সাফল্য- বিষমুক্ত সবজি চাষের মডেল বগুড়ার শেরপুরের ভাটরা গ্রাম by আকরাম হোসাইন
বিষমুক্ত সবজি গ্রামের মডেল হতে যাচ্ছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর
ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামটি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইকোনমিক গ্রোথ প্রোগ্রাম
প্রকল্পের আওতায় এবং শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় এই
গ্রামের চাষিরা বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদন করছেন।
দেশের
কৃষকেরা যখন সবজি উৎপাদনে অধিকমাত্রায় বালাইনাশক ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ
করেন, তখন ভাটরা গ্রামের চাষিরা বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিষমুক্ত
নিরাপদ সবজি আবাদ করছেন।
ভাটরা গ্রামের চাষি মো: কবির আলম জানান, তিনি ৩০ শতাংশ জমিতে বিজলি জাতের মরিচ আবাদ করেছেন। জমিতে কোনো কীটনাশক প্রয়োগ করেননি। পোকা দমন করতে তিনি সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করছেন। টমেটোচাষি রেজাউল করিম জানান, তিনি ১৫ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করেছেন কোনো রকম বালাইনাশক ব্যবহার না করেই। তিনি জানান, কিন কাল্টিভেশন পদ্ধতি ও জৈব কীটনাশক যেমন নিম পাতার নির্যাস ব্যবহার করে বিষমুক্ত টমেটো আবাদ করেছেন। কৃষক মামুনুর রশিদ জানান, তিনিই প্রথম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরামর্শে এই গ্রামে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিষমুক্ত সবজি আবাদ করেছিলেন। তার দেখাদেখি ভাটরা গ্রামের অনেকেই এখন বিষমুক্ত সবজি আবাদ করছেন।
তাদের বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনপদ্ধতি শেরপুর উপজেলা কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে গত ১ ফেব্র“য়ারি ভাটরা গ্রামে নিরাপদ সবজি উৎপাদনপ্রযুক্তি শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। মাঠ দিবসে শেরপুর উপজেলার শতাধিক চাষি অংশ নেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বগুড়ার উপপরিচালক কৃষিবিদ এ এইচ বজলুর রশীদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এবং বাংলাদেশ ইকোনমিক গ্রোথ প্রোগ্রাম প্রকল্পের পরিচালক মো: মাহফুজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাহমুদুল আলম, শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আবদুর রহিম, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: জুলফিকার হায়দার প্রধান, প্রকল্পের কনসালটেন্ট ড. এ কে এম কামরুজ্জামান ও ড. মো: শারফ উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে কৃষক হায়দার আলী খান, মনিজা বেগম, মামুনুর রশিদ ও রেজাউল করিম বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ ইকোনমিক গ্রোথ প্রোগ্রাম প্রকল্পের পরিচালক মো: মাহফুজুর রহমান জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ভোক্তার চাহিদা মোতাবেক নিরাপদ, মানসম্পন্ন সবজি উৎপাদনপ্রযুক্তি সম্প্রসারণে বেগুন, টমেটো, লাউ ও মরিচের মাঠ প্রদর্শনী ও কন্ট্রাক্ট ফার্মিং কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম জানান, সবজি উৎপাদন কালে ও উৎপাদন-পরবর্তী সংরণের জন্য বিভিন্ন ধরনের তিকর রাসায়নিক প্রতিনিয়ত মাটি, পানি, তথা পরিবেশদূষিত করে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ভাটরা গ্রামের উদ্যমী চাষিরা বিষমুক্ত সবজি চাষ করে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে ভূমিকা রাখছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রহিম বলেন, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে উৎপাদিত সবজি খেয়ে মানুষ হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে কৃষকদের আরো আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ভাটরা গ্রামের চাষি মো: কবির আলম জানান, তিনি ৩০ শতাংশ জমিতে বিজলি জাতের মরিচ আবাদ করেছেন। জমিতে কোনো কীটনাশক প্রয়োগ করেননি। পোকা দমন করতে তিনি সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করছেন। টমেটোচাষি রেজাউল করিম জানান, তিনি ১৫ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করেছেন কোনো রকম বালাইনাশক ব্যবহার না করেই। তিনি জানান, কিন কাল্টিভেশন পদ্ধতি ও জৈব কীটনাশক যেমন নিম পাতার নির্যাস ব্যবহার করে বিষমুক্ত টমেটো আবাদ করেছেন। কৃষক মামুনুর রশিদ জানান, তিনিই প্রথম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরামর্শে এই গ্রামে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিষমুক্ত সবজি আবাদ করেছিলেন। তার দেখাদেখি ভাটরা গ্রামের অনেকেই এখন বিষমুক্ত সবজি আবাদ করছেন।
তাদের বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনপদ্ধতি শেরপুর উপজেলা কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে গত ১ ফেব্র“য়ারি ভাটরা গ্রামে নিরাপদ সবজি উৎপাদনপ্রযুক্তি শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। মাঠ দিবসে শেরপুর উপজেলার শতাধিক চাষি অংশ নেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বগুড়ার উপপরিচালক কৃষিবিদ এ এইচ বজলুর রশীদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এবং বাংলাদেশ ইকোনমিক গ্রোথ প্রোগ্রাম প্রকল্পের পরিচালক মো: মাহফুজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাহমুদুল আলম, শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আবদুর রহিম, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: জুলফিকার হায়দার প্রধান, প্রকল্পের কনসালটেন্ট ড. এ কে এম কামরুজ্জামান ও ড. মো: শারফ উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে কৃষক হায়দার আলী খান, মনিজা বেগম, মামুনুর রশিদ ও রেজাউল করিম বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ ইকোনমিক গ্রোথ প্রোগ্রাম প্রকল্পের পরিচালক মো: মাহফুজুর রহমান জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ভোক্তার চাহিদা মোতাবেক নিরাপদ, মানসম্পন্ন সবজি উৎপাদনপ্রযুক্তি সম্প্রসারণে বেগুন, টমেটো, লাউ ও মরিচের মাঠ প্রদর্শনী ও কন্ট্রাক্ট ফার্মিং কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম জানান, সবজি উৎপাদন কালে ও উৎপাদন-পরবর্তী সংরণের জন্য বিভিন্ন ধরনের তিকর রাসায়নিক প্রতিনিয়ত মাটি, পানি, তথা পরিবেশদূষিত করে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ভাটরা গ্রামের উদ্যমী চাষিরা বিষমুক্ত সবজি চাষ করে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে ভূমিকা রাখছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রহিম বলেন, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে উৎপাদিত সবজি খেয়ে মানুষ হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে কৃষকদের আরো আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
No comments