গুডলাককে জয়ী ঘোষণা উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক দাঙ্গা
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথনকে জয়ী ঘোষণা করেছে দেশটির স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার খবরে দেশটির মুসলিম-অধ্যুষিত অঞ্চলে ব্যাপক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় অনেক লোক এলাকা ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে।
স্বাধীন নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) প্রার্থী গুডলাক জোনাথন ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। গত সোমবার রাতে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, জোনাথন পেয়েছেন দুই কোটি ২৫ লাখ ভোট। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ও সাবেক শামরিক শাসক মুহাম্মাদু বুহারি পেয়েছেন এক কোটি ২২ লাখ ভোট।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা জানিয়েছেন, যুক্তিযুক্তভাবেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু বুহারির সমর্থকেরা ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনায় দেশটির উত্তরাঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
গুডলাক জোনাথন নাইজেরিয়ার নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতাকে ‘অপ্রয়োজনীয় ও এড়ানোযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে জাতীয় স্বার্থে বিরোধীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের স্থিতিশীলতা, শান্তি ও সমৃদ্ধির স্বার্থেই সহিংসতা বন্ধ করা উচিত। তাই আমি সব রাজনৈতিক নেতা, বিশেষত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতি তাঁদের সমর্থকদের সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানানোর অনুরোধ করছি।’
এদিকে রেডক্রস জানিয়েছে, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে। নাইজেরিয়ায় রেডক্রসের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সমন্বয়ক উমর আবদুল জানান, তুলনামূলকভাবে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে সহিংসতায় অনেক লোক বিশেষত কাদুনা, কাতসিনা ও জাম্ফারায় নিহত হয়েছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে জানান, কানো শহরে অনেক মানুষ নিহত হয়েছে। অনেকে বাড়িঘর হারিয়েছে। অনেকের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মানুষ এখন সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।
কানো শহরে যেসব বাড়িতে জোনাথনের ছবিসংবলিত পোস্টার লাগানো হয়েছে, সেসব বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সড়কগুলোতে যুবকেরা দল বেঁধে বুহারির সমর্থনে স্লোগানও দেয়।
কাদুনা শহরে ২৪ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাদুনার উত্তর ও দক্ষিণের এলাকাগুলোতে জোনাথনবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাজা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
স্বাধীন নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) প্রার্থী গুডলাক জোনাথন ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। গত সোমবার রাতে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, জোনাথন পেয়েছেন দুই কোটি ২৫ লাখ ভোট। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ও সাবেক শামরিক শাসক মুহাম্মাদু বুহারি পেয়েছেন এক কোটি ২২ লাখ ভোট।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা জানিয়েছেন, যুক্তিযুক্তভাবেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু বুহারির সমর্থকেরা ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনায় দেশটির উত্তরাঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
গুডলাক জোনাথন নাইজেরিয়ার নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতাকে ‘অপ্রয়োজনীয় ও এড়ানোযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে জাতীয় স্বার্থে বিরোধীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের স্থিতিশীলতা, শান্তি ও সমৃদ্ধির স্বার্থেই সহিংসতা বন্ধ করা উচিত। তাই আমি সব রাজনৈতিক নেতা, বিশেষত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতি তাঁদের সমর্থকদের সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানানোর অনুরোধ করছি।’
এদিকে রেডক্রস জানিয়েছে, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে। নাইজেরিয়ায় রেডক্রসের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সমন্বয়ক উমর আবদুল জানান, তুলনামূলকভাবে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে সহিংসতায় অনেক লোক বিশেষত কাদুনা, কাতসিনা ও জাম্ফারায় নিহত হয়েছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে জানান, কানো শহরে অনেক মানুষ নিহত হয়েছে। অনেকে বাড়িঘর হারিয়েছে। অনেকের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মানুষ এখন সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।
কানো শহরে যেসব বাড়িতে জোনাথনের ছবিসংবলিত পোস্টার লাগানো হয়েছে, সেসব বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সড়কগুলোতে যুবকেরা দল বেঁধে বুহারির সমর্থনে স্লোগানও দেয়।
কাদুনা শহরে ২৪ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাদুনার উত্তর ও দক্ষিণের এলাকাগুলোতে জোনাথনবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাজা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
No comments