মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচার স্বচ্ছ হচ্ছে নাঃ বিএনপি
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) মতো
বিএনপিও মনে করে দেশে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচার
স্বচ্ছ হচ্ছে না।
এই বিচারপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি স্থায়ী
কমিটির সদস্য ও দলের সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম গতকাল এই কথা জানান।
তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘সব সময় বলে আসছি, আমরা যুদ্ধাপরাধের বিচার চাই। তবে সেই বিচার বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। তা আন্তর্জাতিক মানের এবং স্বচ্ছ হতে হবে। সরকারদলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের বিচার হলে চলবে না।’
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, এই বিচারপ্রক্রিয়া বিতর্কিত। আমরাও বলছি, এই বিচার স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হোক। স্বচ্ছ হচ্ছে না বলেই তো আমরা স্বচ্ছতার কথা বলছি।
তরিকুল অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগের হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের রফিকুল ইসলাম রয়েল গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি বাঁচবেন কি না আল্লাহ জানেন। ছাত্রলীগের এ রকম নির্মমতা কী মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়?
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে সব মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারও করতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাইÑ ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল ও যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জামায়াতের দাবির সাথে আমাদের আদর্শিক সম্পর্ক নেই। আমরা ওই দাবির সাথে একমত নই। ’
গত ৩১ জানুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর ডাকা দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালে সমর্থন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘জামায়াতকে সমাবেশ করতে না দেয়ার প্রতিবাদে আমরা তাদের হরতালে সমর্থন দিয়েছি। কারণ বিএনপি মনে করে, একটি রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ করার গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। আমরা কেন সমর্থন দিয়েছি, তা বিবৃতি দিয়ে বলেছি। আমার পক্ষে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিবৃতি দিয়েছেন।’
১৮ দলীয় জোট ভাঙার ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গ : সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের জবাবে তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা তিনবার ক্ষমতায় ছিলাম। রাষ্ট্রক্ষমতায় আবারো যেতে চাই। সে জন্য আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও আমাদের রয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার জোট ও দলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করতে পারে। জোটের দুই-একটি শরিক দলকে নিয়ে গেলে বিএনপির কোনো ক্ষতি হবে না। বঙ্গোপসাগর থেকে দুই-চার বালতি পানি তুলে নিলে সমুদ্রের যেমন ক্ষতি হয় নাÑ বিএনপিরও এতে কোনো ক্ষতি হবে না।
তিনি বলেন, জোট বা দল থেকে কেউ চলে গেলে তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াত ১৮ দলীয় জোটের সাথে আছে, থাকবে।
তরিকুল ইসলাম এ সময় সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ১৮ দলীয় জোটের ভাঙনের কথা বলছেন কেন। এমনও তো হতে পারে ক্ষমতাসীন মহাজোটও ভেঙে যেতে পারে। সেই জোট থেকেও দুই-তিনটি দল বেরিয়ে আসতে পারে। সময়ই তা বলে দেবে।
তিনি বলেন, ১৯৮৬ সালে এরশাদের শাসনামলে ও ২০০৭ সালে ফখরুদ্দীন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হয়নি। বিএনপি আরো শক্তিশালী হয়েছে।
তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘সব সময় বলে আসছি, আমরা যুদ্ধাপরাধের বিচার চাই। তবে সেই বিচার বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। তা আন্তর্জাতিক মানের এবং স্বচ্ছ হতে হবে। সরকারদলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের বিচার হলে চলবে না।’
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, এই বিচারপ্রক্রিয়া বিতর্কিত। আমরাও বলছি, এই বিচার স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হোক। স্বচ্ছ হচ্ছে না বলেই তো আমরা স্বচ্ছতার কথা বলছি।
তরিকুল অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগের হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের রফিকুল ইসলাম রয়েল গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি বাঁচবেন কি না আল্লাহ জানেন। ছাত্রলীগের এ রকম নির্মমতা কী মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়?
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে সব মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারও করতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাইÑ ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল ও যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জামায়াতের দাবির সাথে আমাদের আদর্শিক সম্পর্ক নেই। আমরা ওই দাবির সাথে একমত নই। ’
গত ৩১ জানুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর ডাকা দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালে সমর্থন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘জামায়াতকে সমাবেশ করতে না দেয়ার প্রতিবাদে আমরা তাদের হরতালে সমর্থন দিয়েছি। কারণ বিএনপি মনে করে, একটি রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ করার গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। আমরা কেন সমর্থন দিয়েছি, তা বিবৃতি দিয়ে বলেছি। আমার পক্ষে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিবৃতি দিয়েছেন।’
১৮ দলীয় জোট ভাঙার ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গ : সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের জবাবে তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা তিনবার ক্ষমতায় ছিলাম। রাষ্ট্রক্ষমতায় আবারো যেতে চাই। সে জন্য আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও আমাদের রয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার জোট ও দলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করতে পারে। জোটের দুই-একটি শরিক দলকে নিয়ে গেলে বিএনপির কোনো ক্ষতি হবে না। বঙ্গোপসাগর থেকে দুই-চার বালতি পানি তুলে নিলে সমুদ্রের যেমন ক্ষতি হয় নাÑ বিএনপিরও এতে কোনো ক্ষতি হবে না।
তিনি বলেন, জোট বা দল থেকে কেউ চলে গেলে তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াত ১৮ দলীয় জোটের সাথে আছে, থাকবে।
তরিকুল ইসলাম এ সময় সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ১৮ দলীয় জোটের ভাঙনের কথা বলছেন কেন। এমনও তো হতে পারে ক্ষমতাসীন মহাজোটও ভেঙে যেতে পারে। সেই জোট থেকেও দুই-তিনটি দল বেরিয়ে আসতে পারে। সময়ই তা বলে দেবে।
তিনি বলেন, ১৯৮৬ সালে এরশাদের শাসনামলে ও ২০০৭ সালে ফখরুদ্দীন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হয়নি। বিএনপি আরো শক্তিশালী হয়েছে।
No comments