যেভাবে অন্যের হয়ে যায় ওরা by রুদ্র মিজান
তখন
সন্ধ্যা। কাপড় গুছিয়ে প্রস্তুত করা হয় কিশোরী সাদিয়াকে। সঙ্গে মধ্যবয়সী
অঞ্জলি ও এক যুবক। সাদিয়ার গন্তব্য ওপারে। যেখানে গেলে ভালো একটা চাকরি
পাবে। চিকিৎসা পাবে।
আয়-রোজগার হবে। মুক্তি পাবে দীর্ঘদিনের বন্দি জীবন থেকে। সাদিয়াকে সেভাবেই স্বপ্ন দেখানো হয়েছে। যশোরের হাটখোলা রোডের বন্দিঘর থেকে বের হয়ে সীমান্ত এলাকা। সাতক্ষীরা সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে জমির আইল দিয়ে যাত্রা শুরু। হেঁটে হেঁটে চুপিসারে তারা পৌঁছে যায় ভারতের চব্বিশ পরগনার চাঁদপাড়া সীমান্তে। তখন সঙ্গী ওই যুবকসহ আরো দুই কিশোরী। অবশ্য অঞ্জলি বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তেই। রাতটা কাটে তাদের চাঁদপাড়ার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার একটি ঝুঁপড়ি ঘরে। সকালে ট্যাক্সিতে করে দমদম। এভাবেই ঘটছে নারী পাচারের মতো ভয়াবহ ঘটনা। নানা কৌশলে পাচার হচ্ছে নারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকার গরিব, অসহায় কিশোরী, তরুণীদের প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করা হচ্ছে। মানবপাচার রোধে মামলা হচ্ছে কিন্তু পাচার রোধ হচ্ছে না। বরং দিনদিন তা বেড়েই চলেছে। দেশের অন্তত ২০টি রুট দিয়ে নারী পাচার হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভয়াবহ তথ্য। মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে কিশোরী-তরুণীদের সংগ্রহ করছে দালালরা। সেখান থেকে বাংলাদেশি এজেন্টরা লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করছে ভারতীয় এজেন্টদের কাছে। গত চার মাসে বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে পাচারকালে ৩৮৫ জনকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। জুলাই মাসে ৪৪, আগস্টে ৫৩, সেপ্টেম্বরে ৭৯ ও অক্টোবরে ২০৯ জন।
মানবপাচার নিয়ে কাজ করছে এরকম সংগঠনের মধ্যে অন্যতম হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন। সম্প্রতি ওই সংগঠনের এক কর্মীর সঙ্গে ভারতের চেন্নাইয়ে কথা হয় কিশোরী সাদিয়ার। মাদারীপুরের এই কিশোরী ডিজে পার্টিতে নাচ করতো। এরকম একটি পার্টির কথা বলেই গত ফেব্রুয়ারিতে তাকে যশোরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অঞ্জলি নামে এক নারীর কাছে বিক্রি করে দেয়া হয় ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে। মন্দির পতিতালয়ের ২০৩১ নম্বর ঘরে আটকে রাখা হয় তাকে। অঞ্জলির ঘরে সাদিয়ার মতো সুমি, মালা চাকমা, কনাসহ চারটি মেয়ে। ওই ঘরে আটকে রেখে দিনের পর দিন অত্যাচার করা হয় তাকে। ইচ্ছের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ করা হয়। চিৎকার করলেও মারধর করা হয়। এভাবেই বাধ্য করা হয় পতিতাবৃত্তিতে। সাদিয়া তখন মুক্তি চাইতো যে কোনো কিছুর বিনিময়ে। নির্যাতনের একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে যায়। তারপর চিকিৎসার কথা বলে এক যুবকের সঙ্গে পাঠানো হয় তাকে। তাকে জানানো হয়, ওই শহরে ভালো চাকরি করবে। তার পরিবারের সঙ্গেও দেখা করার সুযোগ পাবে। পনের বছর বয়সী সাদিয়া তখনও জানতো না সে দেশ ছেড়ে যাচ্ছে ভারতে। মানবাধিকারকর্মী আলমগীর সেলিম জানান, প্রথমে দমদম স্টেশনের শামীম মণ্ডলের বাসায় রাখা হয় সাদিয়াকে। ততক্ষণে কিশোরী বুঝতে পারে তাকে ভারতে পাচার করা হয়েছে। একপর্যায়ে পাঠানো হয় ভারতের চেন্নাইয়ে। সেখানে চক্রের মূল হোতা সুনীল, সুমন দাশ, সঙ্গীতা ও রবিনদের আস্তানায় ঠাঁই হয় তার। চক্রের সদস্যরা জানায় দুই লাখ টাকার বিনিময়ে কেনা হয়েছে তাকে। এখানে তাদের কথামতো কাজ না করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। তারপর থেকে চেন্নাই ও দিল্লির বিভিন্ন বারে, বাসায় ও আবাসিক হোটেলে শরীর বিক্রি করছে সাদিয়া। আলমগীর সেলিম জানান, আইনি জটিলতার কারণে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।
ভারতের ‘জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার’র গবেষণা পরিচালক সায়ন্তনী দত্ত গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রলোভন দেখিয়ে, মাদক সেবন করিয়ে ও অপহরণ করে নারী ও শিশুদের পাচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে যাদের পাচার করে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের অনেকেই পাচারকালে বুঝতেই পারেনি তাদের অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারা ভেবেছে দেশের অন্য কোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের। সাদিয়ার মতোই ভোলার মেয়ে পপিকে পাচার করা হয়েছে ভারতে। ২৭ বছর বয়সী সুন্দরী এই কিশোরী কাজ করতো গাজীপুরের একটি গার্মেন্টে। গাজীপুরের কোনাবাড়ির আবাসিক হোটেলের এক কর্মচারীর সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যায় পপি। বান্ধবী তমার মাধ্যমে হোটেল কর্মচারী কবিরের সঙ্গে পরিচয় পপির। কবির জানায়, তার মা ভারতে থাকেন। সেখানে তাদের ঘর-বাড়ি রয়েছে। সেখানে গিয়ে পপিকে বিয়ে করে ঘরে তুলবে। সেভাবেই যশোরের পুটখালী সীমান্ত দিয়ে ব্যাঙ্গালুর। সেখানে গেলেই প্রকাশ পায় কবিরের আসল রূপ। সাঞ্জু, বাপ্পি নামের নারী পাচার চক্রের এজেন্টের হাতে তুলে দেয় তাকে। ওই চক্র পপিকে তুলে দেয় সুশীল, সুমন, রণজিৎ ও গণেশের হাতে। সূত্রমতে, হায়দরাবাদের কুকুপল্লীর এসপি পেট্রোল পাম্পের গলির একটি টিনশেড বাসায় দীর্ঘদিন রাখা হয় পপিসহ কয়েক নারীকে। তারপর তাকে রাখা হয় সৈনিকপুরীর শ্রী কলোনীর ৩৫ নম্বর বাড়িতে। দিন-রাত পাহারা দিয়ে রাখা হয়। কারও সঙ্গে যোগাযোগের কোনো সুযোগ নেই। একপর্যায়ে দেশে ফেরার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে পপি। প্রায়ই চিৎকার করে কান্নাকাটি করে। এরমধ্যেই তাকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া হয়। কারাগারে বন্দি পপি আবার আত্মসমর্পণ করে ওই চক্রের কাছে। তার জামিন করাবে ওই চক্র। বিনিময়ে আবারো অন্ধকার পথে হাঁটবে সে। সূত্রমতে, পপি এখন হায়দরাবাদ কারাগারে।
সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্টাডিজের তথ্যানুসারে বাংলাদেশ থেকে প্রতিমাসে শতাধিক শিশু এবং অর্ধ শতাধিক নারী বিদেশে পাচার হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ লাখ নারী ও শিশু বিদেশে পাচার হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ লাখ নারীকে ভারতে ১০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নারী পাকিস্তানে পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মহসিন রেজা বলেন, মানবপাচার রোধে বিজিবি অত্যন্ত তৎপর। প্রায়ই ভিকটিম উদ্ধার ও পাচারকারীকে আটক করছে বিজিবি।
আয়-রোজগার হবে। মুক্তি পাবে দীর্ঘদিনের বন্দি জীবন থেকে। সাদিয়াকে সেভাবেই স্বপ্ন দেখানো হয়েছে। যশোরের হাটখোলা রোডের বন্দিঘর থেকে বের হয়ে সীমান্ত এলাকা। সাতক্ষীরা সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে জমির আইল দিয়ে যাত্রা শুরু। হেঁটে হেঁটে চুপিসারে তারা পৌঁছে যায় ভারতের চব্বিশ পরগনার চাঁদপাড়া সীমান্তে। তখন সঙ্গী ওই যুবকসহ আরো দুই কিশোরী। অবশ্য অঞ্জলি বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তেই। রাতটা কাটে তাদের চাঁদপাড়ার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার একটি ঝুঁপড়ি ঘরে। সকালে ট্যাক্সিতে করে দমদম। এভাবেই ঘটছে নারী পাচারের মতো ভয়াবহ ঘটনা। নানা কৌশলে পাচার হচ্ছে নারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকার গরিব, অসহায় কিশোরী, তরুণীদের প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করা হচ্ছে। মানবপাচার রোধে মামলা হচ্ছে কিন্তু পাচার রোধ হচ্ছে না। বরং দিনদিন তা বেড়েই চলেছে। দেশের অন্তত ২০টি রুট দিয়ে নারী পাচার হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভয়াবহ তথ্য। মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে কিশোরী-তরুণীদের সংগ্রহ করছে দালালরা। সেখান থেকে বাংলাদেশি এজেন্টরা লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করছে ভারতীয় এজেন্টদের কাছে। গত চার মাসে বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে পাচারকালে ৩৮৫ জনকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। জুলাই মাসে ৪৪, আগস্টে ৫৩, সেপ্টেম্বরে ৭৯ ও অক্টোবরে ২০৯ জন।
মানবপাচার নিয়ে কাজ করছে এরকম সংগঠনের মধ্যে অন্যতম হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন। সম্প্রতি ওই সংগঠনের এক কর্মীর সঙ্গে ভারতের চেন্নাইয়ে কথা হয় কিশোরী সাদিয়ার। মাদারীপুরের এই কিশোরী ডিজে পার্টিতে নাচ করতো। এরকম একটি পার্টির কথা বলেই গত ফেব্রুয়ারিতে তাকে যশোরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অঞ্জলি নামে এক নারীর কাছে বিক্রি করে দেয়া হয় ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে। মন্দির পতিতালয়ের ২০৩১ নম্বর ঘরে আটকে রাখা হয় তাকে। অঞ্জলির ঘরে সাদিয়ার মতো সুমি, মালা চাকমা, কনাসহ চারটি মেয়ে। ওই ঘরে আটকে রেখে দিনের পর দিন অত্যাচার করা হয় তাকে। ইচ্ছের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ করা হয়। চিৎকার করলেও মারধর করা হয়। এভাবেই বাধ্য করা হয় পতিতাবৃত্তিতে। সাদিয়া তখন মুক্তি চাইতো যে কোনো কিছুর বিনিময়ে। নির্যাতনের একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে যায়। তারপর চিকিৎসার কথা বলে এক যুবকের সঙ্গে পাঠানো হয় তাকে। তাকে জানানো হয়, ওই শহরে ভালো চাকরি করবে। তার পরিবারের সঙ্গেও দেখা করার সুযোগ পাবে। পনের বছর বয়সী সাদিয়া তখনও জানতো না সে দেশ ছেড়ে যাচ্ছে ভারতে। মানবাধিকারকর্মী আলমগীর সেলিম জানান, প্রথমে দমদম স্টেশনের শামীম মণ্ডলের বাসায় রাখা হয় সাদিয়াকে। ততক্ষণে কিশোরী বুঝতে পারে তাকে ভারতে পাচার করা হয়েছে। একপর্যায়ে পাঠানো হয় ভারতের চেন্নাইয়ে। সেখানে চক্রের মূল হোতা সুনীল, সুমন দাশ, সঙ্গীতা ও রবিনদের আস্তানায় ঠাঁই হয় তার। চক্রের সদস্যরা জানায় দুই লাখ টাকার বিনিময়ে কেনা হয়েছে তাকে। এখানে তাদের কথামতো কাজ না করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। তারপর থেকে চেন্নাই ও দিল্লির বিভিন্ন বারে, বাসায় ও আবাসিক হোটেলে শরীর বিক্রি করছে সাদিয়া। আলমগীর সেলিম জানান, আইনি জটিলতার কারণে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।
ভারতের ‘জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার’র গবেষণা পরিচালক সায়ন্তনী দত্ত গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রলোভন দেখিয়ে, মাদক সেবন করিয়ে ও অপহরণ করে নারী ও শিশুদের পাচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে যাদের পাচার করে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের অনেকেই পাচারকালে বুঝতেই পারেনি তাদের অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারা ভেবেছে দেশের অন্য কোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের। সাদিয়ার মতোই ভোলার মেয়ে পপিকে পাচার করা হয়েছে ভারতে। ২৭ বছর বয়সী সুন্দরী এই কিশোরী কাজ করতো গাজীপুরের একটি গার্মেন্টে। গাজীপুরের কোনাবাড়ির আবাসিক হোটেলের এক কর্মচারীর সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যায় পপি। বান্ধবী তমার মাধ্যমে হোটেল কর্মচারী কবিরের সঙ্গে পরিচয় পপির। কবির জানায়, তার মা ভারতে থাকেন। সেখানে তাদের ঘর-বাড়ি রয়েছে। সেখানে গিয়ে পপিকে বিয়ে করে ঘরে তুলবে। সেভাবেই যশোরের পুটখালী সীমান্ত দিয়ে ব্যাঙ্গালুর। সেখানে গেলেই প্রকাশ পায় কবিরের আসল রূপ। সাঞ্জু, বাপ্পি নামের নারী পাচার চক্রের এজেন্টের হাতে তুলে দেয় তাকে। ওই চক্র পপিকে তুলে দেয় সুশীল, সুমন, রণজিৎ ও গণেশের হাতে। সূত্রমতে, হায়দরাবাদের কুকুপল্লীর এসপি পেট্রোল পাম্পের গলির একটি টিনশেড বাসায় দীর্ঘদিন রাখা হয় পপিসহ কয়েক নারীকে। তারপর তাকে রাখা হয় সৈনিকপুরীর শ্রী কলোনীর ৩৫ নম্বর বাড়িতে। দিন-রাত পাহারা দিয়ে রাখা হয়। কারও সঙ্গে যোগাযোগের কোনো সুযোগ নেই। একপর্যায়ে দেশে ফেরার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে পপি। প্রায়ই চিৎকার করে কান্নাকাটি করে। এরমধ্যেই তাকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া হয়। কারাগারে বন্দি পপি আবার আত্মসমর্পণ করে ওই চক্রের কাছে। তার জামিন করাবে ওই চক্র। বিনিময়ে আবারো অন্ধকার পথে হাঁটবে সে। সূত্রমতে, পপি এখন হায়দরাবাদ কারাগারে।
সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্টাডিজের তথ্যানুসারে বাংলাদেশ থেকে প্রতিমাসে শতাধিক শিশু এবং অর্ধ শতাধিক নারী বিদেশে পাচার হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ লাখ নারী ও শিশু বিদেশে পাচার হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ লাখ নারীকে ভারতে ১০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নারী পাকিস্তানে পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মহসিন রেজা বলেন, মানবপাচার রোধে বিজিবি অত্যন্ত তৎপর। প্রায়ই ভিকটিম উদ্ধার ও পাচারকারীকে আটক করছে বিজিবি।
No comments