প্রবাসের খবরঃ চট্টগ্রাম সমিতি কুয়েতের মিলাদুন্নবী সা: উদযাপন by সেলিম রেজা
সম্প্রতি কুয়েত সিটির রাজধানী হোটেলে
চট্টগ্রাম সমিতি, কুয়েতের উদ্যোগে মিলাদুন্নবী সা: উদযাপন উপলে দোয়া,
মিলাদ মাহফিল ও চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের আয়োজন করা হয়।
মিলাদ
মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, বিশেষ
অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা মোয়াজ উদ্দিন আহমেদ,
জহির আজগর চৌধুরী, প্রকৌশলী রফিক উদ্দিন আহমেদ, শফিকুর রহমান, ফয়েজ কামাল,
সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর মিয়া প্রমুখ। সংগঠনের সহসভাপতি আজিজ
উদ্দিন মিন্টুর পরিচালনায় মিলাদ মাহফিলে মাওলানা আবু বক্কর নবী করিম
সা:-এর ওপর বিশদ আলোকপাতসহ দোয়া ও বিশেষ মুনাজাত করেন। আরো উপস্থিত ছিলেন
সংগঠনের আব্দুর রশিদ, শামসুল হক, এম আলম, নাজিম উদ্দিন, মনির, মোহাম্মদ
ইলিয়াছ চৌধুরী, আনোয়ারুল আজিম দিপু, আবু তাহের, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী,
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, বাবুল চৌধুরী, মোহাম্মদ ইউসুপ, মহসিন আল মানিক, সুমন
বড়ুয়া, নাসির উদ্দিন, মো: আফসার, সেলিম রেজা প্রমুখ। এ ছাড়াও বিভিন্ন
রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক সংগঠনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা
উপস্থিত ছিলেন। মেজবানের তবারুক বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
নিউ ইয়র্কে জামায়াত নেতাদের মুক্তি দাবি : এনা নিউ ইয়র্ক থেকে জানায়, ‘ইসলাম ধর্মের অবমাননা হয়Ñ এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হবেন না শেখ হাসিনা, এ ধরনের অঙ্গীকার করে রাষ্ট্রমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখন আলেম-ওলামাদের নিঃশেষ করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন’ বলে অভিযোগ করা হয় ৩ ফেব্র“য়ারি নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে। তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যে জ্যাকসন হাইটস প্লাজায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় প্রবাসে জামায়াত-শিবিরের সমর্থকদের সমন্বয়ে গঠিত ‘কোয়ালিশন অব বাংলাদেশী-আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন’র ব্যানারে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে বন্দী জামায়াত নেতাদের পোস্টার বহন করেন অনেকে। বক্তারা প্রচণ্ড ােভের সাথে বলেন, সাঈদীর কিছু হলে সরকার রেহাই পাবে না। সাজানো মামলার নেপথ্য কাহিনী আজ আর কারোরই অজানা নেই। বক্তারা উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক প্রতিপকে সায়েস্তার অভিপ্রায়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ ইস্যু সামনে আনা হয়েছে। তারা বলেন, ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিকভাবে ‘বাংলাদেশের ওয়ারক্রাইম ট্রাইব্যুনাল’র সমালোচনা হচ্ছে এবং মামলা চালানো হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেÑ এটিও বলা হচ্ছে। বক্তারা বলেন, জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির বাংলাদেশে একটি আদর্শিক সংগঠন কিন্তু বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার সেই জামায়াত ও শিবিরের ওপরে পেটোয়া পুলিশ বাহিনী এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনা মনে করছেন শিবির এবং জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেল বাংলাদেশে ইসলাম নিশ্চিহ্ন হবে। নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনাকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই জামায়াতে ইসলামি এবং ইসলামী ছাত্রশিবির বানের পানিতে ভেসে আসেনি। ছাত্রশিবিরের কর্মীদের ওপরে আরেকটি গুলি চললে এবং মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে কিছু হলে সারা দেশ অচল করে দেয়া হবে। তারা বলেন, ‘মাওলানা আবুল কালাম আযাদের ফাঁসির রায় দিয়ে আপনারা মনে করছেন পার পেয়ে গেলেন কিন্তু মাওলানা আবুল কামাল আযাদ এবং দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এক বিষয় নয়।’ তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার হচ্ছে ইসলামের শত্র“ এবং জালেম সরকার। তারা মানবতাবিরোধী বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল বন্ধের দাবি জানান এবং মাওলানা সাঈদী, গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লা, আলী আহসান মুজাহিদসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দাবি করেন। সেই সাথে জামায়াত এবং শিবিরকর্মীদের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান।
কানাডা বিএনপির আলোচনা সভা : শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৭৭তম জন্মদিন উপলে কানাডা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে সম্প্রতি এক দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, শহীদ জিয়া ও বাংলাদেশ এক অবিচ্ছেদ্য ইতিহাস। ’৭১ এ মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তিনি দিকভ্রান্ত জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি সঙ্কটকালে তিনি জাতির হাল ধরেছেন এবং দেশের মানুষকে সঠিক নির্দেশনা দিয়েছেন। ’৭২-’৭৫ সময়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের চরম ব্যর্থতা, দুর্নীতি ও দুঃশাসনে দেশ তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছিল। ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে মতার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। শহীদ জিয়ার সততা, বিচণতা, দেশপ্রেম ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেশকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যায়। তিনি একদলীয় বাকশালের পরিবর্তে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা জাতিকে উপহার দিয়েছেন। ফিরিয়ে দিয়েছেন জনগণের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার রহমান বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন। সভায় বক্তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি ও অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের জোর দাবি জানান। কানাডা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন, কানাডা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরমান মিয়া মাস্টার, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দেওয়ান এবিএম আব্দুর রাজ্জাক রাজু ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া, সহসভাপতি মারিফুর রহমান, জিয়া পরিষদ সভাপতি নবী হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল কানাডা শাখার সভাপতি আবুল বাসার মানিক, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, কুইবেক প্রাদেশিক বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ও সহসভাপতি ফকরুল ইসলাম, মন্ট্রিয়ল সিটি বিএনপির সভাপতি কামরুল ইসলাম, আব্দুর রহিম আল ইদ্রিস, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জামাল উদ্দিন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।
ইসলামী নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পরিণতি হবে ভয়াবহ : মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমন ও দেশের ইসলামি শক্তিকে চিরতরে নির্মূল করার লক্ষ্যে আওয়ামী-বাকশালী সরকার সাবেক মন্ত্রী ও আইনপ্রণেতাসহ জনগণের শ্রদ্ধাভাজন শীর্ষস্থানীয় ইসলামি নেতৃবৃন্দকে ফাঁসিতে ঝুলানোর যে চক্রান্ত চালাচ্ছে তা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত আলেম-ওলামা ও জনতার এক প্রতিবাদ সমাবেশে। তারা বলেন, এ ধরনের চক্রান্তের ফলাফল হবে ভয়াবহ।
ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য আটক বিশ্বখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ জামায়াত ও বিএনপি নেতৃবৃন্দসহ বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে নিক্ষেপ এবং নজিরবিহীন অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়ে প্রকারান্তরে সমগ্র দেশকে বিশাল কারাগারে পরিণত করার প্রতিবাদে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রোববার সন্ধ্যায় সিটির জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ ও ৭৪ স্ট্রিটের মধ্যবর্তী উদ্যানে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশী আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন এ সমাবেশের আয়োজন করে।
মজলিসে শূরা নিউ ইয়র্কের প্রধান ইমাম তালিব রশিদের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আবু সামীহাহ সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্্রাট, ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকার (ইকনা) তাহির আনসারী, ইসলামিক ওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্সের নেতা মুবাশ্বির আহমেদ, ইমাম আইয়ুব আল বাকী, সাঈদী মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল খালেক, অ্যাডভোকেট আবুল হাশিম, নারী নেত্রী রোকেয়া আহমেদ ডেইজি, মাওলানা ওবায়দুল হক, দিদারুল আলম, মাওলানা আহমেদ আবু ওবায়দা, মাওলানা জুনায়েদ প্রমুখ।
নিউ ইয়র্কে জামায়াত নেতাদের মুক্তি দাবি : এনা নিউ ইয়র্ক থেকে জানায়, ‘ইসলাম ধর্মের অবমাননা হয়Ñ এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হবেন না শেখ হাসিনা, এ ধরনের অঙ্গীকার করে রাষ্ট্রমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখন আলেম-ওলামাদের নিঃশেষ করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন’ বলে অভিযোগ করা হয় ৩ ফেব্র“য়ারি নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে। তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যে জ্যাকসন হাইটস প্লাজায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় প্রবাসে জামায়াত-শিবিরের সমর্থকদের সমন্বয়ে গঠিত ‘কোয়ালিশন অব বাংলাদেশী-আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন’র ব্যানারে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে বন্দী জামায়াত নেতাদের পোস্টার বহন করেন অনেকে। বক্তারা প্রচণ্ড ােভের সাথে বলেন, সাঈদীর কিছু হলে সরকার রেহাই পাবে না। সাজানো মামলার নেপথ্য কাহিনী আজ আর কারোরই অজানা নেই। বক্তারা উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক প্রতিপকে সায়েস্তার অভিপ্রায়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ ইস্যু সামনে আনা হয়েছে। তারা বলেন, ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিকভাবে ‘বাংলাদেশের ওয়ারক্রাইম ট্রাইব্যুনাল’র সমালোচনা হচ্ছে এবং মামলা চালানো হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেÑ এটিও বলা হচ্ছে। বক্তারা বলেন, জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির বাংলাদেশে একটি আদর্শিক সংগঠন কিন্তু বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার সেই জামায়াত ও শিবিরের ওপরে পেটোয়া পুলিশ বাহিনী এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনা মনে করছেন শিবির এবং জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেল বাংলাদেশে ইসলাম নিশ্চিহ্ন হবে। নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনাকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই জামায়াতে ইসলামি এবং ইসলামী ছাত্রশিবির বানের পানিতে ভেসে আসেনি। ছাত্রশিবিরের কর্মীদের ওপরে আরেকটি গুলি চললে এবং মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে কিছু হলে সারা দেশ অচল করে দেয়া হবে। তারা বলেন, ‘মাওলানা আবুল কালাম আযাদের ফাঁসির রায় দিয়ে আপনারা মনে করছেন পার পেয়ে গেলেন কিন্তু মাওলানা আবুল কামাল আযাদ এবং দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এক বিষয় নয়।’ তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার হচ্ছে ইসলামের শত্র“ এবং জালেম সরকার। তারা মানবতাবিরোধী বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল বন্ধের দাবি জানান এবং মাওলানা সাঈদী, গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লা, আলী আহসান মুজাহিদসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দাবি করেন। সেই সাথে জামায়াত এবং শিবিরকর্মীদের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান।
কানাডা বিএনপির আলোচনা সভা : শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৭৭তম জন্মদিন উপলে কানাডা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে সম্প্রতি এক দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, শহীদ জিয়া ও বাংলাদেশ এক অবিচ্ছেদ্য ইতিহাস। ’৭১ এ মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তিনি দিকভ্রান্ত জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি সঙ্কটকালে তিনি জাতির হাল ধরেছেন এবং দেশের মানুষকে সঠিক নির্দেশনা দিয়েছেন। ’৭২-’৭৫ সময়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের চরম ব্যর্থতা, দুর্নীতি ও দুঃশাসনে দেশ তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছিল। ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে মতার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। শহীদ জিয়ার সততা, বিচণতা, দেশপ্রেম ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেশকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যায়। তিনি একদলীয় বাকশালের পরিবর্তে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা জাতিকে উপহার দিয়েছেন। ফিরিয়ে দিয়েছেন জনগণের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার রহমান বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন। সভায় বক্তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি ও অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের জোর দাবি জানান। কানাডা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন, কানাডা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরমান মিয়া মাস্টার, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দেওয়ান এবিএম আব্দুর রাজ্জাক রাজু ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া, সহসভাপতি মারিফুর রহমান, জিয়া পরিষদ সভাপতি নবী হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল কানাডা শাখার সভাপতি আবুল বাসার মানিক, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, কুইবেক প্রাদেশিক বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ও সহসভাপতি ফকরুল ইসলাম, মন্ট্রিয়ল সিটি বিএনপির সভাপতি কামরুল ইসলাম, আব্দুর রহিম আল ইদ্রিস, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জামাল উদ্দিন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।
ইসলামী নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পরিণতি হবে ভয়াবহ : মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমন ও দেশের ইসলামি শক্তিকে চিরতরে নির্মূল করার লক্ষ্যে আওয়ামী-বাকশালী সরকার সাবেক মন্ত্রী ও আইনপ্রণেতাসহ জনগণের শ্রদ্ধাভাজন শীর্ষস্থানীয় ইসলামি নেতৃবৃন্দকে ফাঁসিতে ঝুলানোর যে চক্রান্ত চালাচ্ছে তা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত আলেম-ওলামা ও জনতার এক প্রতিবাদ সমাবেশে। তারা বলেন, এ ধরনের চক্রান্তের ফলাফল হবে ভয়াবহ।
ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য আটক বিশ্বখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ জামায়াত ও বিএনপি নেতৃবৃন্দসহ বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে নিক্ষেপ এবং নজিরবিহীন অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়ে প্রকারান্তরে সমগ্র দেশকে বিশাল কারাগারে পরিণত করার প্রতিবাদে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রোববার সন্ধ্যায় সিটির জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ ও ৭৪ স্ট্রিটের মধ্যবর্তী উদ্যানে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশী আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন এ সমাবেশের আয়োজন করে।
মজলিসে শূরা নিউ ইয়র্কের প্রধান ইমাম তালিব রশিদের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আবু সামীহাহ সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্্রাট, ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকার (ইকনা) তাহির আনসারী, ইসলামিক ওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্সের নেতা মুবাশ্বির আহমেদ, ইমাম আইয়ুব আল বাকী, সাঈদী মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল খালেক, অ্যাডভোকেট আবুল হাশিম, নারী নেত্রী রোকেয়া আহমেদ ডেইজি, মাওলানা ওবায়দুল হক, দিদারুল আলম, মাওলানা আহমেদ আবু ওবায়দা, মাওলানা জুনায়েদ প্রমুখ।
যুক্তরাজ্যে ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ : ১৮ দলীয় জোটের যুক্তরাজ্য শাখার উদ্যোগে এক সমাবেশে বক্তারা দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস-নিপীড়নকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস উল্লেখ করে বলেন, আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। এখন সময় এসেছে পাল্টা জবাব দেয়ার।
১৮ দলীয় জোট যুক্তরাজ্য শাখার উদ্যোগে এক বিশাল সমাবেশ গত ৩ জানুয়ারি রোববার লন্ডনের ব্লুমুন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জোটের অন্যতম আহ্বায়ক যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ মালিকের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ মুহিদুর রহমান, জমিয়তে ওলামা ইউরোপের আমির মুফতি শাহ সদর উদ্দিন, সেইভ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম, খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্যের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আব্দুল কাদির সালেহ, প্রবীণ বিএনপি নেতা ড. শামসুদ্দীন খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, দাওয়াতুল ইসলাম ইউকের নেতা মাওলানা আবুল হাসনাত, মানবাধিকার সংগঠক বদরুদ্দোজা মনোয়ার প্রমুখ।
বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মুহিদুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট আচরণ শেখ মুজিবের বাকশালকেও ছাড়িয়ে গেছে।
মুফতি শাহ সদর উদ্দিন আওয়ামী লীগকে ইসলাম বিদ্বেষী মানবতার শত্রু আখ্যায়িত করে বলেনÑ সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ইসলামবিরোধী আওয়ামী লীগের সামনে ভয়াবহ দিন অপো করছে।
ইসলামি নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পরিণতি হবে ভয়াবহ
নিউ ইয়র্ক থেকে সংবাদদাতা জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমন ও দেশের ইসলামি শক্তিকে চিরতরে নির্মূল করার লক্ষ্যে আওয়ামী-বাকশালী সরকার সাবেক মন্ত্রী ও আইন প্রণেতাসহ শীর্ষস্থানীয় ইসলামি নেতৃবৃন্দকে ফাঁসিতে ঝুলানোর যে চক্রান্ত চালাচ্ছে তা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত আলেম ওলামা ও জনতার এক প্রতিবাদ সমাবেশে। তারা বলেন, এ ধরনের চক্রান্তের ফল হবে ভয়াবহ।
ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য আটক বিশ্বখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ জামায়াত ও বিএনপি নেতৃবৃন্দসহ বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে নিক্ষেপ এবং নজিরবিহীন অত্যাচার-নিপীড়ন চালিয়ে প্রকারান্তরে সমগ্র দেশকে বিশাল কারাগারে পরিণত করার প্রতিবাদে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সিটির জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ ও ৭৪ স্ট্রিটের মধ্যবর্তী উদ্যানে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশী আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনস এ সমাবেশের আয়োজন করে।
মজলিসে শূরা নিউ ইয়র্কের প্রধান ইমাম তালিব রশিদের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আবু সামীহাহ সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্্রাট, ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকার (ইকনা) তাহির আনসারী, ইসলামিক ওয়ার্কার্স এলায়েন্সের নেতা মুবাশ্বির আহমেদ, ইমাম আইয়ুব আল বাকী, সাঈদী মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল খালেক, অ্যাডভোকেট আবুল হাশিম, নারী নেত্রী রোকেয়া আহমেদ ডেইজি, মাওলানা আহমেদ আবু ওবায়দা, মাওলানা জুনায়েদ প্রমুখ।
তারা সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে মিথ্যা অভিযোগে আটক রাজনৈতিক নেতা ও ইসলামি চিন্তাবিদদের মুক্তি না দিলে দেশে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। প্রবাস থেকে সে আন্দোলনকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে আমরা প্রস্তুত। তারা আশা করেন, সময় থাকতে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
No comments