‘জেরুজালেমকে রাজধানীর স্বীকৃতি দিলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে’ -জর্ডানের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রকে
কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে জর্ডান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি
যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছেন, যদি তারা জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি
দেয় তাহলে তাদেরকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। তিনি এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাকে জানিয়ে দিয়েছেন,
যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যি এমন সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আরব ও মুসলিম জাহানে
ভয়াবহ ক্ষোভ চড়িয়ে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ডনাল্ড
ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি নির্বাচিত হলে জেরুজালেমকে ইসরাইলের
রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য তিনি খুব
শিগগিরই ওই স্বীকৃতি দেবেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে ট্রাম্পের জামাই জারেড কুশনার বলেছেন, এখনও এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নি। ওদিকে আয়মান সাফাদি এক টুইটে বলেছেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে জানিয়ে দিয়েছি জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিলে তাতে ভয়াবহ পরিণতি হবে। এমন সিদ্ধান্ত আরব ও মুসলিম জাহানে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেবে। উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালবে এবং শান্তি প্রচেষ্টা নষ্ট হবে। তবে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো বিবৃতি দেয়া হয় নি। ওদিকে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা না দেন সে জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে তৎপর রয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তার অফিস থেকে বলা হয়েছে, রোববার ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান সহ বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন মাহমুদ আব্বাস। তার উপদেষ্টা মজদি আল খালিদি বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট আব্বাস বিশ্ব নেতাদের কাছে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তার দূতাবাস জেরুজালেম থেকে সরিয়ে নেয় বা জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া তাহলে কি কি বিপদজনক ঘটনা ঘটতে পারে সেসব সম্পর্কে অবহিত করেছেন তাদেরকে। উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের সময় থেকেই পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে ইসরাইল। ১৯৮০ সালে দখলীকৃত এলাকার আয়তন বৃদ্ধি করেছে। তারা এ এলাকাকে তাদের বড় একটি বিশেষ এলাকা হিসেবে দেখে। আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ওই এলাকাটি দখলীকৃত এলাকা হিসেবে বিবেচিত। ইসরাইল সংকল্পবদ্ধ যে, কিন্তু এই জেরুজালেমকে ইসরাইল দেখাতে চায় তাদের চিরস্থায়ী ভূমি হিসেবে, অবিভক্ত রাজধানী হিসেবে। তবে ফিলিস্তিন চায় অন্যভাবে। তারা চায়, ভবিষ্যতে তাদের যে রাষ্ট্র হবে সেই রাষ্ট্রের রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম। ফলে এই জেরুজালেম নিয়ে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে। যদি জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয় তাতে সঙ্কট আরো বাড়বে। ফিলিস্তিনিদের দাবি অগ্রাহ্য হবে। তারা তাদের ভূমি হারাবে। এতে দ্বিরাষ্ট্র ভিত্তিক সঙ্কট সমাধানের যে প্রচেষ্টা তা বিফল হবে। ১৯৪৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যত সরকার এসেছে তারা একটি ভাবধারা অব্যাহত রেখেছে। তারা চেয়েছে জেরুজালেমের মর্যাদা কি হবে তা নির্ধারিত হবে আলোচনার মাধ্যমে। তারা এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না যাতে এসব আলোচনা বিঘিœত হয়। কিন্তু গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরাইলের প্রতি কঠোর সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, যেদিন ক্ষমতায় বসবেন সেদিনই তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেবেন। এর মধ্য দিয়ে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে। কিন্তু ক্ষমতায় এসেছেন ট্রাম্প এক বছর হতে চলল। কিন্তু তার সেই সিদ্ধান্ত বিলম্বিত করেছেন। এখন নতুন করে খবর রটেছে যে, তিনি বুধবার এ সম্পর্কে ঘোষণা দিতে পারেন। এ বিষয়ে তার জামাই জারেড কুশনার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি। তিনি শুধু বলেছেন, এটা প্রেসিডেন্টের বিষয়।
তবে ট্রাম্পের জামাই জারেড কুশনার বলেছেন, এখনও এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নি। ওদিকে আয়মান সাফাদি এক টুইটে বলেছেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে জানিয়ে দিয়েছি জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিলে তাতে ভয়াবহ পরিণতি হবে। এমন সিদ্ধান্ত আরব ও মুসলিম জাহানে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেবে। উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালবে এবং শান্তি প্রচেষ্টা নষ্ট হবে। তবে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো বিবৃতি দেয়া হয় নি। ওদিকে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা না দেন সে জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে তৎপর রয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তার অফিস থেকে বলা হয়েছে, রোববার ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান সহ বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন মাহমুদ আব্বাস। তার উপদেষ্টা মজদি আল খালিদি বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট আব্বাস বিশ্ব নেতাদের কাছে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তার দূতাবাস জেরুজালেম থেকে সরিয়ে নেয় বা জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া তাহলে কি কি বিপদজনক ঘটনা ঘটতে পারে সেসব সম্পর্কে অবহিত করেছেন তাদেরকে। উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের সময় থেকেই পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে ইসরাইল। ১৯৮০ সালে দখলীকৃত এলাকার আয়তন বৃদ্ধি করেছে। তারা এ এলাকাকে তাদের বড় একটি বিশেষ এলাকা হিসেবে দেখে। আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ওই এলাকাটি দখলীকৃত এলাকা হিসেবে বিবেচিত। ইসরাইল সংকল্পবদ্ধ যে, কিন্তু এই জেরুজালেমকে ইসরাইল দেখাতে চায় তাদের চিরস্থায়ী ভূমি হিসেবে, অবিভক্ত রাজধানী হিসেবে। তবে ফিলিস্তিন চায় অন্যভাবে। তারা চায়, ভবিষ্যতে তাদের যে রাষ্ট্র হবে সেই রাষ্ট্রের রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম। ফলে এই জেরুজালেম নিয়ে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে। যদি জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয় তাতে সঙ্কট আরো বাড়বে। ফিলিস্তিনিদের দাবি অগ্রাহ্য হবে। তারা তাদের ভূমি হারাবে। এতে দ্বিরাষ্ট্র ভিত্তিক সঙ্কট সমাধানের যে প্রচেষ্টা তা বিফল হবে। ১৯৪৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যত সরকার এসেছে তারা একটি ভাবধারা অব্যাহত রেখেছে। তারা চেয়েছে জেরুজালেমের মর্যাদা কি হবে তা নির্ধারিত হবে আলোচনার মাধ্যমে। তারা এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না যাতে এসব আলোচনা বিঘিœত হয়। কিন্তু গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরাইলের প্রতি কঠোর সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, যেদিন ক্ষমতায় বসবেন সেদিনই তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেবেন। এর মধ্য দিয়ে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে। কিন্তু ক্ষমতায় এসেছেন ট্রাম্প এক বছর হতে চলল। কিন্তু তার সেই সিদ্ধান্ত বিলম্বিত করেছেন। এখন নতুন করে খবর রটেছে যে, তিনি বুধবার এ সম্পর্কে ঘোষণা দিতে পারেন। এ বিষয়ে তার জামাই জারেড কুশনার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি। তিনি শুধু বলেছেন, এটা প্রেসিডেন্টের বিষয়।
No comments