কায়রোয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে প্রাধান্য পাবে সিরিয়া ও মালি সঙ্কট

ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসির নেতারা আগামীকাল বুধবার মিসরের রাজধানী কায়রোয় শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন।
তারা মালিতে ফ্রান্সের হামলা ও সিরিয়া সঙ্কটসহ ইসলামি দেশগুলোর বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। আল আহরাম অনলাইন/এএফপি।

৫৭ সদস্য রাষ্ট্রের সংস্থা ওআইসির ২৬ জন নেতা সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য গতকাল কায়রোয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দুই দিনের বৈঠক শুরু করেছেন। মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ওআইসির পালাক্রমিক সভাপতির দায়িত্ব নেবেন। ওআইসির মহাসচিব ইকমালুদ্দিন এহসানোগলু জানিয়েছেন, শীর্ষ সম্মেলনটি ২০১১ সালে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আরব বিশ্বে গণবিক্ষোভ শুরু হওয়ায় তা পিছিয়ে দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, শীর্ষ সম্মেলনে ইসলামি বিশ্বের প্রধান প্রধান সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হবে। সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রনীতিতে মতপার্থক্য থাকলেও তারা সার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতার পক্ষে সহযোগিতা করার সুযোগ পাবেন। সাবেক এই তুর্কি কূটনীতিক বলেন, আমাদের অবশ্যই আফ্রিকার দেশগুলোর সীমানা ও অখণ্ডতার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।

জাতিগত ও ধর্মীয় ভিত্তিতে দণি সুদানের বিচ্ছিন্নতা মেনে নেয়ার কারণে অন্যান্য দেশে স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনের পথ খুলে গিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মালি ও সিরিয়া সঙ্কট শীর্ষ সম্মেলনে প্রাধান্য পাবে বলে মনে করা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। এই সম্মেলনে যোগ দেবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর এটি হবে ইরানের কোনো প্রেসিডেন্টের প্রথম মিসর সফর।



এ বছরের শেষে ওআইসির বর্তমান মহাসচিবের দায়িত্বকাল শেষ হবে। তার উত্তরসূরি হিসেবে সৌদি আরবের সাবেক তথ্যমন্ত্রী আয়াদ মাদানিকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। মিসরের সরকারি বার্তা সংস্থা মেনা প্রকাশিত ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের খসড়া প্রস্তাবে সিরিয়ার সঙ্কট রাজনৈতিক উপায়ে নিরসনের প্রতি বিশ্বাসী প্রধান বিরোধী সংগঠন ও শক্তিগুলোর মধ্যে আন্তরিক আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
       

No comments

Powered by Blogger.