কারাগারে রাজার হালে তানভীর দম্পতি- দুদকের মামলাগুলো মনিটরিং করছেন কারাগারে বসে by মনির হোসেন
দুর্নীতি ও জালয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় চার হাজার কোটি
টাকা হাতিয়ে নেয়া হলমার্ক এমডি তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী জেসমিন
আক্তারের কারাভ্যন্তরে দিন কাটছে অনেকটা রাজারহালে।
প্রতিদিন
রান্না করা খাবার এক কারা কর্মকর্তার বাসা হয়ে কারারক্ষীর মাধ্যমে পৌঁছে
যাচ্ছে কারাগারে। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী না হয়েও তানভীর দম্পতি রান্না করা
খাবার ছাড়াও বাইরের সব সুবিধা অবৈধভাবে ভোগ করছেন। কারাবিধি অনুযায়ী একজন
বন্দীর সাথে স্বজনদের সপ্তাহে এক দিন সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। কিন্তু কারা
প্রশাসন আইনের তোয়াক্তা না করে তানভীরের সাথে স্বজনদের দেখা হচ্ছে
প্রতিদিনই। বিষয়টি এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ওপেন সিক্রেট।
সর্বশেষ গত শনিবার দুপুরে তানভীরের সাথে পরিবারের পরিচয় দিয়ে রনি নামের এক ব্যক্তি কারাগারের নীল কক্ষে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন আরো দুই মহিলা। তারা দু’জন প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করে ফিরে যান। যদিও একজন বন্দীর সাথে সাক্ষাতের সর্বোচ্চ সময় ২০ মিনিট। কিন্তু তানভীর ও তার স্ত্রীর বেলায় তা মোটেও মানা হয় না। জানা গেছে, দুদকের দায়ের হওয়া মামলা মোকাদ্দমার তানভীর নিজেই জেলে বসে খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
গতকাল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা তানভীর ও তার স্ত্রীর কারাগারে রাজারহালে দিন কাটানোর কথা জানাতে গিয়ে বলেন, তানভীর দম্পতি কারাগারে আসার পর থেকে কখনো কারাগারের খাবার খাননি। স্বামী-স্ত্রী দু’জনের খাবার প্রতিদিন বাইরে থেকে রান্না করে পাঠানো হচ্ছে। আর এই খাবার সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছেন তানভীরের ব্যক্তিগত কর্মচারী হিসেবে পরিচয় দানকারী রনির মাধ্যমে। এই রনি প্রতিদিন ১৫-১৬ কেজি ওজনের একটি ব্যাগে করে এনে প্রথমে ‘জ’ অদ্যাক্ষরের এক ডেপুটি জেলারের বাসায় পৌঁছে দিচ্ছেন। পরে তার বাসা থেকে খাবারগুলো আনোয়ার নামের এক কারারক্ষী কারাগারের প্রধান গেটে নিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে প্রধান ফটকে থাকা সিসি ক্যামেরা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আর্চওয়ে মেশিনে তল্লাশি ছাড়াই যৌথ বাহিনীর সদস্যরা হাসেম নামের এক কয়েদির মাধ্যমে তা ভেতরে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করছেন। এভাবে প্রতিদিন রাজকীয় খাবারদাবার তাদের জন্য তৈরি করে ভেতরে যাচ্ছে। ওই সূত্রটি আরো জানায়, তানভীর মাহমুদ বর্তমানে কারাগারের ৬ নম্বর সেলে অবস্থান করছেন। পুরো কারাগারের মধ্যে এই সেলটি ‘বিলাসবহুল’ সেল হিসেবে পরিচিত। আর তানভীরের স্ত্রী রয়েছেন মহিলা ওয়ার্ডে। রান্না করা খাবার কারাভ্যন্তরে থাকা গুদামঘরে যাচ্ছে। এরপর স্বামী-স্ত্রী দু’জনে একসাথে বসে খাবার খাচ্ছেন। এসব বিষয় কারা প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা জানলেও অনেকটা না জানার ভান করে আছেন। অথচ কারাগারে এমনও বন্দী রয়েছেন যাদের ভাগ্যে কারাগার থেকে দেয়া দুই বেলা খাবার ঠিকমতো জুটছে না।
গতকাল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, যাদের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা আছে তাদের জন্য কারাগার এখন বাসাবাড়ির মতো। তবে কারাপ্রশাসন একটি জায়গায় কঠোর। সেটি হচ্ছে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বেলায়। তাদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সুযোগ-সুবিধা দিতে নারাজ কারা কর্তৃপক্ষ। তাদেরকে যত কষ্টের মধ্যে রাখা যায় ততই তাদের জন্য মঙ্গল। আর এই কষ্টের বিষয়টি কারা কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কারাগারে নীল কক্ষে কর্তব্যরত এক কারারক্ষী বলেন, তানভীর মাহমুদ কারাগারে বিপুল পরিমাণ টাকা দিচ্ছেন। যে কারণে তার সাথে প্রতিদিন দেখাসাক্ষাৎ হচ্ছে ফ্রি স্টাইলে। তিনি বলেন, রনি নামের এক ব্যক্তি তানভীরের সাথে প্রতিদিন নীল কক্ষে এসে সাক্ষাৎ করছেন। অথচ নিয়ম হলো সপ্তাহে এক দিন সাক্ষাৎ করা। কিন্তু কোন খুঁটির জোরে রনি ও পরিবারের সদস্যরা দেখা করছেন তা বুঝতে পারছি না।
৬ নম্বর সেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক রক্ষী জানান, ভেতরে তানভীরের সেবা শুশ্রƒসার জন্য একাধিক কারারক্ষী দিনরাত কাজ করছেন। তার দেয়া চিরকুট বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার কখনো কখনো ভেতরে বসেই মোবাইল ফোনে কথা বলছেন কারো কারো সাথে এমনও অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য মহিলা সেলে থাকা তানভীরের স্ত্রী জেসমিন নীরবেই সময় কাটাচ্ছেন। যদিও তাদের দেখভাল করার জন্য সরকারের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি কারা প্রশাসনকে সুনজরে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ঈদুল আজহার আগের দিন তানভীরের সৌজন্যে মদের পার্টি হয়। আর ওই পার্টিতে কারাবন্দী ছাড়াও অনেকেই অংশ নেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। এ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।
গত রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলীর সাথে যোগাযোগ করে তানভীর দম্পতির প্রতিদিন সাক্ষাৎ ও রান্না করা খাবার ভেতরে যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমার পক্ষ থেকে যতদূর সম্ভব মনিটরিং করার চেষ্টা করছি। এরপরও যেহেতু আপনার কাছ থেকে বিষয়টি জানলাম কালকে বিষয়টি আরো খোঁজ নিয়ে দেখব।
সর্বশেষ গত শনিবার দুপুরে তানভীরের সাথে পরিবারের পরিচয় দিয়ে রনি নামের এক ব্যক্তি কারাগারের নীল কক্ষে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন আরো দুই মহিলা। তারা দু’জন প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করে ফিরে যান। যদিও একজন বন্দীর সাথে সাক্ষাতের সর্বোচ্চ সময় ২০ মিনিট। কিন্তু তানভীর ও তার স্ত্রীর বেলায় তা মোটেও মানা হয় না। জানা গেছে, দুদকের দায়ের হওয়া মামলা মোকাদ্দমার তানভীর নিজেই জেলে বসে খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
গতকাল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা তানভীর ও তার স্ত্রীর কারাগারে রাজারহালে দিন কাটানোর কথা জানাতে গিয়ে বলেন, তানভীর দম্পতি কারাগারে আসার পর থেকে কখনো কারাগারের খাবার খাননি। স্বামী-স্ত্রী দু’জনের খাবার প্রতিদিন বাইরে থেকে রান্না করে পাঠানো হচ্ছে। আর এই খাবার সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছেন তানভীরের ব্যক্তিগত কর্মচারী হিসেবে পরিচয় দানকারী রনির মাধ্যমে। এই রনি প্রতিদিন ১৫-১৬ কেজি ওজনের একটি ব্যাগে করে এনে প্রথমে ‘জ’ অদ্যাক্ষরের এক ডেপুটি জেলারের বাসায় পৌঁছে দিচ্ছেন। পরে তার বাসা থেকে খাবারগুলো আনোয়ার নামের এক কারারক্ষী কারাগারের প্রধান গেটে নিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে প্রধান ফটকে থাকা সিসি ক্যামেরা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আর্চওয়ে মেশিনে তল্লাশি ছাড়াই যৌথ বাহিনীর সদস্যরা হাসেম নামের এক কয়েদির মাধ্যমে তা ভেতরে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করছেন। এভাবে প্রতিদিন রাজকীয় খাবারদাবার তাদের জন্য তৈরি করে ভেতরে যাচ্ছে। ওই সূত্রটি আরো জানায়, তানভীর মাহমুদ বর্তমানে কারাগারের ৬ নম্বর সেলে অবস্থান করছেন। পুরো কারাগারের মধ্যে এই সেলটি ‘বিলাসবহুল’ সেল হিসেবে পরিচিত। আর তানভীরের স্ত্রী রয়েছেন মহিলা ওয়ার্ডে। রান্না করা খাবার কারাভ্যন্তরে থাকা গুদামঘরে যাচ্ছে। এরপর স্বামী-স্ত্রী দু’জনে একসাথে বসে খাবার খাচ্ছেন। এসব বিষয় কারা প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা জানলেও অনেকটা না জানার ভান করে আছেন। অথচ কারাগারে এমনও বন্দী রয়েছেন যাদের ভাগ্যে কারাগার থেকে দেয়া দুই বেলা খাবার ঠিকমতো জুটছে না।
গতকাল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, যাদের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা আছে তাদের জন্য কারাগার এখন বাসাবাড়ির মতো। তবে কারাপ্রশাসন একটি জায়গায় কঠোর। সেটি হচ্ছে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বেলায়। তাদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সুযোগ-সুবিধা দিতে নারাজ কারা কর্তৃপক্ষ। তাদেরকে যত কষ্টের মধ্যে রাখা যায় ততই তাদের জন্য মঙ্গল। আর এই কষ্টের বিষয়টি কারা কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কারাগারে নীল কক্ষে কর্তব্যরত এক কারারক্ষী বলেন, তানভীর মাহমুদ কারাগারে বিপুল পরিমাণ টাকা দিচ্ছেন। যে কারণে তার সাথে প্রতিদিন দেখাসাক্ষাৎ হচ্ছে ফ্রি স্টাইলে। তিনি বলেন, রনি নামের এক ব্যক্তি তানভীরের সাথে প্রতিদিন নীল কক্ষে এসে সাক্ষাৎ করছেন। অথচ নিয়ম হলো সপ্তাহে এক দিন সাক্ষাৎ করা। কিন্তু কোন খুঁটির জোরে রনি ও পরিবারের সদস্যরা দেখা করছেন তা বুঝতে পারছি না।
৬ নম্বর সেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক রক্ষী জানান, ভেতরে তানভীরের সেবা শুশ্রƒসার জন্য একাধিক কারারক্ষী দিনরাত কাজ করছেন। তার দেয়া চিরকুট বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার কখনো কখনো ভেতরে বসেই মোবাইল ফোনে কথা বলছেন কারো কারো সাথে এমনও অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য মহিলা সেলে থাকা তানভীরের স্ত্রী জেসমিন নীরবেই সময় কাটাচ্ছেন। যদিও তাদের দেখভাল করার জন্য সরকারের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি কারা প্রশাসনকে সুনজরে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ঈদুল আজহার আগের দিন তানভীরের সৌজন্যে মদের পার্টি হয়। আর ওই পার্টিতে কারাবন্দী ছাড়াও অনেকেই অংশ নেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। এ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।
গত রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলীর সাথে যোগাযোগ করে তানভীর দম্পতির প্রতিদিন সাক্ষাৎ ও রান্না করা খাবার ভেতরে যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমার পক্ষ থেকে যতদূর সম্ভব মনিটরিং করার চেষ্টা করছি। এরপরও যেহেতু আপনার কাছ থেকে বিষয়টি জানলাম কালকে বিষয়টি আরো খোঁজ নিয়ে দেখব।
No comments