ঝালকাঠিতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু : স্বামীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি
ঝালকাঠি
শহরের কাঠপট্টি সড়কে সুমাইয়া ফরাজী গর্না (২১) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক
মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুমাইয়া ফরাজী গর্না ঝালকাঠি সরকারি
মহিলা কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর
স্বামী হিমু আকন (২৫) বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাকে গুরুতর
অবস্থায় বরিশালের শেবাচিমে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের
ধরে গতকাল রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে গৃহবধূর
মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। পুলিশ ও স্থানীয়রা
জানিয়েছে, প্রায় তিন বছর আগে দুই পরিবারের সম্মতি ছাড়াই শহরের কাঠপট্টি
সড়কের মিল্টন আকনের ছেলে হিমু আকন একই এলাকার আসলাম ফরাজীর মেয়ে সুমাইয়া
ফরাজী গর্নাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে ছেলের পরিবার এই সম্পর্ক মানছিল না।
এ নিয়ে পারিবারিক কলহ লেগে থাকত।
গতকাল রোববার দুপুরে হিমু আকনের বাবা
মিল্টন আকনের মুড়ির মিলের উপরের একটি কক্ষে দরজা বন্ধ করে ঝগড়া করে ওই
দম্পতি। এক পর্যায়ে সুমাইয়া ফরাজী গর্নার মামা তরিকুল ইসলাম রাজুর সাথে
হিমু আকন মুঠোফোনে তার স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি বলে। পরে দুইজনকে উদ্ধার করে
হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গর্নাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত
গর্নার বাবা আসলাম ফরাজীর দাবি তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা করা
হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় দোষীদের বিচার চেয়েছেন। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শিউলি পারভীন জানান, শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই।
ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। তবে ঝালকাঠি সদর
থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিষপানে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে- এটা
প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি। ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments