শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের প্রথম দুই নারী বৈমানিক
বাংলাদেশ
বিমান বাহিনীর দুইজন নারী বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক ও ফ্লাইট
লেফটেন্যান্ট তামান্না-ই-লুৎফী প্রথমবারের মত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে
যোগদান করতে যাচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে নতুন এক মাইল
ফলক যোগ হল। তারা জাতিসংঘ মিশন কঙ্গোতে যোগদানের উদ্দেশ্যে আগামী ৭ই
ডিসেম্বর ঢাকা ত্যাগ করবেন। আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)
জানিয়েছে, এ দুই নারী বৈমানিক কঙ্গো শান্তি মিশনে এক বছরের জন্য নিয়োগ
পেয়েছেন। ঢাকা ত্যাগের আগে জাতিসংঘ মিশনে যোগদানের উপর তাদের মতামত ঢাকা
সেনানিবাসস্থ ঘাঁটি বাশারে সাংবাদিকদের কাছে আজ উপস্থাপন করেন। সংবাদ
সম্মেলনে তারা বলেন, যোগ্যতা ও মেধা সম্পন্ন যে কেউ সামরিক বাহিনীর মতো
চ্যালেঞ্জিং পেশায় আসতে পারেন এবং এখানে মেধা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ
সুবিধা রয়েছে।
মিশনে গিয়ে কাজ করতে যেসব প্রশিক্ষণ প্রয়োজন বিমান বাহিনী সেসব প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তারা জানান, দুর্গম অঞ্চলে কাজ করতে গিয়ে তাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। সেসবের জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে। বিমান বাহিনী আমাদের ওপর বিশ্বাস রেখেছে। সবার কাছে দোয়া চাই কাজের মধ্যে দিয়ে যেন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করতে পারি।
আইএসপিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ২০০০ সালে সর্বপ্রথম সামরিক বাহিনীতে নারী কর্মকর্তা নিয়োগ শুরু করে। সময়ের পরিক্রমায় বিমান বাহিনীর বিভিন্ন শাখার নারী কর্মকর্তারা বিমান বাহিনী ছাড়াও জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেশাদারিত্ব ও দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন। আর এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ২জন নারী বৈমানিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ পেয়েছেন।
আইএসপিআর আরো জানায়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ১৮ নং স্কোয়াড্রনে বেল-২০৬ হেলিকপ্টারে বেসিক কনভার্সন কোর্সের জন্য মনোনীত হওয়া এই দুই নারী কর্মকর্তা ২০১৪ সালের ৩রা আগস্ট থেকে তাদের গ্রাউন্ড প্রশিক্ষণ শুরু করেন। ২৩শে সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মত তারা উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ শুরু করেন। পরবর্তীতে ২৫ ঘণ্টা সফল প্রশিক্ষণ উড্ডয়ন শেষে তারা প্রথম একক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেন। এভাবে তারা ২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করে বৈমানিক হয়ে ওঠার প্রাথমিক পর্যায় শেষ করেন। আইএসপিআর জানিয়েছে, প্রশিক্ষণরত এই বৈমানিক-দ্বয় বেল-২০৬ হেলিকপ্টারে ৬৫ ঘণ্টা উড্ডয়নের প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করার পর পরবর্তীতে বিমান বাহিনীর বিভিন্ন হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রনে দায়িত্ব পালন করেন। তারা ২০৬ হেলিকপ্টার কনভারসন কোর্স, এমআই-১৭, এমআই-১৭১ এবং এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন। তারা ভারত থেকে এভিয়েশন মেডিসিন-এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তারা দুজনই পার্বত্য চট্টগ্রামে অপারেশন্স উত্তরণে অপারেশনাল পাইলট হিসেবে দায়িত্ব করেন। পেশাগত জীবনে বৈমানিক হিসেবে তাদের এই সাফল্য বিমান বাহিনী এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উড্ডয়নের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
মিশনে গিয়ে কাজ করতে যেসব প্রশিক্ষণ প্রয়োজন বিমান বাহিনী সেসব প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তারা জানান, দুর্গম অঞ্চলে কাজ করতে গিয়ে তাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। সেসবের জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে। বিমান বাহিনী আমাদের ওপর বিশ্বাস রেখেছে। সবার কাছে দোয়া চাই কাজের মধ্যে দিয়ে যেন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করতে পারি।
আইএসপিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ২০০০ সালে সর্বপ্রথম সামরিক বাহিনীতে নারী কর্মকর্তা নিয়োগ শুরু করে। সময়ের পরিক্রমায় বিমান বাহিনীর বিভিন্ন শাখার নারী কর্মকর্তারা বিমান বাহিনী ছাড়াও জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেশাদারিত্ব ও দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন। আর এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ২জন নারী বৈমানিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ পেয়েছেন।
আইএসপিআর আরো জানায়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ১৮ নং স্কোয়াড্রনে বেল-২০৬ হেলিকপ্টারে বেসিক কনভার্সন কোর্সের জন্য মনোনীত হওয়া এই দুই নারী কর্মকর্তা ২০১৪ সালের ৩রা আগস্ট থেকে তাদের গ্রাউন্ড প্রশিক্ষণ শুরু করেন। ২৩শে সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মত তারা উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ শুরু করেন। পরবর্তীতে ২৫ ঘণ্টা সফল প্রশিক্ষণ উড্ডয়ন শেষে তারা প্রথম একক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেন। এভাবে তারা ২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করে বৈমানিক হয়ে ওঠার প্রাথমিক পর্যায় শেষ করেন। আইএসপিআর জানিয়েছে, প্রশিক্ষণরত এই বৈমানিক-দ্বয় বেল-২০৬ হেলিকপ্টারে ৬৫ ঘণ্টা উড্ডয়নের প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করার পর পরবর্তীতে বিমান বাহিনীর বিভিন্ন হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রনে দায়িত্ব পালন করেন। তারা ২০৬ হেলিকপ্টার কনভারসন কোর্স, এমআই-১৭, এমআই-১৭১ এবং এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন। তারা ভারত থেকে এভিয়েশন মেডিসিন-এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তারা দুজনই পার্বত্য চট্টগ্রামে অপারেশন্স উত্তরণে অপারেশনাল পাইলট হিসেবে দায়িত্ব করেন। পেশাগত জীবনে বৈমানিক হিসেবে তাদের এই সাফল্য বিমান বাহিনী এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উড্ডয়নের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
No comments