মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী- নিজ অর্থেই পদ্মা সেতু নির্মাণ হবে
আবারো মন্ত্রিসভায় পদ্মা সেতু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও
জাইকা এ সেতু প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যেও
কিছুটা উৎকণ্ঠা দেখা দেয়।
এরই বহিঃপ্রকাশ ঘটে গতকাল
অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায়। বৈঠক সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভার একাধিক উৎকণ্ঠিত
সদস্য এ প্রসঙ্গটি উপস্থাপন করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের আশ্বস্ত
করে বলেন, চিন্তিত হওয়ার কিছুই নেই। আমরা নিজ অর্থেই সেতুটি নির্মাণ করব।
অর্থমন্ত্রী আজ (সোমবার) জাতীয় সংসদে এ ব্যাপারে বিবৃতি দিলেই জাতির কাছে
সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। এর আগে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ স্থগিত
করলে মন্ত্রিসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে পদ্মা সেতুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেইন ভুঁইয়া বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়নি। অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তবে আমরা এতে ছিলাম না।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান দ্বৈত করারোপ পরিহার চুক্তির সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। এর ফলে দুই দেশ তার নাগরিকের আয়কর এবং ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্য চাইতে পারবে। সংশ্লিষ্ট দেশ এ তথ্য দিতে বাধ্য থাকবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের কোনো শিার্থী যদি বৃত্তি পায় তবে তা যে পরিমাণই হোক না কেন ছয় বছর পর্যন্ত তা করমুক্ত থাকবে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের জানান, ১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বৈত করারোপ চুক্তি রয়েছে। এর ফলে এক দেশের নাগরিক অন্য দেশে ব্যবসায় করে মুনাফা করলে বা অন্যভাবে আয় করলে সে দেশে কর পরিশোধ করলে তাকে নিজের দেশে পরিশোধ করতে হয় না। বিদ্যমান চুক্তির ২১ ধারায় বাংলাদেশের পে প্রস্তাব করা হয়েছে, বাংলাদেশের কোনো শিার্থী ভারতে পড়াশোনাকালে বৃত্তি বা বেতন হিসেবে কোনো অর্থ পেলে তা ছয় বছর করের আওতায় আসবে না। একইভাবে ভারতের শিার্থীদের বাংলাদেশ এই সুবিধা দেবে। ভারত এর সাথে একমত হয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যমান চুক্তিতে দুই দেশের শিার্থীরা ১৫ হাজার রুপি অথবা সমপরিমাণ টাকা বৃত্তি পেলে পাঁচ বছর কর দিতে হতো না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিদ্যমান চুক্তির ২৮ ধারায় নতুন দু’টি সংশোধনীর প্রস্তাব এনেছে ভারত। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক ভারতে অথবা ভারতের কোনো নাগরিক বাংলাদেশে ব্যবসায় বা অন্য কোনোভাবে আয় করলে তার আয়করসংক্রান্ত এবং ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্য এক দেশ আরেক দেশের কাছে চাইতে পারবে এবং দিতে বাধ্য থাকবে।
এ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ভারতের প্রস্তাবের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) একমত ছিল। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক শুরুতে এর বিরোধিতা করছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, এমন তথ্য দিলে ১৮৯১ সালের ব্যাংকার্স বুক তথ্য আইনের ভঙ্গ হবে। তবে এনবিআর বলছে, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ মোতাবেক এই তথ্য দিতে কোনো বাধা নেই।
এ ছাড়া বৈঠকে গত ২২ নভেম্বর পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত ডি-৮ জোটের সম্মেলন সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে।
গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে পদ্মা সেতুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেইন ভুঁইয়া বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়নি। অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তবে আমরা এতে ছিলাম না।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান দ্বৈত করারোপ পরিহার চুক্তির সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। এর ফলে দুই দেশ তার নাগরিকের আয়কর এবং ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্য চাইতে পারবে। সংশ্লিষ্ট দেশ এ তথ্য দিতে বাধ্য থাকবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের কোনো শিার্থী যদি বৃত্তি পায় তবে তা যে পরিমাণই হোক না কেন ছয় বছর পর্যন্ত তা করমুক্ত থাকবে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের জানান, ১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বৈত করারোপ চুক্তি রয়েছে। এর ফলে এক দেশের নাগরিক অন্য দেশে ব্যবসায় করে মুনাফা করলে বা অন্যভাবে আয় করলে সে দেশে কর পরিশোধ করলে তাকে নিজের দেশে পরিশোধ করতে হয় না। বিদ্যমান চুক্তির ২১ ধারায় বাংলাদেশের পে প্রস্তাব করা হয়েছে, বাংলাদেশের কোনো শিার্থী ভারতে পড়াশোনাকালে বৃত্তি বা বেতন হিসেবে কোনো অর্থ পেলে তা ছয় বছর করের আওতায় আসবে না। একইভাবে ভারতের শিার্থীদের বাংলাদেশ এই সুবিধা দেবে। ভারত এর সাথে একমত হয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যমান চুক্তিতে দুই দেশের শিার্থীরা ১৫ হাজার রুপি অথবা সমপরিমাণ টাকা বৃত্তি পেলে পাঁচ বছর কর দিতে হতো না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিদ্যমান চুক্তির ২৮ ধারায় নতুন দু’টি সংশোধনীর প্রস্তাব এনেছে ভারত। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক ভারতে অথবা ভারতের কোনো নাগরিক বাংলাদেশে ব্যবসায় বা অন্য কোনোভাবে আয় করলে তার আয়করসংক্রান্ত এবং ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্য এক দেশ আরেক দেশের কাছে চাইতে পারবে এবং দিতে বাধ্য থাকবে।
এ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ভারতের প্রস্তাবের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) একমত ছিল। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক শুরুতে এর বিরোধিতা করছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, এমন তথ্য দিলে ১৮৯১ সালের ব্যাংকার্স বুক তথ্য আইনের ভঙ্গ হবে। তবে এনবিআর বলছে, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ মোতাবেক এই তথ্য দিতে কোনো বাধা নেই।
এ ছাড়া বৈঠকে গত ২২ নভেম্বর পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত ডি-৮ জোটের সম্মেলন সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে।
No comments