চীনের সঙ্গে মহাকাশে যুদ্ধের শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র
একজন
ঊর্ধ্বতন মার্কিন জেনারেল হুশিয়ার করে দিয়েছেন যে মহাকাশে যুক্তরাষ্ট্রের
স্যাটেলাইটের মতো আরও বহু সামরিক প্রযুক্তিতে (সম্পদে) আঘাত হানতে সক্ষম
অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করছে চীন ও রাশিয়ার মতো দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের
স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের প্রধান জেনারেল জন হাইটেন ক্যালিফোর্নিয়ায় রিগ্যান
ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোরামে ভাষণে শনিবার এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। একই
অনুষ্ঠানে একজন রিপাবলিকান সিনেটর ও বিশেষজ্ঞ মহাকাশে সামরিক সংঘাতের
আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। খবর সিএনএনের। জেনারেল হাইটেন বলেন, ‘ভূমি থেকে
মহাকাশে পরিচালনার জন্য অস্ত্রশস্ত্র নির্মাণ ও অস্ত্রশস্ত্র পরীক্ষা করছে
তারা। এরা (মার্কিন) অস্ত্রশস্ত্র অকেজো করে দিতে চায়, লেসার অস্ত্র বানাতে
চায়। এগুলো তারা গোপনও করছে না।’ মহাকাশে সব ধরনের মার্কিন অভিযানের
প্রধান জেনারেল হাইটেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের মিত্রদের চ্যালেঞ্জ
ছুঁড়ে দেয়ার জন্য তারা এই সক্ষমতা অর্জন করছে। তারা বিশ্বের ক্ষমতার
ভারসাম্য বদলে দিতে চায়। কিন্তু আমরা সেটা হতে দিতে পারি না।’ হাইটেন বলেন,
১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর স্যাটেলাইটের
ব্যবহারের মাধ্যমে সামরিক অভিযান পর্যবেক্ষণ করেছে চীন ও রাশিয়া। ভবিষ্যতের
যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যেন স্যাটেলাইট ব্যবহার করতে না পারে সেটা নিশ্চিত
করতে চাইছে এ দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের সমর পরিকল্পনাবিদরা মনে করছেন তাদের
স্যাটেলাইট ভবিষ্যতে বৈরী ক্ষেপণাস্ত্রের হামলার মুখে পড়তে পারে। হাইটেন
বলেন, ভূপৃষ্ঠ থেকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হলেই তা তাদের
ক্ষেপণাস্ত্র সতর্ককারী ব্যবস্থা সবার আগে সেটা শনাক্ত করতে পারে।
কিন্তু
স্যাটেলাইটকে সুরক্ষা করা অত সহজ নয়। হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সদস্য
এবং রিপাবলিকান নেতা মাইক রজার্স বলেন, ‘অনেক লোকই জানেন না যে উত্তর
কোরিয়ার উৎক্ষেপণ আমরাই প্রথম শনাক্ত করেছি। আমাদের রাডার সেগুলোকে
পর্যবেক্ষণ করতে থেকেছে যাতে প্রয়োজন হলে যথাসময়ে সেগুলোকে ভূপাতিত করা
যায়। সেজন্য একটি স্যাটেলাই প্রস্তুত ছিল।’যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পৃথক মহাকাশ
সামরিক ইউনিটের পক্ষে সোচ্চার রজার্স বলেন, স্যাটেলাইটকে সুরক্ষার নিয়ম
থাকতে হবে। কিন্তু মহাকাশে সামরিক সংঘাত হলে কীভাবে তা সামাল দেয়া হবে সে
ব্যাপারে আন্তর্জাতিক কোনো নিয়মকানুন নেই।’
No comments