জিয়া ও এরশাদের অধ্যাদেশ- চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে সংসদের চলতি অধিবেশনে যাচ্ছে by খোকন বড়ুয়া
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৯১টি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের
শাসনামলের ৮১টি অধ্যাদেশকে বৈধতা দিয়ে আইনে পরিণত করতে বিল আকারে সংসদের
চলতি অধিবেশনে যাচ্ছে।
বিষয়টি নীতিগত অনুমোদন শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপিত হয়েছে গতকাল। আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
গত দু’টি সরকারের সামরিক শাসনের সময়ে জারি করা ১৭২টি অধ্যাদেশের অকার্যকর কিছু অধ্যাদেশকে বাদ দিয়ে কার্যকর অধ্যাদেশগুলো আইনে পরিণত করার জন্য গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
জানা গেছে, আইন মন্ত্রণালয়ের সার সংক্ষেপে পঞ্চম সংশোধনীর রায়ের পরিপন্থী হবে কিনা কিংবা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বিগত তিন বছর পর্যন্ত অধ্যাদেশগুলোকে পৃথক পৃথক আইনে পরিণত না করার বিষয়ে কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
বিলটিকে আইনে পরিণত করা হলে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে জারি করা ৯১টি ও এরশাদের শাসনামলে জারি করা ৮১টি অধ্যাদেশের আইনগত বৈধতা সৃষ্টি হবে। তবে এ রূপ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। কেননা পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ওই অধ্যাদেশগুলোসহ সামরিক শাসনসংক্রান্ত ফরমান, আদেশ ইত্যাদিকে বৈধতা দেয়ায় পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী আইনকে সুপ্রিম কোর্ট বাতিল বলে ঘোষণা করেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল বলে ঘোষিত সামরিক ফরমানের অধীনে জারিকৃত অধ্যাদেশকে সংসদে আইনে পরিণত করলে তা পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীসংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী হবে কিনা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সংশয় রয়েছে।
এ ছাড়া প্রস্তাবিত আইনে অধ্যাদেশগুলো জারির তারিখ থেকে কার্যকর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিধানটি কার্যকর হলে জিয়াউর রহমানের শাসনামলের ৯১টি অধ্যাদেশ জারির তারিখ অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট থেকে পরবর্তী সময়ে জারিকৃত তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, জিয়ার ৯১টি ও এরশাদের শাসনামলের ৮১টি অধ্যাদেশকে বৈধতা দিয়ে গত ২২ জানুয়ারি জারি করা হয় পৃথক দু’টি অধ্যাদেশ জারি করে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ। সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী আইন সুপ্রিম কোর্টে বাতিল ঘোষিত হওয়ায় ওই অধ্যাদেশগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধন আইন ১৯৭৯ অবৈধ ঘোষণা করে ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট রায় ঘোষণা করে। ফলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৮ সালের ৬ এপিল পর্যন্ত জারি করা ৯২টি অকার্যকর হয়ে পড়ে। এই রায়ের ফলে সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ সংশোধন করে সংসদে আইন পাস করে। কিন্তু গত তিন বছর ধরে ওই ৯২টি অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে এসেছে দেশের শাসন ব্যবস্থা। তবে ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে অকার্যকর হয়ে পড়ে ওই ৯২টি অধ্যাদেশ। এ অধ্যাদেশগুলো আইনে পরিণত করা কিংবা সাংবিধানিক বৈধতা দেয়ার কোনো উদ্যোগ আইন মন্ত্রণালয় নেয়নি। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও দেশের বিশাল আইনগত শূন্যতায় রহস্যজনকভাবে তারা ছিলেন নীরব।
গত দু’টি সরকারের সামরিক শাসনের সময়ে জারি করা ১৭২টি অধ্যাদেশের অকার্যকর কিছু অধ্যাদেশকে বাদ দিয়ে কার্যকর অধ্যাদেশগুলো আইনে পরিণত করার জন্য গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
জানা গেছে, আইন মন্ত্রণালয়ের সার সংক্ষেপে পঞ্চম সংশোধনীর রায়ের পরিপন্থী হবে কিনা কিংবা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বিগত তিন বছর পর্যন্ত অধ্যাদেশগুলোকে পৃথক পৃথক আইনে পরিণত না করার বিষয়ে কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
বিলটিকে আইনে পরিণত করা হলে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে জারি করা ৯১টি ও এরশাদের শাসনামলে জারি করা ৮১টি অধ্যাদেশের আইনগত বৈধতা সৃষ্টি হবে। তবে এ রূপ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। কেননা পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ওই অধ্যাদেশগুলোসহ সামরিক শাসনসংক্রান্ত ফরমান, আদেশ ইত্যাদিকে বৈধতা দেয়ায় পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী আইনকে সুপ্রিম কোর্ট বাতিল বলে ঘোষণা করেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল বলে ঘোষিত সামরিক ফরমানের অধীনে জারিকৃত অধ্যাদেশকে সংসদে আইনে পরিণত করলে তা পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীসংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী হবে কিনা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সংশয় রয়েছে।
এ ছাড়া প্রস্তাবিত আইনে অধ্যাদেশগুলো জারির তারিখ থেকে কার্যকর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিধানটি কার্যকর হলে জিয়াউর রহমানের শাসনামলের ৯১টি অধ্যাদেশ জারির তারিখ অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট থেকে পরবর্তী সময়ে জারিকৃত তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, জিয়ার ৯১টি ও এরশাদের শাসনামলের ৮১টি অধ্যাদেশকে বৈধতা দিয়ে গত ২২ জানুয়ারি জারি করা হয় পৃথক দু’টি অধ্যাদেশ জারি করে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ। সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী আইন সুপ্রিম কোর্টে বাতিল ঘোষিত হওয়ায় ওই অধ্যাদেশগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধন আইন ১৯৭৯ অবৈধ ঘোষণা করে ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট রায় ঘোষণা করে। ফলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৮ সালের ৬ এপিল পর্যন্ত জারি করা ৯২টি অকার্যকর হয়ে পড়ে। এই রায়ের ফলে সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ সংশোধন করে সংসদে আইন পাস করে। কিন্তু গত তিন বছর ধরে ওই ৯২টি অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে এসেছে দেশের শাসন ব্যবস্থা। তবে ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে অকার্যকর হয়ে পড়ে ওই ৯২টি অধ্যাদেশ। এ অধ্যাদেশগুলো আইনে পরিণত করা কিংবা সাংবিধানিক বৈধতা দেয়ার কোনো উদ্যোগ আইন মন্ত্রণালয় নেয়নি। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও দেশের বিশাল আইনগত শূন্যতায় রহস্যজনকভাবে তারা ছিলেন নীরব।
No comments