৩ বছরেও ফারুকী হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু উদঘাটন হয়নি
চাঞ্চল্যকর
মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু
এখনও কোনো ক্লু উদঘাটন হয়নি। থানা পুলিশ থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ
(ডিবি), বর্তমানে তদন্ত করছে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট
(সিআইডি)। একে একে পরিবর্তন হয়েছে তিন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এই মামলার
তদন্ত করতে গিয়ে অর্ধশত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশ ও বিদেশের প্রভাবশালী মহল থেকে হুমকি ছিলো ফারুকীর
প্রতি।
এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছেন তারা। মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আট জনকে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃতদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, ফারুকী হত্যার পরপর যারা এই হত্যার বিচার দাবি করে মাঠে নেমেছিলেন, বক্তব্য, বিবৃতি দিয়েছেন তাদের অনেকেই এখন তদন্তে সহযোগিতার ক্ষেত্রে রহস্যময় ভূমিকা পালন করছেন। যথাযথ সহযোগিতা পাচ্ছেন না ফারুকীর ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে। সূত্রে জানা গেছে, নানা দিক থেকেই হুমকিতে ছিলেন ফারুকী। নিজের ইসলামি মতবাদ, বিভিন্ন ইসলামি সমাবেশে বক্তব্য ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠানের কারণে হুমকি দেয়া হতো তাকে। সেই হুমকির বিষয়গুলো গুরুত্বসহ তদন্ত করেছে সিআইডি। ফারুকীর পারিবারিক-ব্যক্তিগত জীবন, ব্যবসা এসব বিষয়ও উঠে এসেছে তদন্তে। তার ফোনের কললিস্ট যাচাই-বাছাই করে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সর্বশেষ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বগুড়ার টনটনিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার আবদুল মুবিনকে। ফারুকীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দীর্ঘ তিন বছর কাজ করেছেন মুবিন। হত্যাকাণ্ডের কিছু দিন আগে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে মুবিন জানিয়েছেন, বিভিন্ন মহল থেকে হুমকি দেয়া হতো তাকে। মৃত্যুর কয়েক মাস আগে ফারুকীকে ডেকে নেয়া হয়েছিলো একটি দূতাবাসে। সেদিন তার গাড়িতে চালক, মুবিন ও আরো একজন ব্যক্তি ছিলেন। দূতাবাস থেকে বের হয়ে বিমর্ষ ছিলেন ফারুকী। এ প্রসঙ্গে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রাজীব ফরহান মানবজমিনকে বলেন, ফারুকী ছিলেন আহলে সুন্নাতের অনুসারীদের নেতা। বক্তব্য বিবৃতির কারণে প্রতিপক্ষের চক্ষুশূল ছিলেন তিনি। এসব বিষয় গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। ২০১৪ সালের ২৭শে আগস্ট রাতে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাসায় ঢুকে গলা কেটে হত্যা করা হয় ফারুকীকে। এ ঘটনায় তার ছেলে ফয়সাল ফারুকী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ছয়-সাতজনকে আসামি করে শেরে-ই-বাংলা নগর থানায় মামলা করেন। ফারুকী হত্যা মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন শেরে-ই-বাংলা নগর থানার তৎকালীন পরিদর্শক সাব্বির আহমেদ। পরবর্তীতে মামলাটি হস্তান্তর করা হয় ডিবিতে। তদন্ত করেন ডিবির পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ। কিন্তু কোনো ক্লু উদঘাটন সম্ভব হয়নি। একপর্যায়ে মামলাটি হস্তান্তর করা হয় সিআইডিতে। তদন্ত করেন পরিদর্শক আজগর আলী। এর কিছু দিনের মধ্যেই তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে দায়িত্ব দেয়া হয় পরিদর্শক আরশেদ আলী মণ্ডলকে। এবার সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদসহ ব্যাপক তৎপরতা দেখালেও হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ প্রসঙ্গে সিআইডি’র তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক আরশেদ আলী মণ্ডল বলেন, অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে মামলাটি তদন্ত করছি। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ফারুকীর ঘনিষ্ঠরা যথাযথ সহযোগিতা না করায় বেগ পেতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রাজীব ফরহান বলেন, ফারুকীর ছেলে রেজার সঙ্গে যোগাযোগ ছিলো মুবিনের কিন্তু সেই তথ্য তিনি আমাদের দেননি। এছাড়াও ফারুকী হত্যার পর তার ঘনিষ্ঠ ইমরান হোসেন তুষার যেভাবে তৎপর ছিলেন এখন সেই তৎপরতা নেই। বরং রহস্যময় নীরব ভূমিকা পালন করছেন ইমরান। ফারুকী হত্যাকাণ্ডে থানায় মামলার পর ৪ঠা সেপ্টেম্বর আদালতে আরো একটি মামলা করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সহযোগী সংগঠন ইসলামি ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। তিনি অভিযোগ করেন, ফারুকীকে হত্যার আগে ২২শে আগস্ট রাজধানীর তালতলার ট্রেড সেন্টারে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ফারুকীকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়। এতে ছয়জন টিভি উপস্থাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মামলা করার পর থেকেই তার ভূমিকা ছিলো রহস্যময়। যে বৈঠকে ছয় উপস্থাপকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে সেখানে ইমরান হোসেন তুষার নিজেও উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ইমরান জানিয়েছেন, সাংবাদিক হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ওই সভায় আমি ছিলাম এটা সত্য। তবে সাংবাদিক হিসেবে না, টেলিভিশন উপস্থাপকদের সংগঠনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান।
তিনি বলেন, নানা কারণে ব্যস্ত থাকি। তবে আমি ফারুকী হত্যার বিচার চাই। নানাভাবে ফারুকীকে হুমকি দেয়া হতো। এসব হুমকি গুরুত্ব সহকারে তদন্তের দাবি জানান তিনি। উল্লেখ্য, মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আন্তর্জাতিক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের (মতিন) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছেন তারা। মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আট জনকে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃতদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, ফারুকী হত্যার পরপর যারা এই হত্যার বিচার দাবি করে মাঠে নেমেছিলেন, বক্তব্য, বিবৃতি দিয়েছেন তাদের অনেকেই এখন তদন্তে সহযোগিতার ক্ষেত্রে রহস্যময় ভূমিকা পালন করছেন। যথাযথ সহযোগিতা পাচ্ছেন না ফারুকীর ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে। সূত্রে জানা গেছে, নানা দিক থেকেই হুমকিতে ছিলেন ফারুকী। নিজের ইসলামি মতবাদ, বিভিন্ন ইসলামি সমাবেশে বক্তব্য ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠানের কারণে হুমকি দেয়া হতো তাকে। সেই হুমকির বিষয়গুলো গুরুত্বসহ তদন্ত করেছে সিআইডি। ফারুকীর পারিবারিক-ব্যক্তিগত জীবন, ব্যবসা এসব বিষয়ও উঠে এসেছে তদন্তে। তার ফোনের কললিস্ট যাচাই-বাছাই করে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সর্বশেষ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বগুড়ার টনটনিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার আবদুল মুবিনকে। ফারুকীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দীর্ঘ তিন বছর কাজ করেছেন মুবিন। হত্যাকাণ্ডের কিছু দিন আগে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে মুবিন জানিয়েছেন, বিভিন্ন মহল থেকে হুমকি দেয়া হতো তাকে। মৃত্যুর কয়েক মাস আগে ফারুকীকে ডেকে নেয়া হয়েছিলো একটি দূতাবাসে। সেদিন তার গাড়িতে চালক, মুবিন ও আরো একজন ব্যক্তি ছিলেন। দূতাবাস থেকে বের হয়ে বিমর্ষ ছিলেন ফারুকী। এ প্রসঙ্গে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রাজীব ফরহান মানবজমিনকে বলেন, ফারুকী ছিলেন আহলে সুন্নাতের অনুসারীদের নেতা। বক্তব্য বিবৃতির কারণে প্রতিপক্ষের চক্ষুশূল ছিলেন তিনি। এসব বিষয় গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। ২০১৪ সালের ২৭শে আগস্ট রাতে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাসায় ঢুকে গলা কেটে হত্যা করা হয় ফারুকীকে। এ ঘটনায় তার ছেলে ফয়সাল ফারুকী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ছয়-সাতজনকে আসামি করে শেরে-ই-বাংলা নগর থানায় মামলা করেন। ফারুকী হত্যা মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন শেরে-ই-বাংলা নগর থানার তৎকালীন পরিদর্শক সাব্বির আহমেদ। পরবর্তীতে মামলাটি হস্তান্তর করা হয় ডিবিতে। তদন্ত করেন ডিবির পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ। কিন্তু কোনো ক্লু উদঘাটন সম্ভব হয়নি। একপর্যায়ে মামলাটি হস্তান্তর করা হয় সিআইডিতে। তদন্ত করেন পরিদর্শক আজগর আলী। এর কিছু দিনের মধ্যেই তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে দায়িত্ব দেয়া হয় পরিদর্শক আরশেদ আলী মণ্ডলকে। এবার সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদসহ ব্যাপক তৎপরতা দেখালেও হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ প্রসঙ্গে সিআইডি’র তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক আরশেদ আলী মণ্ডল বলেন, অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে মামলাটি তদন্ত করছি। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ফারুকীর ঘনিষ্ঠরা যথাযথ সহযোগিতা না করায় বেগ পেতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রাজীব ফরহান বলেন, ফারুকীর ছেলে রেজার সঙ্গে যোগাযোগ ছিলো মুবিনের কিন্তু সেই তথ্য তিনি আমাদের দেননি। এছাড়াও ফারুকী হত্যার পর তার ঘনিষ্ঠ ইমরান হোসেন তুষার যেভাবে তৎপর ছিলেন এখন সেই তৎপরতা নেই। বরং রহস্যময় নীরব ভূমিকা পালন করছেন ইমরান। ফারুকী হত্যাকাণ্ডে থানায় মামলার পর ৪ঠা সেপ্টেম্বর আদালতে আরো একটি মামলা করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সহযোগী সংগঠন ইসলামি ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। তিনি অভিযোগ করেন, ফারুকীকে হত্যার আগে ২২শে আগস্ট রাজধানীর তালতলার ট্রেড সেন্টারে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ফারুকীকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়। এতে ছয়জন টিভি উপস্থাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মামলা করার পর থেকেই তার ভূমিকা ছিলো রহস্যময়। যে বৈঠকে ছয় উপস্থাপকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে সেখানে ইমরান হোসেন তুষার নিজেও উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ইমরান জানিয়েছেন, সাংবাদিক হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ওই সভায় আমি ছিলাম এটা সত্য। তবে সাংবাদিক হিসেবে না, টেলিভিশন উপস্থাপকদের সংগঠনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান।
তিনি বলেন, নানা কারণে ব্যস্ত থাকি। তবে আমি ফারুকী হত্যার বিচার চাই। নানাভাবে ফারুকীকে হুমকি দেয়া হতো। এসব হুমকি গুরুত্ব সহকারে তদন্তের দাবি জানান তিনি। উল্লেখ্য, মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আন্তর্জাতিক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের (মতিন) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
No comments