সাবধান- ‘স্প্রে পার্টি’ সিলেটে by ওয়েছ খছরু
সাবধান-
‘স্প্রে পার্টি’ সিলেটে। রাতে ঘুমিয়ে আছেন নিজের বাসায়। স্প্রে পার্টি এসে
জানালা কিংবা ভেন্টিলেটরের ফাঁক দিয়ে স্প্রে করে দেবে ঘরে। এরপর বাসার
সবাই অজ্ঞান হয়ে পড়লে গ্রিল কেটে সবকিছু লুট করে নিয়ে যাবে। এরকম একটি ঘটনা
ঘটেছে সিলেট নগরীর বিলপাড়ে। বাইরে থেকে দেয়া স্প্রেতে আক্রান্ত হয়ে ঘরের ৬
সদস্য অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন।
পরে হাসপাতালে দুইদিন চিকিৎসা গ্রহণের পর তারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাতে সিলেটে টহল বাড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এরকম ঘটনা সিলেটে নতুন। এর আগে কখনো এরকম অভিনব কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটেনি। সিলেটের জকিগঞ্জের আবদুল মতিন চৌধুরী পরিবার পরিজন নিয়ে প্রায় ৬ বছর ধরে নগরীর বিলপাড়ের এক প্রবাসীর বাসায় বসবাস করেন। তিন তলা ১৩ নম্বর বাসার নিচ তলায় তিনি বসবাস করেন। ঘটনা গত শনিবার রাতের। ওই দিন রাত ১১টার দিকে বাসার সব সদস্য এক সঙ্গে রাতের খাবার খান। এরপর যে যার রুমে চলে যান। রাত ১২টার দিকে ঘুমানোর ঠিক আগ মূহূর্তে বাসার কর্তা আবদুল মতিন চৌধুরী বাথরুমে যান। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ হওয়ার পরও তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছিলেন না। ভেতর থেকে লক করা বাথরুমের টেপ দিয়ে অবিরত পানি ঝরছিলো। বিষয়টি নজরে আসে তার ছেলে জুয়েল আহমদ চৌধুরীর। তিনি প্রথমে দরজার বাইরে থেকে তার পিতাকে ডাক দেন। কিন্তু কোনো সাড়া মিলেনি। এরপর জুয়েল বাইরে থেকে বাথরুমের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন- তার পিতা পড়ে আছেন। কোনো জ্ঞান নেই । মাথা কমেডের কাছে আর দেহ বাইরে। তিনি চিৎকার দিলে তার মা ও বোন গিয়ে ধরাধরি করে রুমে নিয়ে আসেন। জুয়েল মানবজমিনকে জানিয়েছেন- তার পিতাকে ধরাধরি করে রুমে নিয়ে আসার পর অনুভব করেন তার মাথাও ঝিনঝিন করছে। এ সময় তিনি তার ভাইকেও ডাক দেন। কিন্তু কোনো সাড়া মিলেনি। উঁকি দিয়ে দেখেন ভাই ও ভাবী অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। জুয়েল তার রুমে গিয়ে দেখেন স্ত্রীও অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। এ সময় জুয়েল দৌড়ে দরজা খুলে বাইরে চলে এসে অনুভব করেন কিছুটা স্বস্তি লাগছে। তাৎক্ষণিক তিনি মোবাইল ফোনে কাছে থাকা আত্মীয়দের বিষয়টি জানান। এরপর জুয়েল ঘরের ভেতরে ঢুকে ড্রইং রুমে আসামাত্র তিনিও অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এদিকে- এ ঘটনার পর স্থানীয়রা ও জুয়েলদের নিকট আত্মীয়রা এম্বুলেন্সে করে তাদের সিলেটের সুবহানীঘাটের ওয়েসিস হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাত ২টার সময় ৬ জনকে অজ্ঞান অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর রোববার জুয়েলসহ তিন জনের জ্ঞান ফিরে। ধীরে ধীরে সবার জ্ঞান ফিরেছে এবং তারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদিকে- এ ঘটনার পর তোলপাড় শুরু হয় এলাকায়। স্থানীয় পঞ্চায়েতের সেক্রেটারি জানান- বিষয়টি প্রথমে বেশি লোক জানতো না। যখন সবাই জানলো তখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর সবাই সতর্ক হয়েছেন। এদিকে- ঘটনার দিন রাতে বিলপাড়ের পার্শ্ববর্তী কয়েস মিয়ার বাসায় গ্রিল কেটে তিন চোর প্রবেশের চেষ্টা চালায়। রাতে বাসার লোকজন ধাওয়া করে এক চোরকে আটক করেন। এরপর তাকে মারধর করে সকালে ছেড়ে দেয়া হয়। বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়নি। স্থানীয়রা ধারণা করেন- যারা কয়েস মিয়ার বাসার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিল তারাই স্প্রে পার্টির সদস্য। এদিকে- এ ঘটনা রোববার রাতে জানতে পারে পুলিশ। সিলেটের লামাবাজার ফাঁড়ির পুলিশ রাতেই ওই বাসা পরিদর্শন করে। তারা এলাকাবাসীর মুখ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে রোববার রাতে ওই এলাকাসহ ফাঁড়ির নিয়ন্ত্রিত আশপাশ এলাকায় টহল জোরদার করেন। রাতে মাঠে ছিলেন লামাবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন- পুলিশ খবর পাওয়ার পর ফাঁড়ির সব এলাকায় টহল বাড়িয়েছে। আর যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে। সিলেটের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক জানিয়েছেন- এ ঘটনার পর এলাকার মানুষও সতর্ক রয়েছে। আতঙ্ক কাটাতে পুলিশও তৎপর বলে জানান তিনি।
পরে হাসপাতালে দুইদিন চিকিৎসা গ্রহণের পর তারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাতে সিলেটে টহল বাড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এরকম ঘটনা সিলেটে নতুন। এর আগে কখনো এরকম অভিনব কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটেনি। সিলেটের জকিগঞ্জের আবদুল মতিন চৌধুরী পরিবার পরিজন নিয়ে প্রায় ৬ বছর ধরে নগরীর বিলপাড়ের এক প্রবাসীর বাসায় বসবাস করেন। তিন তলা ১৩ নম্বর বাসার নিচ তলায় তিনি বসবাস করেন। ঘটনা গত শনিবার রাতের। ওই দিন রাত ১১টার দিকে বাসার সব সদস্য এক সঙ্গে রাতের খাবার খান। এরপর যে যার রুমে চলে যান। রাত ১২টার দিকে ঘুমানোর ঠিক আগ মূহূর্তে বাসার কর্তা আবদুল মতিন চৌধুরী বাথরুমে যান। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ হওয়ার পরও তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছিলেন না। ভেতর থেকে লক করা বাথরুমের টেপ দিয়ে অবিরত পানি ঝরছিলো। বিষয়টি নজরে আসে তার ছেলে জুয়েল আহমদ চৌধুরীর। তিনি প্রথমে দরজার বাইরে থেকে তার পিতাকে ডাক দেন। কিন্তু কোনো সাড়া মিলেনি। এরপর জুয়েল বাইরে থেকে বাথরুমের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন- তার পিতা পড়ে আছেন। কোনো জ্ঞান নেই । মাথা কমেডের কাছে আর দেহ বাইরে। তিনি চিৎকার দিলে তার মা ও বোন গিয়ে ধরাধরি করে রুমে নিয়ে আসেন। জুয়েল মানবজমিনকে জানিয়েছেন- তার পিতাকে ধরাধরি করে রুমে নিয়ে আসার পর অনুভব করেন তার মাথাও ঝিনঝিন করছে। এ সময় তিনি তার ভাইকেও ডাক দেন। কিন্তু কোনো সাড়া মিলেনি। উঁকি দিয়ে দেখেন ভাই ও ভাবী অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। জুয়েল তার রুমে গিয়ে দেখেন স্ত্রীও অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। এ সময় জুয়েল দৌড়ে দরজা খুলে বাইরে চলে এসে অনুভব করেন কিছুটা স্বস্তি লাগছে। তাৎক্ষণিক তিনি মোবাইল ফোনে কাছে থাকা আত্মীয়দের বিষয়টি জানান। এরপর জুয়েল ঘরের ভেতরে ঢুকে ড্রইং রুমে আসামাত্র তিনিও অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এদিকে- এ ঘটনার পর স্থানীয়রা ও জুয়েলদের নিকট আত্মীয়রা এম্বুলেন্সে করে তাদের সিলেটের সুবহানীঘাটের ওয়েসিস হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাত ২টার সময় ৬ জনকে অজ্ঞান অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর রোববার জুয়েলসহ তিন জনের জ্ঞান ফিরে। ধীরে ধীরে সবার জ্ঞান ফিরেছে এবং তারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদিকে- এ ঘটনার পর তোলপাড় শুরু হয় এলাকায়। স্থানীয় পঞ্চায়েতের সেক্রেটারি জানান- বিষয়টি প্রথমে বেশি লোক জানতো না। যখন সবাই জানলো তখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর সবাই সতর্ক হয়েছেন। এদিকে- ঘটনার দিন রাতে বিলপাড়ের পার্শ্ববর্তী কয়েস মিয়ার বাসায় গ্রিল কেটে তিন চোর প্রবেশের চেষ্টা চালায়। রাতে বাসার লোকজন ধাওয়া করে এক চোরকে আটক করেন। এরপর তাকে মারধর করে সকালে ছেড়ে দেয়া হয়। বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়নি। স্থানীয়রা ধারণা করেন- যারা কয়েস মিয়ার বাসার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিল তারাই স্প্রে পার্টির সদস্য। এদিকে- এ ঘটনা রোববার রাতে জানতে পারে পুলিশ। সিলেটের লামাবাজার ফাঁড়ির পুলিশ রাতেই ওই বাসা পরিদর্শন করে। তারা এলাকাবাসীর মুখ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে রোববার রাতে ওই এলাকাসহ ফাঁড়ির নিয়ন্ত্রিত আশপাশ এলাকায় টহল জোরদার করেন। রাতে মাঠে ছিলেন লামাবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন- পুলিশ খবর পাওয়ার পর ফাঁড়ির সব এলাকায় টহল বাড়িয়েছে। আর যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে। সিলেটের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক জানিয়েছেন- এ ঘটনার পর এলাকার মানুষও সতর্ক রয়েছে। আতঙ্ক কাটাতে পুলিশও তৎপর বলে জানান তিনি।
No comments