বাংলানিউজের সাংবাদিককে বেধড়ক পেটালো পুলিশ!
নগরীর পাঁচলাইশ থানার অদূরে মির্জাপুল
এলাকায় পুলিশ ও জামায়াত শিবিরের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় দায়িত্ব পালন
করতে গিয়ে ওই থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পরিতোষের নেতৃত্বে
কয়েকজন পুলিশ সদস্যের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বাংলানিউজের চট্টগ্রাম অফিসের ফটো সাংবাদিক সোহেল সরওয়ার।
মঙ্গলবার
পৌনে দু`টার দিকে নগরীর মির্জাপুল এলাকায় নির্মাণাধীন একটি মসজিদের সামনে এ
ঘটনা ঘটে। ফটো সাংবাদিক সোহেল সরওয়ারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
এ প্রসঙ্গে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে বলেন, `আলোকচিত্র সাংবাদিকের ওপর হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।`
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে দুপুরে মুরাদপুর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের একটি অংশ মুরাদপুর হয়ে মির্জাপুল এলাকায় পালিয়ে যায়।
এসময় পুলিশ তাদের পিছু পিছু ধাওয়া করে। ওই নির্মাণাধীন মসজিদে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা লুকিয়ে আছে এরকম সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে তল্লাশী অভিযান চালায়।
এ অভিযানের ছবি তুলে মসজিদের গেইটের সামনে আসার সময় এএসআই পরিতোষের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য অতর্কিতভাবে সোহেল সরওয়ারের ওপর হামলে পড়ে। তারা তাঁকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে।
এতে সোহেল বুকে ও মুখে আঘাত পান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মনজুর মোর্শেদ ও সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনার জন্য মনজুর মোর্শেদ তাৎক্ষণিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ওই পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আলোকচিত্র সাংবাদিকের ওপর হামলায় জড়িত এএসআই পরিতোষ হামলার ঘটনাটি স্বীকার করে তিনি বলেন,`চিনতে না পারায় তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।`
এদিকে বাংলানিউজের ফটো করেসপন্ডেন্ট সোহেল সরওয়ারের হামলার বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) বনজ কুমার মজুমদার। তিনি এ ঘটনা খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বাংলানিউজের ফটো সাংবাদিক সোহেল সরওয়ারকে নির্বিচারে মারধরের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। এক বিবৃতিতে সিইউজে`র সভাপতি শহীদুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার বলেছেন, `সাংবাদিকরা পুলিশের প্রতিপক্ষ নন।`
দায়িত্ব পালনে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন সিইউজে নেতৃবৃন্দ।
এ প্রসঙ্গে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে বলেন, `আলোকচিত্র সাংবাদিকের ওপর হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।`
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে দুপুরে মুরাদপুর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের একটি অংশ মুরাদপুর হয়ে মির্জাপুল এলাকায় পালিয়ে যায়।
এসময় পুলিশ তাদের পিছু পিছু ধাওয়া করে। ওই নির্মাণাধীন মসজিদে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা লুকিয়ে আছে এরকম সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে তল্লাশী অভিযান চালায়।
এ অভিযানের ছবি তুলে মসজিদের গেইটের সামনে আসার সময় এএসআই পরিতোষের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য অতর্কিতভাবে সোহেল সরওয়ারের ওপর হামলে পড়ে। তারা তাঁকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে।
এতে সোহেল বুকে ও মুখে আঘাত পান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মনজুর মোর্শেদ ও সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনার জন্য মনজুর মোর্শেদ তাৎক্ষণিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ওই পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আলোকচিত্র সাংবাদিকের ওপর হামলায় জড়িত এএসআই পরিতোষ হামলার ঘটনাটি স্বীকার করে তিনি বলেন,`চিনতে না পারায় তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।`
এদিকে বাংলানিউজের ফটো করেসপন্ডেন্ট সোহেল সরওয়ারের হামলার বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) বনজ কুমার মজুমদার। তিনি এ ঘটনা খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বাংলানিউজের ফটো সাংবাদিক সোহেল সরওয়ারকে নির্বিচারে মারধরের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। এক বিবৃতিতে সিইউজে`র সভাপতি শহীদুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার বলেছেন, `সাংবাদিকরা পুলিশের প্রতিপক্ষ নন।`
দায়িত্ব পালনে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন সিইউজে নেতৃবৃন্দ।
No comments