সরকারের ভুল নীতির ফলে জ্বালানি খাতে ভর্তুকির দায় জনগণের ওপরে পড়েছেঃ সিপিবি-বাসদ
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল
(বাসদ) নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ভর্তুকি কমানোর অজুহাতে সরকার ছয়বার বিদ্যুতের
মূল্যবৃদ্ধি করেছে।
একই
যুক্তিতে সপ্তমবারের মতো বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করার পাঁয়তারা করছে।
সরকার গ্যাসভিত্তিক বড় বড় বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপন না করে এবং
উৎপাদন কেন্দ্রগুলো বিএমআরই করে উৎপাদনে না গিয়ে, সরকারঘনিষ্ঠ কিছু
ব্যক্তির মালিকানায় তেলভিত্তিক ‘রেন্টাল’ ও ‘কুইক রেন্টাল’
বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পথ গ্রহণ করার ফলে জ্বালানি
তেলের ব্যবহার অত্যাধিক পরিমাণে বেড়ে গেছে। এর ফলে ভর্তুকির পরিমাণও বেড়ে
গেছে। সরকারের ভুল নীতির ফলে এই বর্ধিত ভর্তুকির দায়ভার জনগণের ওপর
চেপেছে। এটা জনগণ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না।
জাতীয় সংসদ অভিমুখে মিছিলের আগে সিপিবি ও বাসদের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস কাবের সামনে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে ডিজেল ও কেরোসিনসহ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল জাতীয় সংসদ অভিমুখে মিছিল করে স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করে।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবীব লাবলু।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপে দেশের মানুষ বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষ যখন জর্জরিত, তখন নতুন করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে জনগণের ওপর এই চাপ আরো বাড়বে। তারা বলেন, সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদী নানা গোষ্ঠীকে খুশি করার জন্য সরকার জনগণের স্বার্থের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় স্বার্থে ডিজেল-কেরোসিনসহ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। একই সাথে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ করতে হবে। জনগণের এই ন্যায়সঙ্গত দাবি না মানলে, গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করা হবে। জামায়াতকে রাজপথে পুলিশি পাহারায় সমাবেশের ব্যবস্থা করে দেয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে সেলিম বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা যখন কর্মসূচি পালন করি তখন সরকার আমাদের ওপর পিপার স্প্রে, জলকামান ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ, লাঠি চার্জ করতে বিশেষভাবে তৎপর হয়ে ওঠে। অথচ যুদ্ধাপরাধীদের দল যখন রাষ্ট্রবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়, তখন রাষ্ট্রের পুলিশ মার খায়। সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল জাতীয় সংসদ অভিমুখে যাত্রা করে ও শাহবাগে পৌঁছলে পুলিশ মিছিলটিকে আটকে দেয়। সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আট সদস্যের প্রতিনিধিদল জাতীয় সংসদ ভবনে গিয়ে স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শামছুজ্জামান সেলিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবীব লাবলু, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাহিদুল হক মিলু, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স।
জাতীয় সংসদ অভিমুখে মিছিলের আগে সিপিবি ও বাসদের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস কাবের সামনে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে ডিজেল ও কেরোসিনসহ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল জাতীয় সংসদ অভিমুখে মিছিল করে স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করে।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবীব লাবলু।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপে দেশের মানুষ বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষ যখন জর্জরিত, তখন নতুন করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে জনগণের ওপর এই চাপ আরো বাড়বে। তারা বলেন, সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদী নানা গোষ্ঠীকে খুশি করার জন্য সরকার জনগণের স্বার্থের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় স্বার্থে ডিজেল-কেরোসিনসহ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। একই সাথে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ করতে হবে। জনগণের এই ন্যায়সঙ্গত দাবি না মানলে, গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করা হবে। জামায়াতকে রাজপথে পুলিশি পাহারায় সমাবেশের ব্যবস্থা করে দেয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে সেলিম বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা যখন কর্মসূচি পালন করি তখন সরকার আমাদের ওপর পিপার স্প্রে, জলকামান ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ, লাঠি চার্জ করতে বিশেষভাবে তৎপর হয়ে ওঠে। অথচ যুদ্ধাপরাধীদের দল যখন রাষ্ট্রবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়, তখন রাষ্ট্রের পুলিশ মার খায়। সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল জাতীয় সংসদ অভিমুখে যাত্রা করে ও শাহবাগে পৌঁছলে পুলিশ মিছিলটিকে আটকে দেয়। সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আট সদস্যের প্রতিনিধিদল জাতীয় সংসদ ভবনে গিয়ে স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শামছুজ্জামান সেলিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবীব লাবলু, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাহিদুল হক মিলু, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স।
No comments