জাতির ঘাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকার বোঝা- সরকারের ব্যাপকঋণ করার প্রবণতা পরিহার করতে হবে
এ সরকারের একটি বড় দুর্বলতা হচ্ছে, ব্যাপক হারে ঋণ করে দেশ চালানোর নীতি
অবলম্বন। এর ফলে দেশের মানুষের ঘাড়ে চাপছে বড় ধরনের ঋণের বোঝা।
সরকার
ঋণ গ্রহণে অনেকটা বেপরোয়া। সরকারের এ ধরনের ঋণনীতি অবলম্বনের ফলে এখন এই
সময়ে দেশের একজন ভিুকের ঘাড়ে ২৮ হাজার টাকার ঋণের বোঝা চেপেছে।
স্বাধীনতার পর থেকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশী-বিদেশী পুঞ্জীভূত ঋণ বেড়ে
দাঁড়িয়েছে চার লাখ কোটি টাকা। বর্তমান জনসংখ্যার অনুপাতে প্রতি নাগরিকের
ঘাড়েও ঋণের পরিমাণ ২৮ হাজার টাকা। প্রতি বছর বাজেটের একটা বড় অংশই চলে
যায় এ ঋণ পুষতে। চলতি অর্থবছরেও বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২৩ হাজার
২০২ কোটি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে ঋণের সুদ পরিশোধে। এ তথ্য জানিয়েছে নয়া
দিগন্তের গতকালের শীর্ষ সংবাদ।
বর্তমান বছরটি এ সরকারের মেয়াদের শেষ বছর। এই বছর শেষে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনী এ বছরে সরকার লোক দেখানোভাবে এ বছর খরচের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ খরচের টাকা সরকারকে জোগাড় করতে হবে ঋণ করেই। ফলে দেশের মানুষের ওপর ঋণের বোঝা আরো বাড়বে তা এখনই বলে দেয়া যায়। এসব লোক দেখানো নানা প্রকল্পে সাধারণ মানুষের উপকার কতটুকু হলো না হলো, সেটা মুখ্য নয়, মুখ্য হচ্ছে এসব কর্মকাণ্ড দেখিয়ে সরকারি দলের ভোটের পাল্লা ভারী করা।
অতিমাত্রায় ঋণ করে সরকার চালালে এর প্রভাব জনগণের ওপর কেমন পড়ে সে ব্যাপারে কোনো তত্ত্বকথা সাধারণ মানুষ বোঝে না। তবে সাধারণ মানুষ তা টের পায় তখন, যখন ঋণের বোঝার নানা অভিঘাত তাদের ওপর পড়ে। সরকার তার খরচ মেটাতে তথা বাজেট ঘাটতি মেটাতে ঋণ নেয় প্রধানত দু’টি উৎস থেকে। একটি অভ্যন্তরীণ ঋণ এবং দ্বিতীয়টি বিদেশী ঋণ ও অনুদান। অভ্যন্তরীণ ঋণের মধ্যে আছে ব্যাংক খাত ও ব্যাংকবহির্ভূত খাত। ব্যাংকবহির্ভূত খাতের মধ্যে আছে সঞ্চয়পত্র, প্রাইজবন্ড ইত্যাদি। দেশের ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়ার পাশাপাশি সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রির মাধ্যমে ঋণ নিয়েও সরকারের ঘাটতি ব্যয় মেটানো হয়।
সরকারের ঋণ নেয়ার পরিমাণ যখন মাত্রা ছাড়া হয়, তখন স্বভাবতই প্রতি বছর বাজেটে বেশি পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখতে হয় ঋণ পরিশোধ বাবদ। ফলে বাজেটে বিভিন্ন খাতে ব্যয় বরাদ্দ সঙ্কোচন করতে হয়। আর সরকার যখন ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত মাত্রায় ঋণ নেয় তখন ব্যাংকগুলো থেকে বেসরকারি খাতে ঋণ দেয়ার পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে বেসরকারি খাত শিল্প ও বিনিয়োগে প্রয়োজনীয় ঋণ পায় না। এর ফলে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি ঘটে না। অর্থনীতিতে এক ধরনের স্থবিরতা নেমে আসে। এতে সার্বিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর নেতিবাচক অভিঘাত পড়ে সাধারণ মানুষের ওপর। যেমনটি উল্লিখিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, একজন ভিুকের ঘাড়েও এখন ২৮ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা চেপেছে।
সরকার লাগামহীনভাবে ঋণ করুক, এটা কাম্য হতে পারে না। তা ছাড়া এ সরকার ঋণ করে ওই টাকা এমন অনেক অনুৎপাদনশীল খাতে খরচ করছে, যা না করলেও জাতির তেমন কোনো ক্ষতি হতো না। শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় অহেতুক এসব খরচ করে জাতির ঘাড়ে বড় ধরনের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমরা চাইব সরকার যেন তার এ ঋণনীতি থেকে সরে এসে ঋণের বোঝা সহনশীল মাত্রায় নামিয়ে আনে। জাতি এ ঋণের বোঝা আর বিন্দুমাত্রায় বাড়াতে চায় না। অবিলম্বে সরকারকে ঋণ করার এ প্রবণতা থেকে সরে আসতে হবে।
বর্তমান বছরটি এ সরকারের মেয়াদের শেষ বছর। এই বছর শেষে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনী এ বছরে সরকার লোক দেখানোভাবে এ বছর খরচের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ খরচের টাকা সরকারকে জোগাড় করতে হবে ঋণ করেই। ফলে দেশের মানুষের ওপর ঋণের বোঝা আরো বাড়বে তা এখনই বলে দেয়া যায়। এসব লোক দেখানো নানা প্রকল্পে সাধারণ মানুষের উপকার কতটুকু হলো না হলো, সেটা মুখ্য নয়, মুখ্য হচ্ছে এসব কর্মকাণ্ড দেখিয়ে সরকারি দলের ভোটের পাল্লা ভারী করা।
অতিমাত্রায় ঋণ করে সরকার চালালে এর প্রভাব জনগণের ওপর কেমন পড়ে সে ব্যাপারে কোনো তত্ত্বকথা সাধারণ মানুষ বোঝে না। তবে সাধারণ মানুষ তা টের পায় তখন, যখন ঋণের বোঝার নানা অভিঘাত তাদের ওপর পড়ে। সরকার তার খরচ মেটাতে তথা বাজেট ঘাটতি মেটাতে ঋণ নেয় প্রধানত দু’টি উৎস থেকে। একটি অভ্যন্তরীণ ঋণ এবং দ্বিতীয়টি বিদেশী ঋণ ও অনুদান। অভ্যন্তরীণ ঋণের মধ্যে আছে ব্যাংক খাত ও ব্যাংকবহির্ভূত খাত। ব্যাংকবহির্ভূত খাতের মধ্যে আছে সঞ্চয়পত্র, প্রাইজবন্ড ইত্যাদি। দেশের ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়ার পাশাপাশি সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রির মাধ্যমে ঋণ নিয়েও সরকারের ঘাটতি ব্যয় মেটানো হয়।
সরকারের ঋণ নেয়ার পরিমাণ যখন মাত্রা ছাড়া হয়, তখন স্বভাবতই প্রতি বছর বাজেটে বেশি পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখতে হয় ঋণ পরিশোধ বাবদ। ফলে বাজেটে বিভিন্ন খাতে ব্যয় বরাদ্দ সঙ্কোচন করতে হয়। আর সরকার যখন ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত মাত্রায় ঋণ নেয় তখন ব্যাংকগুলো থেকে বেসরকারি খাতে ঋণ দেয়ার পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে বেসরকারি খাত শিল্প ও বিনিয়োগে প্রয়োজনীয় ঋণ পায় না। এর ফলে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি ঘটে না। অর্থনীতিতে এক ধরনের স্থবিরতা নেমে আসে। এতে সার্বিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর নেতিবাচক অভিঘাত পড়ে সাধারণ মানুষের ওপর। যেমনটি উল্লিখিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, একজন ভিুকের ঘাড়েও এখন ২৮ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা চেপেছে।
সরকার লাগামহীনভাবে ঋণ করুক, এটা কাম্য হতে পারে না। তা ছাড়া এ সরকার ঋণ করে ওই টাকা এমন অনেক অনুৎপাদনশীল খাতে খরচ করছে, যা না করলেও জাতির তেমন কোনো ক্ষতি হতো না। শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় অহেতুক এসব খরচ করে জাতির ঘাড়ে বড় ধরনের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমরা চাইব সরকার যেন তার এ ঋণনীতি থেকে সরে এসে ঋণের বোঝা সহনশীল মাত্রায় নামিয়ে আনে। জাতি এ ঋণের বোঝা আর বিন্দুমাত্রায় বাড়াতে চায় না। অবিলম্বে সরকারকে ঋণ করার এ প্রবণতা থেকে সরে আসতে হবে।
No comments