গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে ১০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট খালি
এক বছরের বেশি সময় ধরে নতুন অ্যাপার্টমেন্টে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে প্রায় ১০ হাজার সম্পূর্ণ প্রস্তুত অ্যাপার্টমেন্ট খালি পড়ে আছে। এগুলোর বাজারমূল্য প্রায় আট হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বিদ্যুৎসংযোগের অভাবে ৭০০-র বেশি নতুন প্রকল্পের আরও প্রায় ১০ হাজার অ্যাপার্টমেন্টের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
দেশের আবাসন খাতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান শেলেটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌফিক এম সেরাজ এ তথ্য দিয়েছেন।
রাজধানী ঢাকার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট কিছুটা কাটানোর জন্য বাসাবাড়িতে প্রি-পেইড মিটার বসানোরও সুপারিশ করেন তৌফিক এম সেরাজ। এতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অপচয় বন্ধ হবে এবং নতুন নতুন অ্যাপার্টমেন্ট ও বাসায় গ্যাসের সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর পশ্চিম পান্থপথে শেলেটকের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তৌফিক এম সেরাজ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি দেশের নির্মাণশিল্পের ধ্বংসের আশঙ্কা ও সমাধানের সুপারিশমালা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ সময় শেলেটকের পরিচালক (উন্নয়ন) তানভীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তৌফিক এম সেরাজ আরও বলেন, ১২ হাজারের বেশি ক্রেতা বিভিন্ন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করেছেন। কিন্তু গ্যাস ও বিদ্যুৎসংযোগ না থাকায় তাঁরা এসব অ্যাপার্টমেন্টে বাস করতে পারছেন না। ফলে এসব ক্রেতাকে একদিকে প্রতি মাসে ভাড়া বাবদ প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যাংকঋণের সুদ বাবদ প্রতি মাসে ৪৫ কোটি টাকা সুদ গুনতে হচ্ছে।
আবার প্রবাসীদের কাছে অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি কমে যাওয়ায় ৮০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন কমে গেছে। বিগত মাসগুলোয় অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি ৩৫ শতাংশের বেশি কমে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তৌফিক এম সেরাজ বলেন, শেয়ারবাজারের মারাত্মক বিপর্যয়ের কারণে ৩২ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিনিয়োগকারীদের অনেকেই মুনাফার টাকা বাসস্থানের জন্য ব্যয় করেন। কিন্তু বর্তমানে মুনাফা তো দূরের কথা, মূলধনই অনেক কমে গেছে। এ ধরনের ক্রেতাসাধারণ নিকট-ভবিষ্যতে আর বাসস্থানের জন্য অর্থ ব্যয় করতে পারবেন না। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রবাসী ক্রেতার সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
তৌফিক এম সেরাজ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আবাসন খাতে বিপর্যয় হলে এ খাতের সঙ্গে জড়িত টাইলস, সিমেন্ট, এমএস রড, ইট, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, আসবাব ইত্যাদিসহ আরও অনেক সংযোগশিল্পের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
দেশের আবাসন খাতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান শেলেটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌফিক এম সেরাজ এ তথ্য দিয়েছেন।
রাজধানী ঢাকার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট কিছুটা কাটানোর জন্য বাসাবাড়িতে প্রি-পেইড মিটার বসানোরও সুপারিশ করেন তৌফিক এম সেরাজ। এতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অপচয় বন্ধ হবে এবং নতুন নতুন অ্যাপার্টমেন্ট ও বাসায় গ্যাসের সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর পশ্চিম পান্থপথে শেলেটকের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তৌফিক এম সেরাজ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি দেশের নির্মাণশিল্পের ধ্বংসের আশঙ্কা ও সমাধানের সুপারিশমালা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ সময় শেলেটকের পরিচালক (উন্নয়ন) তানভীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তৌফিক এম সেরাজ আরও বলেন, ১২ হাজারের বেশি ক্রেতা বিভিন্ন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করেছেন। কিন্তু গ্যাস ও বিদ্যুৎসংযোগ না থাকায় তাঁরা এসব অ্যাপার্টমেন্টে বাস করতে পারছেন না। ফলে এসব ক্রেতাকে একদিকে প্রতি মাসে ভাড়া বাবদ প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যাংকঋণের সুদ বাবদ প্রতি মাসে ৪৫ কোটি টাকা সুদ গুনতে হচ্ছে।
আবার প্রবাসীদের কাছে অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি কমে যাওয়ায় ৮০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন কমে গেছে। বিগত মাসগুলোয় অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি ৩৫ শতাংশের বেশি কমে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তৌফিক এম সেরাজ বলেন, শেয়ারবাজারের মারাত্মক বিপর্যয়ের কারণে ৩২ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিনিয়োগকারীদের অনেকেই মুনাফার টাকা বাসস্থানের জন্য ব্যয় করেন। কিন্তু বর্তমানে মুনাফা তো দূরের কথা, মূলধনই অনেক কমে গেছে। এ ধরনের ক্রেতাসাধারণ নিকট-ভবিষ্যতে আর বাসস্থানের জন্য অর্থ ব্যয় করতে পারবেন না। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রবাসী ক্রেতার সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
তৌফিক এম সেরাজ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আবাসন খাতে বিপর্যয় হলে এ খাতের সঙ্গে জড়িত টাইলস, সিমেন্ট, এমএস রড, ইট, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, আসবাব ইত্যাদিসহ আরও অনেক সংযোগশিল্পের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
No comments