বিদ্যুতের দাম ফের বাড়লো

বিদ্যুতের দাম ফের বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন- বিইআরসি। গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে ইউনিট প্রতি ৩৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে।

আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে এই দর কার্যকর হবে।
 
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত জানায়।

২০১০ সালের ১ মার্চ থেকে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ বছরে খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে ৭ বার বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম।

মাঝে দুই বছর বিরতি দিয়ে আবারো বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো।

সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি জানায়, বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ও কোম্পানিগুলোর নিট বিদ্যুৎ বিতরণ খরচ বৃদ্ধি বিবেচনায় সব বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ও কোম্পানির বিদ্যুতের খুচরা মূল্যহার ৩৫ পয়সা করে বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ এ বৃদ্ধির হার গড়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গত সেপ্টেম্বরে বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে শুনানির আয়োজন করে। সেখানে পাইকারিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম প্রায় ১৫ শতাংশ এবং গ্রাহক পর্যায়ে ৬ থেকে সাড়ে ১৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব আসে।

এর মধ্যে ডিপিডিসি গ্রাহক পর্যায়ে ৬.২৪ শতাংশ, ডেসকো ৬.৩৪ শতাংশ, ওজোপাডিকো ১০.৩৬ শতাংশ, আরইবি ১০.৭৫ শতাংশ এবং পিডিবি ১৪.৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়।

বিইআরসির আইন অনুযায়ী গণশুনানি করার পর ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

তবে আজকের সিদ্ধান্তে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়নি।

বিইআরসি জানিয়েছে, বিদ্যুতের দাম পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে সব শ্রেণির গ্রাহকের স্বার্থ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর আর্থিক প্রভাব, বিত্তহীন ও নিম্নবিত্তহীনসহ সব গ্রাহকের ওপর আর্থিক চাপ হ্রাস- সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সচিব মুহ. মাহবুবর রহমান বলেন, বিদ্যুতের ন্যূনতম চার্জ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে ৩০ লাখ লাইফ লাইন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল কমে আসবে। এছাড়া বাপবিবো’র ৬০ লাখ লাইফ লাইন গ্রাহকের জন্য খুচরা বিদ্যুৎ মূল্যহার অপরিবর্তিত থাকবে। ফলে সারাদেশে মোট গ্রাহকের প্রায় ৩৮ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল বৃ্দ্ধি পাবে না।

No comments

Powered by Blogger.