এডিপি বাস্তবায়নে ১৬ দফা কর্মপরিকল্পনা by জাফর আহমেদ
এখন থেকে বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্প প্রাক-মূল্যায়ন সভায় (পিইসি) উত্তোলনের আগে সংশ্লিষ্ট দাতাদেশ বা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে কি-না তা জানাতে হবে। সম্ভব হলে ওই প্রকল্প সভায় উত্তোলনের আগে সংশ্লিষ্ট দাতার সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলতে হবে। অথবা অর্থায়নের গ্যারান্টি নিতে হবে। কারণ অনেক প্রকল্পে দাতাদের সহায়তার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে দাতারা পিছু হটে আসে। তখন ওই প্রকল্পের অর্থায়নে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
এই সিদ্ধান্তসহ চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে ১৬ দফা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। গত রোববার এডিপি বাস্তবায়ন সমস্যা চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি সর্বোচ্চ এডিপি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল
এ কে খন্দকারের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জরুরি বৈঠক সম্পর্কে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. শামসুল আলম সমকালকে জানান, বৈঠকে মূলত এডিপি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার এক মাস আগে এডিপি সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ শুষ্ক মৌসুমেই অর্থাৎ নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত সাত মাসেই ৮০ শতাংশের বেশি এডিপির কাজ করা হয়। এ মৌসুমকে ভালোভাবে কাজে লাগানোর জন্য এবার জানুয়ারির মধ্যে সংশোধন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে বৈঠক সূত্র জানায়, এডিপি বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে গুণগত মান নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এ জন্য বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) প্রকল্প পরিদর্শন জোরদার করতে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তার ব্যবহার বাড়াতে নতুন প্রদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। বৈদেশিক সাহায্য সর্বাধিক ব্যবহার হয় এমন ১০ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গেও বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৩ নভেম্বর বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা ছাড়াও আইএমইডি সচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্র জানায়। আবার চলতি অর্থবছরের বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট বিভিন্ন প্রকল্পে বৈদেশিক সহায়তার ব্যবহার কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা দিতে বলা হচ্ছে। পরিকল্পনামন্ত্রীর দফতরে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে এ ব্যাখ্যা জমা দিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে শিগগিরই চিঠি দেওয়া হবে বলে সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে আইএমইডির এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, প্রকল্প পরিচালকের অদক্ষতা ও সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার অভাবে এডিপিকে বৈদেশিক সহায়তার ব্যবহার কমছে। আবার উন্নয়ন প্রকল্পে বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহার করতে না পারার বিষয়ে কোনো জবাবদিহিতা নেই। ফলে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েও বৈদেশিক সহায়তার ব্যবহার বাড়ানো যাচ্ছে না। এ জন্য এসব প্রকল্পের বৈদেশিক ঋণ ব্যবহারে সমস্যা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বৈদেশিক সাহায্যনির্ভর প্রকল্প অনুমোদন করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দাতা সংস্থার সঙ্গে ঋণচুক্তির বিষয় নিশ্চিত হয়ে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শতভাগ এডিপি বাস্তবায়নে পরিকল্পনামন্ত্রীর সভাপতিত্বে মোট ১৬ দফা নতুন কর্মকৌশল নেওয়া হয়েছে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়।
এ কে খন্দকারের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জরুরি বৈঠক সম্পর্কে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. শামসুল আলম সমকালকে জানান, বৈঠকে মূলত এডিপি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার এক মাস আগে এডিপি সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ শুষ্ক মৌসুমেই অর্থাৎ নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত সাত মাসেই ৮০ শতাংশের বেশি এডিপির কাজ করা হয়। এ মৌসুমকে ভালোভাবে কাজে লাগানোর জন্য এবার জানুয়ারির মধ্যে সংশোধন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে বৈঠক সূত্র জানায়, এডিপি বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে গুণগত মান নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এ জন্য বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) প্রকল্প পরিদর্শন জোরদার করতে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তার ব্যবহার বাড়াতে নতুন প্রদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। বৈদেশিক সাহায্য সর্বাধিক ব্যবহার হয় এমন ১০ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গেও বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৩ নভেম্বর বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা ছাড়াও আইএমইডি সচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্র জানায়। আবার চলতি অর্থবছরের বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট বিভিন্ন প্রকল্পে বৈদেশিক সহায়তার ব্যবহার কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা দিতে বলা হচ্ছে। পরিকল্পনামন্ত্রীর দফতরে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে এ ব্যাখ্যা জমা দিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে শিগগিরই চিঠি দেওয়া হবে বলে সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে আইএমইডির এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, প্রকল্প পরিচালকের অদক্ষতা ও সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার অভাবে এডিপিকে বৈদেশিক সহায়তার ব্যবহার কমছে। আবার উন্নয়ন প্রকল্পে বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহার করতে না পারার বিষয়ে কোনো জবাবদিহিতা নেই। ফলে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েও বৈদেশিক সহায়তার ব্যবহার বাড়ানো যাচ্ছে না। এ জন্য এসব প্রকল্পের বৈদেশিক ঋণ ব্যবহারে সমস্যা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বৈদেশিক সাহায্যনির্ভর প্রকল্প অনুমোদন করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দাতা সংস্থার সঙ্গে ঋণচুক্তির বিষয় নিশ্চিত হয়ে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শতভাগ এডিপি বাস্তবায়নে পরিকল্পনামন্ত্রীর সভাপতিত্বে মোট ১৬ দফা নতুন কর্মকৌশল নেওয়া হয়েছে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়।
No comments