|
এ বছর ‘মেরিল-প্রথম আলো’ আজীবন সম্মাননা পেলেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কবরী। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল তাঁর হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেন অভিনয়শিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম। পাশে স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী |
‘পুরস্কারের আরেকটি নাম হচ্ছে ভালোবাসা।
পুরস্কার যখন যাঁকেই দেওয়া হোক না কেন, সেটা নিশ্চয়ই ভালোবেসেই দেওয়া হয়।
তাঁর কর্মকে, তাঁকে ভালোবাসার মোড়কে মেরিল-প্রথম আলো বন্দী করেছে। আমি
সবাইকে নিয়েই এটি উপভোগ করতে চাই।’ কর্মের সেই স্বীকৃতি, বাঙালির আজীবনের
ভালোবাসার সেই সম্মাননা স্মারক হাতে নিয়ে গত সন্ধ্যায় কথাগুলো বললেন
বাংলা চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে কবরী। দেশের সংস্কৃতি ও বিনোদন অঙ্গনের
অন্যতম প্রধান ও আকর্ষণীয় আয়োজন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-২০১৫-এ ‘আজীবন
সম্মাননা ২০১৬’ গ্রহণ করেছেন অভিনেত্রী কবরী। সম্মাননার জন্য নাম ঘোষণার
পর তিনি মঞ্চে উঠে আসেন। এ সময় মিলনায়তনভর্তি দর্শক স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসন
থেকে দাঁড়িয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শেরেবাংলা
নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে আয়োজিত জমকালো
এই অনুষ্ঠানের প্রথম দিকেই তাঁর হাতে সম্মাননার ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেওয়া
হয়। এ সময় মঞ্চে ছিলেন নাট্যজন সৈয়দ হাসান ইমাম, স্কয়ার টয়লেট্রিজের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী ও প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। কবরীর
হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দিয়ে তাঁর গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দেন সৈয়দ হাসান
ইমাম ও সম্মাননার চেক তুলে দেন অঞ্জন চৌধুরী। কবরী বলেন, ‘আলোয় আলোয়
আমরা আবার নতুন করে মুক্তি পেতে চাই। আজ একদিকে আমার পুরস্কার পাওয়ার
আনন্দ, আরেক দিকে মুক্তির প্রত্যাশা। একদিকে কান্না, একদিকে ভালোবাসা।
কাকে রেখে কাকে গ্রহণ করব, এ রকম একটা সময় আমরা কাটাচ্ছি। পুরস্কার পাওয়ার
যে আনন্দ, সেটা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। প্রতিবছর এই দিনে অনেক মানুষের
সমাগমে আমরা নতুন করে উদ্দীপ্ত হই, আমাদের নতুন করে বাঁচার সাধ হয়। আবার
নতুন করে একটা উদ্দীপনা নিয়ে এখান থেকে ফিরে যাই। যখনই রাস্তায় যাই, তখনই
আবার সেই পিছুটান, আসলে কি আমরা ভালো থাকতে পারব? আমরা অবশ্যই ভালো থাকতে
পারব, যদি সবার সম্মিলিত চেষ্টা থাকে। জীবন কিন্তু একটা যুদ্ধক্ষেত্র। এই
যুদ্ধক্ষেত্রে কিন্তু আমরা পরাজয় বরণ করতে রাজি নই। আমি যেমন সেই ছোটবেলা
থেকে এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি, আমি আশা করি, আমার মতো অনেকেই এ পর্যন্ত
এসেছেন, আমার চেয়ে অনেক ভালো কাজ করেছেন এবং আগামীতেও আসবেন। এই প্রত্যাশা
রেখেই আমি আমার ভালোবাসা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিলাম।’আ
No comments