চাঁদে পর্যটন নগরী by ইব্রাহিম নোমান
মানুষ বেড়ানোর জন্য পৃথিবীর কোথায় না যায়।
পৃথিবীর তাবত বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্য দেখার পর মানুষের চোখ পড়েছে চাঁদের
দিকে। ভাবতে কেমন লাগছে! ২০২০ সাল নাগাদ চাঁদ হবে পর্যটনের সবচেয়ে বড়
আকর্ষণ।
স্পেস টু্যরিজম বা মহাশূন্য পর্যটনের ৰেত্রে সৃষ্টি হতে যাচ্ছে নতুন ইতিহাস।
মহাশূন্য অভিযানের শীর্ষ উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, নাসা এ বছর নভোখেয়াতরীর
অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করার পর মার্কিন স্পেন ফাইটের সৃষ্ট শূন্যতা পূরণ করতে
তারা প্রস্তুত এবং সৰম।
তারা জোরালো আভাস দেন যে, বাণিজ্যিক স্পেসশিপগুলো মালপত্র ও লোকজন নিয়ে পৃথিবীর কৰপথের অনেক নিচ দিয়ে বেশ কম খরচে ২০১৪ সালের মধ্যে উড্ডয়ন করতে পারবে। বর্তমানে নাসার বাতিল ঘোষিত কনস্টেলেশন প্রোগ্রামভিত্তিক মূল পরিকল্পনার চাইতে তা হবে অনেক আগে।
ওবামা প্রশাসন বাণিজ্যিক স্পেস ফাইটের জন্য আগামী পাঁচ বছরে ৬শ' কোটি ডলার দেয়ার যে প্রসত্মাব দিয়েছে স্পেস ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহীরা থাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তাঁরা বলেন, এর ফলে বাণিজ্যিকভিত্তিতে মহাশূন্যযানে করে চাঁদে অভিযান চালানোর পথ উন্মুক্ত হলো।
কমার্শিয়াল স্পেস ফাইট ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ব্রেটন আলোকজান্ডার সম্প্রতি এক টেলিকনফারেন্সে বলেন, এ ঐতিহাসিক সিদ্ধানত্মের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ৫ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং মহাশূন্য স্টেশনে যাওয়ার জন্য রাশিয়াকে আর শত শত কোটি ডলার দিতে হবে না। এখনও আলেকজান্ডার ও অন্যরা সমালোচকদের এই মূল সন্দেহ নিরসন করতে ব্যসত্ম যে কমার্শিয়াল স্পেস ফাইট মহাশূন্য অভিযানে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারে কি না। কিন্তু স্পেস ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহীরা বলেছেন, তাঁদের কাছে নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরম্নত্ব পাচ্ছে।
বাণিজ্যিক স্পেস ফাইট অভিযান স্পেস এক্সপেস্নারেশন টেকনোলজিস (স্পেস এক্স) এর প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক এ বিষয়ে সাউথ ওয়েস্ট এয়ারলাইন্স বা ভার্জিন আমেরিকাতে দ্বিতীয় চিনত্মা ছাড়া ভ্রমণের বিষয়টি তুলে ধরেন। কারণ বিমান চালনায় নিরাপত্তার বিষয়টি এখন সর্বজনীন ইসু্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি এবং মহাশূন্য অভিযানের অন্যান্য উদ্যোক্তা বলেছেন, তারাও নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চে স্থান দেন যাতে তাঁরা প্রতিযোগিতায় হেরে না বসেন।
নেভাদার লাসভেগাসভিত্তিক বিগেলো এ্যারোস্পেস-এর প্রধান রবার্ট বিগেলো বলেন, নিরাপত্তার দিক থেকে আমাদের বিন্দুমাত্র অঘটন ঘটানোর সুযোগ নেই। বিগেলো এ্যারোস্পেস স্পীতিযোগ্য মহাশূন্য বসতি নির্মাণ করছে। এবং ইতোমধ্যে এ ধরনের উৎৰেপ শুরম্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্যদিকে নাসার সরকারী কর্মসূচীর আওতায় অতি সম্প্রতি সুযোগকে তার ইতিহাসের আলোকে উপেৰা করা সম্ভব হয়েছে। টেলিকনফারেন্সে প্রতিনিধিত্বকারী স্পেস ইন্ডাস্ট্রির ফার্মসমূহ মানুষের সর্বোচ্চ নিরাপত্তামান নিশ্চিত করার লৰ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
তাঁরা বলেন, নাসা বা রাশিয়ার সয়ুজ কর্মসূচী সর্বোচ্চ মানবীয় নিরাপত্তামান নিশ্চিত করার লৰ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। শেষোক্তটির যৌক্তিকভাবেই নভোখেয়াতরীর চাইতে অপেৰাকৃত ভাল ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে। ১৯৮১ সালে শাটল ফাইট বা নভোখেয়াতরীর যাত্রা শুরম্নর পর থেকে নাসা দু'টি দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছে। এতে ১৪ মহাশূন্যচারী নিহত হয়।
স্পেস টু্যরিস্ট হিসেবে সয়ুজে করে আনত্মর্জাতিক মহাশূন্য স্টেশনে গেছেন রিচার্ড গ্যারিয়ট। কম্পিউটার গেম উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তা রিচার্ড গ্যারিয়ট ৩ কোটি ডলারের বিনিময়ে এই মহাশূন্য পর্যটনে যান। তিনি বলেন, আমি মনে করি জনগণকে এ কথা বলা দরকার যে, যুক্তরাষ্ট্রে আমরা নিরাপত্তা ৰেত্রে বিরাট কাজ করেছি।
এ ৰেত্রে পুরনো পদ্ধতি ছিল স্রেফ ভুল। তিনি বলেন, স্পেস শাটল বা নভোখেয়াতরীর তুলনায় ঐ মহাশূন্য যানের নিরাপত্তা ১০০ গুণ ভিন্ন। গ্যারিয়ট হচ্ছে নাসার সাবেক মহাশূন্যচারী ওয়েন গ্যারিয়টের ছেলে। তিনি স্কাইল্যাব মহাশূন্য স্টেশন এবং প্রথম দিককার একটি নভোখেয়াযানের ফাইটে ছিলেন।
স্পেস এক্স ও এর প্রতিদ্বন্দ্বীরা জানিয়েছেন, উপযুক্ত তহবিল পেলে তাঁরা ২০১৪ সালের দিকে মার্কিন নভোচারীদের নিয়ে মহাশূন্য অভিযান শুরম্ন করতে পারেন। এতে রাশিয়ার সয়ুজ মহাশূন্যযানে চড়ে মহাশূন্য স্টেশনে যাওয়ার জন্য নাসাকে যে অর্থ দিতে হয় তার চাইতে কম খরচ হবে।
নাসা বর্তমানে রম্নশ মহাশূন্যযানে করে নভোচারীদের মহাশূন্যে পাঠাতে এক আসনের জন্য প্রায় ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার পরিশোধ করে থাকে। কিন্তু প্রথমে কোম্পানিগুলো মনুষ্যবিহীন বহু মিশনে পাঠিয়ে একটি নিরাপত্তা রেকর্ড সৃষ্টি করতে চায়।
চাঁদ বা মঙ্গল অভিযান হবে আগামী দশকে। মহাশূন্য অভিযানের উদ্যোক্তারা সবাই ২০২০ সাল নাগাদ বাণিজ্যিক স্পেসফাইট সম্পর্কে একটি আশাবাদী চিত্র তুলে ধরেছেন।
বিগেলো বলেন, তাঁর স্পেস হোটেল কোম্পানি মহাশূন্য পর্যটন কার্যক্রম জোরদারের লৰ্যে আগামী দশকের মধ্যে কয়েকটি প্রাইভেট স্পেস স্টেশন উৎৰেপণ করবে। মাস্ক তো আরেক ধাপ অগ্রসর হয়ে বলেছেন, ২০২০ সালের মধ্যে মঙ্গলে মানুষ নিয়ে যাওয়ার জোর পরিকল্পনা রয়েছে। স্পেস এ্যাডভেঞ্চাস নামে একটি কোম্পানি তো কৰপথে মহাশূন্য পর্যটক ফাইটের টিকেট পর্যনত্ম বিক্রি করছে। এই কোম্পানির কর্ণধার এরিক এন্ডারসন বলেছেন, ২০২০ সালের মধ্যে আপনারা দেখতে পাবেন পৃথিবীর সাধারণ মানুষ চাঁদ প্রদৰিণ করছে। কথাটি এখন স্বপ্নের মতো শোনালেও স্পেস এ্যাডভেঞ্চাস ইতোমধ্যে ১০ কোটি ডলারের বিনিময়ে চাঁদের টিকেট বিক্রি করছে। বিশ্ববাসী মহাশূন্য পর্যটনের এই নতুন ইতিহাস সৃষ্টির অপেৰায় রইল।
তারা জোরালো আভাস দেন যে, বাণিজ্যিক স্পেসশিপগুলো মালপত্র ও লোকজন নিয়ে পৃথিবীর কৰপথের অনেক নিচ দিয়ে বেশ কম খরচে ২০১৪ সালের মধ্যে উড্ডয়ন করতে পারবে। বর্তমানে নাসার বাতিল ঘোষিত কনস্টেলেশন প্রোগ্রামভিত্তিক মূল পরিকল্পনার চাইতে তা হবে অনেক আগে।
ওবামা প্রশাসন বাণিজ্যিক স্পেস ফাইটের জন্য আগামী পাঁচ বছরে ৬শ' কোটি ডলার দেয়ার যে প্রসত্মাব দিয়েছে স্পেস ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহীরা থাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তাঁরা বলেন, এর ফলে বাণিজ্যিকভিত্তিতে মহাশূন্যযানে করে চাঁদে অভিযান চালানোর পথ উন্মুক্ত হলো।
কমার্শিয়াল স্পেস ফাইট ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ব্রেটন আলোকজান্ডার সম্প্রতি এক টেলিকনফারেন্সে বলেন, এ ঐতিহাসিক সিদ্ধানত্মের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ৫ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং মহাশূন্য স্টেশনে যাওয়ার জন্য রাশিয়াকে আর শত শত কোটি ডলার দিতে হবে না। এখনও আলেকজান্ডার ও অন্যরা সমালোচকদের এই মূল সন্দেহ নিরসন করতে ব্যসত্ম যে কমার্শিয়াল স্পেস ফাইট মহাশূন্য অভিযানে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারে কি না। কিন্তু স্পেস ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহীরা বলেছেন, তাঁদের কাছে নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরম্নত্ব পাচ্ছে।
বাণিজ্যিক স্পেস ফাইট অভিযান স্পেস এক্সপেস্নারেশন টেকনোলজিস (স্পেস এক্স) এর প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক এ বিষয়ে সাউথ ওয়েস্ট এয়ারলাইন্স বা ভার্জিন আমেরিকাতে দ্বিতীয় চিনত্মা ছাড়া ভ্রমণের বিষয়টি তুলে ধরেন। কারণ বিমান চালনায় নিরাপত্তার বিষয়টি এখন সর্বজনীন ইসু্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি এবং মহাশূন্য অভিযানের অন্যান্য উদ্যোক্তা বলেছেন, তারাও নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চে স্থান দেন যাতে তাঁরা প্রতিযোগিতায় হেরে না বসেন।
নেভাদার লাসভেগাসভিত্তিক বিগেলো এ্যারোস্পেস-এর প্রধান রবার্ট বিগেলো বলেন, নিরাপত্তার দিক থেকে আমাদের বিন্দুমাত্র অঘটন ঘটানোর সুযোগ নেই। বিগেলো এ্যারোস্পেস স্পীতিযোগ্য মহাশূন্য বসতি নির্মাণ করছে। এবং ইতোমধ্যে এ ধরনের উৎৰেপ শুরম্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্যদিকে নাসার সরকারী কর্মসূচীর আওতায় অতি সম্প্রতি সুযোগকে তার ইতিহাসের আলোকে উপেৰা করা সম্ভব হয়েছে। টেলিকনফারেন্সে প্রতিনিধিত্বকারী স্পেস ইন্ডাস্ট্রির ফার্মসমূহ মানুষের সর্বোচ্চ নিরাপত্তামান নিশ্চিত করার লৰ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
তাঁরা বলেন, নাসা বা রাশিয়ার সয়ুজ কর্মসূচী সর্বোচ্চ মানবীয় নিরাপত্তামান নিশ্চিত করার লৰ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। শেষোক্তটির যৌক্তিকভাবেই নভোখেয়াতরীর চাইতে অপেৰাকৃত ভাল ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে। ১৯৮১ সালে শাটল ফাইট বা নভোখেয়াতরীর যাত্রা শুরম্নর পর থেকে নাসা দু'টি দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছে। এতে ১৪ মহাশূন্যচারী নিহত হয়।
স্পেস টু্যরিস্ট হিসেবে সয়ুজে করে আনত্মর্জাতিক মহাশূন্য স্টেশনে গেছেন রিচার্ড গ্যারিয়ট। কম্পিউটার গেম উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তা রিচার্ড গ্যারিয়ট ৩ কোটি ডলারের বিনিময়ে এই মহাশূন্য পর্যটনে যান। তিনি বলেন, আমি মনে করি জনগণকে এ কথা বলা দরকার যে, যুক্তরাষ্ট্রে আমরা নিরাপত্তা ৰেত্রে বিরাট কাজ করেছি।
এ ৰেত্রে পুরনো পদ্ধতি ছিল স্রেফ ভুল। তিনি বলেন, স্পেস শাটল বা নভোখেয়াতরীর তুলনায় ঐ মহাশূন্য যানের নিরাপত্তা ১০০ গুণ ভিন্ন। গ্যারিয়ট হচ্ছে নাসার সাবেক মহাশূন্যচারী ওয়েন গ্যারিয়টের ছেলে। তিনি স্কাইল্যাব মহাশূন্য স্টেশন এবং প্রথম দিককার একটি নভোখেয়াযানের ফাইটে ছিলেন।
স্পেস এক্স ও এর প্রতিদ্বন্দ্বীরা জানিয়েছেন, উপযুক্ত তহবিল পেলে তাঁরা ২০১৪ সালের দিকে মার্কিন নভোচারীদের নিয়ে মহাশূন্য অভিযান শুরম্ন করতে পারেন। এতে রাশিয়ার সয়ুজ মহাশূন্যযানে চড়ে মহাশূন্য স্টেশনে যাওয়ার জন্য নাসাকে যে অর্থ দিতে হয় তার চাইতে কম খরচ হবে।
নাসা বর্তমানে রম্নশ মহাশূন্যযানে করে নভোচারীদের মহাশূন্যে পাঠাতে এক আসনের জন্য প্রায় ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার পরিশোধ করে থাকে। কিন্তু প্রথমে কোম্পানিগুলো মনুষ্যবিহীন বহু মিশনে পাঠিয়ে একটি নিরাপত্তা রেকর্ড সৃষ্টি করতে চায়।
চাঁদ বা মঙ্গল অভিযান হবে আগামী দশকে। মহাশূন্য অভিযানের উদ্যোক্তারা সবাই ২০২০ সাল নাগাদ বাণিজ্যিক স্পেসফাইট সম্পর্কে একটি আশাবাদী চিত্র তুলে ধরেছেন।
বিগেলো বলেন, তাঁর স্পেস হোটেল কোম্পানি মহাশূন্য পর্যটন কার্যক্রম জোরদারের লৰ্যে আগামী দশকের মধ্যে কয়েকটি প্রাইভেট স্পেস স্টেশন উৎৰেপণ করবে। মাস্ক তো আরেক ধাপ অগ্রসর হয়ে বলেছেন, ২০২০ সালের মধ্যে মঙ্গলে মানুষ নিয়ে যাওয়ার জোর পরিকল্পনা রয়েছে। স্পেস এ্যাডভেঞ্চাস নামে একটি কোম্পানি তো কৰপথে মহাশূন্য পর্যটক ফাইটের টিকেট পর্যনত্ম বিক্রি করছে। এই কোম্পানির কর্ণধার এরিক এন্ডারসন বলেছেন, ২০২০ সালের মধ্যে আপনারা দেখতে পাবেন পৃথিবীর সাধারণ মানুষ চাঁদ প্রদৰিণ করছে। কথাটি এখন স্বপ্নের মতো শোনালেও স্পেস এ্যাডভেঞ্চাস ইতোমধ্যে ১০ কোটি ডলারের বিনিময়ে চাঁদের টিকেট বিক্রি করছে। বিশ্ববাসী মহাশূন্য পর্যটনের এই নতুন ইতিহাস সৃষ্টির অপেৰায় রইল।
No comments