রক্তরাঙা ফেব্রুয়ারী- তমদ্দুন মজলিসের মাসব্যাপী গণসংযোগ
ভাষা আন্দোলন ঘোষণাপত্র প্রকাশের পর তাকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে তমদ্দুন মজলিস মাসব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করে।
১৯৪৭
সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে নুপুর ভিলা নামে পরিচিত সরকারি ইন্টারমিডিয়েট
কলেজের ছাত্রাবাসে এক সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেণ
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। সেখানে আন্দোলনের কর্মপন্থা নির্ধারিত
হয়। ১৬ থেকে সাংগঠনিক পক্ষ এবং অক্টোবর মাসজুড়ে গণসংযোগ পালন করে
তমদ্দুন মজলিস।
মজলিস নেতারা এ সময় আইন পরিষদ ও গণপরিষদ নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করে ভাষা আন্দোলনের বিষয় তুলে ধরেন। প্রাকাশ্য জনসভায় বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করা হয় ৫ নভেম্বর ১৯৪৭ সালে। পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ আয়োজিত শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাজী মোতাহার হোসেন। সভায় তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর আবুল কাসেম বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করেন। ১২ নভেম্বর ফজলুল হক হলের সাহিত্য সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাবীবুল্লাহ বাহার, বেসামরিক সরবরাহমন্ত্রী নূরুল আমীন, কৃষিমন্ত্রী সৈয়দ মুহম্মদ আফজাল উপস্থিত ছিলেন। তারাও ভাষা আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এভাবে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি ধাপে ধাপে সরকারি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এর ফলে ভাষার অধিকার প্রশ্নে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সচেতনতা বাড়তে থাকে।
মজলিস নেতারা এ সময় আইন পরিষদ ও গণপরিষদ নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করে ভাষা আন্দোলনের বিষয় তুলে ধরেন। প্রাকাশ্য জনসভায় বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করা হয় ৫ নভেম্বর ১৯৪৭ সালে। পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ আয়োজিত শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাজী মোতাহার হোসেন। সভায় তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর আবুল কাসেম বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করেন। ১২ নভেম্বর ফজলুল হক হলের সাহিত্য সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাবীবুল্লাহ বাহার, বেসামরিক সরবরাহমন্ত্রী নূরুল আমীন, কৃষিমন্ত্রী সৈয়দ মুহম্মদ আফজাল উপস্থিত ছিলেন। তারাও ভাষা আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এভাবে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি ধাপে ধাপে সরকারি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এর ফলে ভাষার অধিকার প্রশ্নে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সচেতনতা বাড়তে থাকে।
No comments