র্যাব সদস্য নূরনবী কি সত্যিই নিখোঁজ?- সন্দেহ দানা বাঁধছে
নিখোঁজ র্যাব সদস্য নূরনবী চৌধুরী
সম্পর্কে সন্দেহ দানা বাঁধছে। র্যাবের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, নূরনবী মানসিক
ভারসাম্যহীন ছিলেন। তাঁর হদিস পেতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
কিন্তু নূরনবীর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের দাবি, কারও কাছ থেকেই তিনি কোন সহযোগিতা পাননি। নূরনবী মানসিক ভারসাম্যহীনও ছিলেন না।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ র্যাব সদস্য নূরনবী চৌধুরীর স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, আমার স্বামী পুলিশ সদস্য। সরকারী নির্দেশে তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে খিলগাঁও র্যাব-৩-এ যোগদান করেন। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। কিন্তু র্যাব-৩-এর কমান্ডিং অফিসার জাকির হোসেন ডিউটি চলাকালীন সময়ে তাঁকে নামাজ আদায় করতে নিষেধ করতেন। একদিন ফজরের নামাজ আদায় করতে গেলে কমান্ডিং অফিসার তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমনি তাঁর চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দেন। একই কারণে র্যাব-৩-এর ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ রফিক ও সার্জেন্ট দেলোয়ার (বিএসএম) তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি তাঁকে দেখে ছাড়বে বলে হুমকি দেয়। এরপর খিলগাঁও থেকে তাঁকে র্যাব-৩-এর টিকাটুলী কার্যালয়ে পাঠানো হয়। টিকাটুলী যোগদানের পর তাঁর মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গত বছরের ৩০ এপ্রিল তাঁকে টিকাটুলী থেকে র্যাব-১-এর উত্তরা কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ওইদিন রাতেই তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়। তিনি টেলিফোনে আমাকে বলেন, আমি খুব বিপদের মধ্যে আছি। আমার জন্য দোয়া কর। মাকেও দোয়া করতে বল। বাসায় গিয়ে তোমাদের সঙ্গে দেখা করার মতো সুযোগ আমার জীবনে হয়ত আর কোনদিন নাও হতে পারে। তোমরা গ্রামের বাড়ি চলে যাও। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। এ ব্যাপারে ১১ এপ্রিল রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় একটি ডায়েরি করি।
নূরনবীর স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার জনকণ্ঠকে মোবাইল ফোনে বলেন, স্বামীর সন্ধানে আমি উত্তরা র্যাব হেডকোয়ার্টারে যাই। স্বামীর সহকর্মীরা আমাকে জানায়, নূরনবীর মোবাইল সেট ও কাপড়চোপড় বিছানার ওপর পড়েছিল। কাপড়চোপড় একজন কর্মকর্তার কাছে জমা আছে। পরে এসব কাপড়চোপড় ফিরিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু আজও কাপড়চোপড় ফেরত পাইনি। পরে আমি কমান্ডিং অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাঁরা আমাকে দেখা করতে দেয়নি। বিষয়টি পুলিশ মহাপরিদর্শক ও র্যাবের মহাপরিচালকসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানানো হলেও কোন ফল হয়নি।
এ ব্যাপারে র্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মোঃ সোহায়েল জনকণ্ঠকে বলেন, র্যাব সদস্য নূরনবী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। নূরনবী নিখোঁজ হওয়ার পর সব ধরনের বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাঁর নিখোঁজ সংবাদ দেশের প্রতিটি থানা ও সংশিস্নষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তদনত্ম কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদনত্ম শেষে নূরনবী নিখোঁজ বলে রিপোর্ট দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। নূরনবীর স্ত্রী যেসব র্যাব সদস্যের বিরম্নদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাঁদের প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
নিখোঁজ নূরনবী সম্পর্কে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপার থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন নূরনবীর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের বরাত দিয়ে জনকণ্ঠকে জানান, স্থায়ী ঠিকানায় নূরনবীর অবস্থান সম্পর্কে র্যাব সদর দফতর থেকে চিঠির মাধ্যমে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। পরে নূরনবীর পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনদের মাধ্যমে তাঁর সন্ধান করা হয়। কিন্তু নূরনবীর অবস্থান সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে নূরনবীর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের দাবি, নূরনবী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন না। তিনি পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন। পরবর্তীতে নূরনবী মানসিক ভারসাম্যহীন হয়েছিলেন কিনা, তা তাঁদের জানা নেই। নূরনবী ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানাধীন যোগিনী গ্রামের বাসিন্দা। স্থায়ী ঠিকানা সম্পর্কিত অন্যসব তথ্য সঠিক বলে ওসি জানান। কিন্তু নূরনবীর স্ত্রীর দাবি, সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লিখিত স্থায়ী ঠিকানা শতভাগ সঠিক।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ র্যাব সদস্য নূরনবী চৌধুরীর স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, আমার স্বামী পুলিশ সদস্য। সরকারী নির্দেশে তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে খিলগাঁও র্যাব-৩-এ যোগদান করেন। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। কিন্তু র্যাব-৩-এর কমান্ডিং অফিসার জাকির হোসেন ডিউটি চলাকালীন সময়ে তাঁকে নামাজ আদায় করতে নিষেধ করতেন। একদিন ফজরের নামাজ আদায় করতে গেলে কমান্ডিং অফিসার তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমনি তাঁর চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দেন। একই কারণে র্যাব-৩-এর ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ রফিক ও সার্জেন্ট দেলোয়ার (বিএসএম) তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি তাঁকে দেখে ছাড়বে বলে হুমকি দেয়। এরপর খিলগাঁও থেকে তাঁকে র্যাব-৩-এর টিকাটুলী কার্যালয়ে পাঠানো হয়। টিকাটুলী যোগদানের পর তাঁর মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গত বছরের ৩০ এপ্রিল তাঁকে টিকাটুলী থেকে র্যাব-১-এর উত্তরা কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ওইদিন রাতেই তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়। তিনি টেলিফোনে আমাকে বলেন, আমি খুব বিপদের মধ্যে আছি। আমার জন্য দোয়া কর। মাকেও দোয়া করতে বল। বাসায় গিয়ে তোমাদের সঙ্গে দেখা করার মতো সুযোগ আমার জীবনে হয়ত আর কোনদিন নাও হতে পারে। তোমরা গ্রামের বাড়ি চলে যাও। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। এ ব্যাপারে ১১ এপ্রিল রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় একটি ডায়েরি করি।
নূরনবীর স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার জনকণ্ঠকে মোবাইল ফোনে বলেন, স্বামীর সন্ধানে আমি উত্তরা র্যাব হেডকোয়ার্টারে যাই। স্বামীর সহকর্মীরা আমাকে জানায়, নূরনবীর মোবাইল সেট ও কাপড়চোপড় বিছানার ওপর পড়েছিল। কাপড়চোপড় একজন কর্মকর্তার কাছে জমা আছে। পরে এসব কাপড়চোপড় ফিরিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু আজও কাপড়চোপড় ফেরত পাইনি। পরে আমি কমান্ডিং অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাঁরা আমাকে দেখা করতে দেয়নি। বিষয়টি পুলিশ মহাপরিদর্শক ও র্যাবের মহাপরিচালকসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানানো হলেও কোন ফল হয়নি।
এ ব্যাপারে র্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মোঃ সোহায়েল জনকণ্ঠকে বলেন, র্যাব সদস্য নূরনবী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। নূরনবী নিখোঁজ হওয়ার পর সব ধরনের বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাঁর নিখোঁজ সংবাদ দেশের প্রতিটি থানা ও সংশিস্নষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তদনত্ম কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদনত্ম শেষে নূরনবী নিখোঁজ বলে রিপোর্ট দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। নূরনবীর স্ত্রী যেসব র্যাব সদস্যের বিরম্নদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাঁদের প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
নিখোঁজ নূরনবী সম্পর্কে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপার থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন নূরনবীর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের বরাত দিয়ে জনকণ্ঠকে জানান, স্থায়ী ঠিকানায় নূরনবীর অবস্থান সম্পর্কে র্যাব সদর দফতর থেকে চিঠির মাধ্যমে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। পরে নূরনবীর পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনদের মাধ্যমে তাঁর সন্ধান করা হয়। কিন্তু নূরনবীর অবস্থান সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে নূরনবীর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের দাবি, নূরনবী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন না। তিনি পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন। পরবর্তীতে নূরনবী মানসিক ভারসাম্যহীন হয়েছিলেন কিনা, তা তাঁদের জানা নেই। নূরনবী ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানাধীন যোগিনী গ্রামের বাসিন্দা। স্থায়ী ঠিকানা সম্পর্কিত অন্যসব তথ্য সঠিক বলে ওসি জানান। কিন্তু নূরনবীর স্ত্রীর দাবি, সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লিখিত স্থায়ী ঠিকানা শতভাগ সঠিক।
No comments