চালানো হয়। ভেঙে দেওয়া হয় তাদের ক্যাম্প। ভোর সোয়া ৪টায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের পার্ক থেকে বের করে দেয়। অভিযান শুরুর আগে লাউড স্পিকারে বিক্ষোভকারীদের পার্ক ছেড়ে যেতে বলা হয়। অন্যথায় তাদের গ্রেফতার করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
ব্রাউনি বলেন, বেশিরভাগ মানুষই শান্তিপূর্ণভাবে শিবির ছেড়ে যান। তবে পার্কের মাঝখানে ছোট একটি দল ক্যাম্প ছেড়ে যেতে চাইছিল না।
পার্কটি পরিষ্কার করার পর বিক্ষোভকারীরা আবার সেখানে ফিরতে পারবেন।
নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বিক্ষোভকারীদের সাময়িকভাবে পার্ক ছেড়ে যেতে এবং তাঁবু ও জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে সোমবার রাতে অকল্যান্ডে অভিযান চালায় পুলিশ। শত শত দাঙ্গা পুলিশ আন্দোলনকারীদের একটি তাঁবু সরিয়ে দেয়। গ্রেফতার করে ৩৩ জনকে। এক আন্দোলনকারী চিৎকার করে বলতে থাকেন, তিনি আবারও সেখানে ফিরে যাবেন। শত শত আন্দোলনকারী ফিরে গেছেন ফ্রাঙ্ক ওগাওয়া প্লাজায়। তাদের অনেকে বলেন, সেখানে তারা আবারও তাঁবু স্থাপন করবেন। রোববার সন্ধ্যায় ওরেগানের পোর্টল্যান্ডে পুলিশ এ ধরনের অভিযান চালায়। গ্রেফতার করে ৫০ জনকে। গত সপ্তাহে ভারমন্ট নগরের তাঁবুতেও এ ধরনের অভিযান চালানো হয়। ওই তাঁবুতে এক লোক গুলি করে আত্মহত্যা করার পর এ অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। অকল্যান্ডে অভিযান চালায় এক যুবক খুন হওয়ার পর। ওই প্লাজার কাছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কায়েদি ওলা ফোস্টার নামে এক যুবক খুন হন। নিহতের পরিবার পুলিশকে জানায়, সন্দেহভাজন খুনি ওই তাঁবুতে আছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অকল্যান্ড প্লাজাকে 'অপরাধস্থল' ঘোষণা করে। এ শহরের মেয়র জিয়ান কুয়ান বলেন, ওই যুবক খুন হওয়ার ঘটনায় এ অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। এ ধরপাকড়ের প্রতিবাদে মেয়রের আইন উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট টুইটারে সোমবার রাতে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা নেন। এদিকে ম্যানহাটানের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এ আন্দোলন বন্ধ করতে নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গের প্রতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
সোমবার তারা বলেন, এ আন্দোলনের ফলে তাদের ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অ্যাজেক্স ওয়ার্ল্ড ক্যাফের মালিক জন কোস্টালাস বলেন, এ আন্দোলন তাদের ব্যবসার জন্য দুর্যোগ। আন্দোলনকারীরা তাদের বাথরুম ব্যবহার করছেন। তাদের অবাধ যাতায়াতের কারণে খদ্দের আসছেন না।
No comments