চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে মুখোমুখি আজ বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড
আজ শুক্রবারই শুরু হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও
ইংল্যান্ডের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের মিশন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ
চৌধুরী স্টেডিয়ামে এদিন প্রথম টেস্ট দিয়েই সিরিজের ডামাডোল বাজবে। ম্যাচ
শুরু হবে সকাল সাড়ে নয়টায়।
চট্টগ্রামের এমএ আজিজ
স্টেডিয়ামে একটি টেস্ট জয় আছে বাংলাদেশের। সেটি ২০০৫ সালে জিম্বাবুইয়ের
বিরুদ্ধে। এর পর দেশের মাটিতে আর কোন টেস্ট জিততে পারেনি টাইগাররা। জহুর
আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৭টি টেস্ট খেলেও নয়। বৃষ্টির কল্যাণে ২০০৭ সালে
ভারতের বিরুদ্ধে একটি টেস্ট ড্র হয়। বাকি সবই হারে বাংলাদেশ।
২০০৬ সালে এ স্টেডিয়ামের অভিষেক ম্যাচে ও গত বছর শ্রীলঙ্কার বিরম্নদ্ধে ৮ উইকেটে ও ৪৬৫ রানে, একই বছর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইনিংস ও ৮০ রানে, ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইনিংস ও ২০৫ রানে এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আশা জাগানিয়া ম্যাচে ৩ উইকেটে এবং সর্বশেষ জানুয়ারিতে ভারতের বিরুদ্ধে ১১৩ রানে হারে বাংলাদেশ। এখনও এ মাঠে পাঁচদিন খেলে না জয়ের স্বাদ, না ড্রর স্বাদ পূর্ণ হয়েছে টাইগারদের। এবার কী পারবে টাইগাররা?
বাংলাদেশ দলের কেউই জোর গলায় কিছু বলতে পারছেন না। ঠিক তেমনি ইংলিশ দলও জয়ের কথা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উচ্চারণ করতে পারছে না। দু'দলই ভাল কিছু আশা করছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব চান শুরম্ন যেন ভাল হয়। ইংল্যান্ড অধিনায়ক কুক তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জয়ের ধারা বজায় রাখতে চান।
তবে দু'দলই একজন করে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারের অনুপস্থিতি নিয়েই মাঠে নামছে। টাইগাররা হঠাৎ করেই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেয়া রকিবুল হাসানকে ব্যাটসম্যান হিসেবে পাচ্ছে না। আর ইংলিশরা হারাচ্ছে পেসার গ্রাহাম ওনিয়ন্সকে। পেস এ্যাটাকে প্রথম পছন্দ ওনিয়ন্সকে হারিয়ে আৰেপে পুড়ছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক কুক। কিন্তু রকিবুলের অনুপস্থিতিকে কোন বিষয়ই মনে করছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব। আরেকটি জায়গায় আবার দু'দলই দু'জন করে স্পেশালিস্ট স্পিনার নিয়েই মাঠে নামার সিদ্ধানত্ম চূড়ানত্ম করে রেখেছে। বাংলাদেশ দলে আছেন শাকিব আল হাসান ও আবদুর রাজ্জাক। আর ইংলিশ দলে আছেন গ্রায়েম সোয়ান ও টেস্ট অভিষেক হতে যাওয়া জেমস ট্রেডওয়েল। তবে একটি জায়গাতে অনেক এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশই।
ইংলিশদের বর্তমান দলটিতে শুধু ইয়ান বেল আছেন, যিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিজ দেশে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতায় পুষ্ট। আর বাংলাদেশ দলে রয়েছেন আফতাব আহমেদ, মুশফিকুর রহীম, শাহাদাত হোসেন রাজিব ও এনামুল হক জুনিয়র। এর মধ্যে এনামুল একাদশে নেই। থাকবেন না পেসার শফিউল ইসলাম ও রকিবুলের স্থানে সুযোগ পাওয়া জহুরুল হকও। তবে একাদশে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে মাহমুদুলস্নাহ রিয়াদ ৫ নম্বরে এবং নাঈম ইসলাম খেলবেন রিয়াদের আগের জায়গায়, ৮ নম্বরে।
বাংলাদেশ ৮ ব্যাটসম্যান নিয়ে মাঠে নামবে। সঙ্গে থাকবেন দুই পেসার। ব্যাটিংয়ে ইংলিশদের ঝুলিও তেমনই পূর্ণ। তবে স্পিন এ্যাটাকেই তারা একটু দুর্বল। বাংলাদেশ একাদশে যেখানে প্রসিদ্ধ চার স্পিনার থাকবেন। শাকিব, রাজ্জাক, রিয়াদ ও নাঈম। সেখানে ইংলিশ একাদশে সোয়ান ও ট্রেডওয়েলই ভরসা। পিটারসেনরাও বল ঘোরাতে পারেন। তবে রিয়াদ ও নাঈমের মতো ততটা প্রসিদ্ধ স্পিনার নন। এখানেই পিছিয়ে থাকবে ইংলিশরা। আর ইংলিশদের কাছ থেকে টাইগারদের ভাল ফল অর্জন করার রাসত্মাও এ একটাই। এখন সুযোগ বুঝে কোপ মারতে পারলেই হলো। তাহলে ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরম্নদ্ধে জয় ধরা দিয়েও যা হাতছাড়া হয় এবার তা ধরা দিলেও দিতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের মাটিতে কোন টেস্ট খেলুড়ে দলের বিরম্নদ্ধে টেস্ট জয়ের স্বাদ পূরণ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে।
স্বপ্ন আকাশচুম্বী। তবে আশার আলো বোনার সাহস জোগাচ্ছে বাংলাদেশের বিরম্নদ্ধে ইংলিশদের অনভিজ্ঞতাই। সঙ্গে বাংলাদেশের স্পিন এ্যাটাক মজবুত থাকার বিষয়টিও টাইগারদের অনেক এগিয়ে রাখছে। অনত্মত জয় না হোক, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টেস্ট খেলুড়ে কোন দলের বিরম্নদ্ধে লড়াই করে ড্র আসলেও হয়। চট্টগ্রামের সাগরিকাবাসী আনন্দের উপলৰ পায়। সেই সঙ্গে ক্রিকেটে ব্রিটিশ পরাধীনতা থেকে বের হওয়ার খুশিতে দেশবাসীও আনন্দের জোয়ারে ভাসে। আগের চারবারের মোকাবেলায় একবারও হারেনি ব্রিটিশরা। এবার পারবে কী টাইগাররা তাদের সেই জয়রথ থামিয়ে দিতে?
২০০৬ সালে এ স্টেডিয়ামের অভিষেক ম্যাচে ও গত বছর শ্রীলঙ্কার বিরম্নদ্ধে ৮ উইকেটে ও ৪৬৫ রানে, একই বছর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইনিংস ও ৮০ রানে, ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইনিংস ও ২০৫ রানে এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আশা জাগানিয়া ম্যাচে ৩ উইকেটে এবং সর্বশেষ জানুয়ারিতে ভারতের বিরুদ্ধে ১১৩ রানে হারে বাংলাদেশ। এখনও এ মাঠে পাঁচদিন খেলে না জয়ের স্বাদ, না ড্রর স্বাদ পূর্ণ হয়েছে টাইগারদের। এবার কী পারবে টাইগাররা?
বাংলাদেশ দলের কেউই জোর গলায় কিছু বলতে পারছেন না। ঠিক তেমনি ইংলিশ দলও জয়ের কথা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উচ্চারণ করতে পারছে না। দু'দলই ভাল কিছু আশা করছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব চান শুরম্ন যেন ভাল হয়। ইংল্যান্ড অধিনায়ক কুক তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জয়ের ধারা বজায় রাখতে চান।
তবে দু'দলই একজন করে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারের অনুপস্থিতি নিয়েই মাঠে নামছে। টাইগাররা হঠাৎ করেই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেয়া রকিবুল হাসানকে ব্যাটসম্যান হিসেবে পাচ্ছে না। আর ইংলিশরা হারাচ্ছে পেসার গ্রাহাম ওনিয়ন্সকে। পেস এ্যাটাকে প্রথম পছন্দ ওনিয়ন্সকে হারিয়ে আৰেপে পুড়ছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক কুক। কিন্তু রকিবুলের অনুপস্থিতিকে কোন বিষয়ই মনে করছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব। আরেকটি জায়গায় আবার দু'দলই দু'জন করে স্পেশালিস্ট স্পিনার নিয়েই মাঠে নামার সিদ্ধানত্ম চূড়ানত্ম করে রেখেছে। বাংলাদেশ দলে আছেন শাকিব আল হাসান ও আবদুর রাজ্জাক। আর ইংলিশ দলে আছেন গ্রায়েম সোয়ান ও টেস্ট অভিষেক হতে যাওয়া জেমস ট্রেডওয়েল। তবে একটি জায়গাতে অনেক এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশই।
ইংলিশদের বর্তমান দলটিতে শুধু ইয়ান বেল আছেন, যিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিজ দেশে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতায় পুষ্ট। আর বাংলাদেশ দলে রয়েছেন আফতাব আহমেদ, মুশফিকুর রহীম, শাহাদাত হোসেন রাজিব ও এনামুল হক জুনিয়র। এর মধ্যে এনামুল একাদশে নেই। থাকবেন না পেসার শফিউল ইসলাম ও রকিবুলের স্থানে সুযোগ পাওয়া জহুরুল হকও। তবে একাদশে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে মাহমুদুলস্নাহ রিয়াদ ৫ নম্বরে এবং নাঈম ইসলাম খেলবেন রিয়াদের আগের জায়গায়, ৮ নম্বরে।
বাংলাদেশ ৮ ব্যাটসম্যান নিয়ে মাঠে নামবে। সঙ্গে থাকবেন দুই পেসার। ব্যাটিংয়ে ইংলিশদের ঝুলিও তেমনই পূর্ণ। তবে স্পিন এ্যাটাকেই তারা একটু দুর্বল। বাংলাদেশ একাদশে যেখানে প্রসিদ্ধ চার স্পিনার থাকবেন। শাকিব, রাজ্জাক, রিয়াদ ও নাঈম। সেখানে ইংলিশ একাদশে সোয়ান ও ট্রেডওয়েলই ভরসা। পিটারসেনরাও বল ঘোরাতে পারেন। তবে রিয়াদ ও নাঈমের মতো ততটা প্রসিদ্ধ স্পিনার নন। এখানেই পিছিয়ে থাকবে ইংলিশরা। আর ইংলিশদের কাছ থেকে টাইগারদের ভাল ফল অর্জন করার রাসত্মাও এ একটাই। এখন সুযোগ বুঝে কোপ মারতে পারলেই হলো। তাহলে ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরম্নদ্ধে জয় ধরা দিয়েও যা হাতছাড়া হয় এবার তা ধরা দিলেও দিতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের মাটিতে কোন টেস্ট খেলুড়ে দলের বিরম্নদ্ধে টেস্ট জয়ের স্বাদ পূরণ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে।
স্বপ্ন আকাশচুম্বী। তবে আশার আলো বোনার সাহস জোগাচ্ছে বাংলাদেশের বিরম্নদ্ধে ইংলিশদের অনভিজ্ঞতাই। সঙ্গে বাংলাদেশের স্পিন এ্যাটাক মজবুত থাকার বিষয়টিও টাইগারদের অনেক এগিয়ে রাখছে। অনত্মত জয় না হোক, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টেস্ট খেলুড়ে কোন দলের বিরম্নদ্ধে লড়াই করে ড্র আসলেও হয়। চট্টগ্রামের সাগরিকাবাসী আনন্দের উপলৰ পায়। সেই সঙ্গে ক্রিকেটে ব্রিটিশ পরাধীনতা থেকে বের হওয়ার খুশিতে দেশবাসীও আনন্দের জোয়ারে ভাসে। আগের চারবারের মোকাবেলায় একবারও হারেনি ব্রিটিশরা। এবার পারবে কী টাইগাররা তাদের সেই জয়রথ থামিয়ে দিতে?
No comments