রক্ষণাত্মক ইংল্যান্ডে বিরক্ত স্প্যানিশরা
গত শনিবার ওয়েম্বলিতে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দেওয়া একমাত্র গোলে ইংল্যান্ড হারাল বিশ্ব ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে। ইংল্যান্ড এই জয় থেকে কতটা আনন্দসুধা পান করেছে, তা বোঝা যায় ইংলিশ সংবাদমাধ্যমের উচ্ছ্বাসেই। একটি পত্রিকার শিরোনাম ছিল—ইংল্যান্ড ১: বিশ্বসেরারা ০।
যে স্পেন ফিরিয়ে এনেছে হারিয়ে যাওয়া পৃথিবীর সুন্দর ফুটবল, যাদের অভিধানে নেতিবাচক ফুটবল অচল, যাদের বিপক্ষে জয় এখন যেকোনো পরাশক্তির স্বপ্ন, তাদের হারিয়ে দেওয়া অবশ্যই বড় কৃতিত্ব। কোনো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে ৩১ বছর এবং স্পেনের বিপক্ষে ১০ বছর পর এই জয়ে ইংল্যান্ড যেন হঠাৎ করেই আবার বিশ্ব পরাশক্তিদের কাতারে ফিরে গেছে। ল্যাম্পার্ডদের মধ্যে আবার একটা বিশ্বাস ফিরে এসেছে, ‘আমরা অবশ্যই পারি।’
কিন্তু ইংল্যান্ড যেভাবে ‘পারল’, তা প্রশংসা পাচ্ছে না স্প্যানিশদের। দম আটকানো রক্ষণাত্মক, নেতিবাচক কৌশল যে জাভি-ইনিয়েস্তাদের কাছে ফুটবল নয়!
পরাজয়ের পর স্পেনের অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস বলেছিলেন, ‘এই ফল আমাদের পাওনা ছিল না।’ এই পরাজয় ইংল্যান্ড ছেড়ে কোস্টারিকা যাওয়ার পথে তাঁর অন্য সতীর্থদের কাছেও আত্মদহনের কারণ। সেস ফ্যাব্রিগাস ইংল্যান্ডের খেলাকে সরাসরিই বিরক্তিকর বলে দিলেন, ‘আমরা দুই দলের একেবারেই ভিন্ন দুই রকম খেলা দেখলাম। শেষ পর্যন্ত যারা গোল করতে চাইল, তারা পারল না। জিতল তারাই, যাদের গোল করার চেষ্টা ছিল না।’
ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ প্লে-মেকার ডেভিড সিলভা আরও চাঁছাছোলা ইংল্যান্ডের সমালোচনায়, ‘ইংল্যান্ডের পক্ষে কে ভালো খেলল, এটা বলা খুব দুরূহ। ওরা পুরোটা ম্যাচই তো কাটাল রক্ষণে। ইংল্যান্ডকে এতটা রক্ষণাত্মক দেখে আমরা বিস্মিত। পুরো দলটাই জীবনপণ করে রক্ষণাত্মক খেলে গেল। ভবিষ্যতে তাদের আক্রমণাত্মক খেলা দেখার অপেক্ষায় থাকব আমরা।’
ফ্যাব্রিগাস ও সিলভার এমন দাবির প্রমাণ পরিসংখ্যানেও—স্পেন যেখানে ৭৮৭টি পাস খেলেছে, সেখানে ইংল্যান্ড খেলেছে মাত্র ২৬০টি। তবে কৌশলটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের কোচ ফ্যাবিও ক্যাপেলো, ‘ওদের বিপক্ষে আপনি সামনে এগিয়ে খেলতে পারেন না, তাদের কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়ার আশাও করতে পারেন না। কেননা, আপনাকে এগিয়ে আসতে দেখলেই তারা পাস খেলবে, পাস, পাস আর পাস। ওদের কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়া মুশকিল। অসম্ভব।’
বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে প্রীতি ম্যাচ অবশ্য স্পেনের জন্য অপ্রীতিকর ফলই বেশি বয়ে আনছে। ইংল্যান্ডের আগে তারা হেরেছে ইতালি, পর্তুগাল ও আর্জেন্টিনার কাছে। ড্র করেছে মেক্সিকোর সঙ্গে আর চিলির সঙ্গে জিতেছে অনেক কষ্টে (৩-২)।
যে স্পেন ফিরিয়ে এনেছে হারিয়ে যাওয়া পৃথিবীর সুন্দর ফুটবল, যাদের অভিধানে নেতিবাচক ফুটবল অচল, যাদের বিপক্ষে জয় এখন যেকোনো পরাশক্তির স্বপ্ন, তাদের হারিয়ে দেওয়া অবশ্যই বড় কৃতিত্ব। কোনো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে ৩১ বছর এবং স্পেনের বিপক্ষে ১০ বছর পর এই জয়ে ইংল্যান্ড যেন হঠাৎ করেই আবার বিশ্ব পরাশক্তিদের কাতারে ফিরে গেছে। ল্যাম্পার্ডদের মধ্যে আবার একটা বিশ্বাস ফিরে এসেছে, ‘আমরা অবশ্যই পারি।’
কিন্তু ইংল্যান্ড যেভাবে ‘পারল’, তা প্রশংসা পাচ্ছে না স্প্যানিশদের। দম আটকানো রক্ষণাত্মক, নেতিবাচক কৌশল যে জাভি-ইনিয়েস্তাদের কাছে ফুটবল নয়!
পরাজয়ের পর স্পেনের অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস বলেছিলেন, ‘এই ফল আমাদের পাওনা ছিল না।’ এই পরাজয় ইংল্যান্ড ছেড়ে কোস্টারিকা যাওয়ার পথে তাঁর অন্য সতীর্থদের কাছেও আত্মদহনের কারণ। সেস ফ্যাব্রিগাস ইংল্যান্ডের খেলাকে সরাসরিই বিরক্তিকর বলে দিলেন, ‘আমরা দুই দলের একেবারেই ভিন্ন দুই রকম খেলা দেখলাম। শেষ পর্যন্ত যারা গোল করতে চাইল, তারা পারল না। জিতল তারাই, যাদের গোল করার চেষ্টা ছিল না।’
ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ প্লে-মেকার ডেভিড সিলভা আরও চাঁছাছোলা ইংল্যান্ডের সমালোচনায়, ‘ইংল্যান্ডের পক্ষে কে ভালো খেলল, এটা বলা খুব দুরূহ। ওরা পুরোটা ম্যাচই তো কাটাল রক্ষণে। ইংল্যান্ডকে এতটা রক্ষণাত্মক দেখে আমরা বিস্মিত। পুরো দলটাই জীবনপণ করে রক্ষণাত্মক খেলে গেল। ভবিষ্যতে তাদের আক্রমণাত্মক খেলা দেখার অপেক্ষায় থাকব আমরা।’
ফ্যাব্রিগাস ও সিলভার এমন দাবির প্রমাণ পরিসংখ্যানেও—স্পেন যেখানে ৭৮৭টি পাস খেলেছে, সেখানে ইংল্যান্ড খেলেছে মাত্র ২৬০টি। তবে কৌশলটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের কোচ ফ্যাবিও ক্যাপেলো, ‘ওদের বিপক্ষে আপনি সামনে এগিয়ে খেলতে পারেন না, তাদের কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়ার আশাও করতে পারেন না। কেননা, আপনাকে এগিয়ে আসতে দেখলেই তারা পাস খেলবে, পাস, পাস আর পাস। ওদের কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়া মুশকিল। অসম্ভব।’
বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে প্রীতি ম্যাচ অবশ্য স্পেনের জন্য অপ্রীতিকর ফলই বেশি বয়ে আনছে। ইংল্যান্ডের আগে তারা হেরেছে ইতালি, পর্তুগাল ও আর্জেন্টিনার কাছে। ড্র করেছে মেক্সিকোর সঙ্গে আর চিলির সঙ্গে জিতেছে অনেক কষ্টে (৩-২)।
No comments