যশোরের ভবদহে আবারো উত্তেজনাঃ গভীর রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ
যশোরের মনিরামপুরের ভবদহ এলাকায় টিআরএম বা জোয়ারাধার প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে রোববার গভীর রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
বিল
খুকসিয়ার কাটিং পয়েন্টে বাঁধ কেটে বিল কপালিয়ায় পানি ঢোকানোর চেষ্টা
করলে ওই সংঘর্ষ হয়। এ সময় একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ হালিম গাজীকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিল কপালিয়া পাড়ের বাসিন্দারা জানান, অভয়নগর উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক তার লোকজন নিয়ে গভীর রাতে ওই বাঁধ কেটে তাদের ফসলের ক্ষেত ও মাছের ঘেরে লবণ-পানি ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে বিল কপালিয়া পাড়ের কয়েকটি গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ তাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। এ সময় টিআরএম প্রকল্পের পক্ষের লোকজন কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ভবদহ এলাকার নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, অভয়নগর উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন বিল কপালিয়ার ৯ নম্বর পয়েন্ট এলাকায় গিয়ে সেখানকার বাঁধ কেটে দেন। খবর পেয়ে জোয়ারাধার বিরোধী লোকজন সেখানে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে অভয়নগর উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, তিনি বা তার কোনো লোকজন বাঁধ কাটতে যাননি। এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক বৈকুণ্ঠ বিহারী রায় বলেন, ভবদহ এলাকা থেকে জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর করার জন্য জোয়ারাধার প্রকল্পের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু এই প্রকল্পটি নিয়ে এলাকায় পক্ষে-বিপক্ষে দু’টি গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে। গভীর রাতে একটি পক্ষ বাঁধ কেটে বিল কপালিয়ায় পানি ঢোকানোর চেষ্টা করলে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অপর পক্ষ গতকাল সকালে বাঁধটি মেরামত করেছে।
যশোরের পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র বলেন, জোয়ারাধার প্রকল্প নিয়ে সৃষ্ট সমস্যাটি দীর্ঘ দিনের। গত কয়েক দিন ধরেই আমরা চেষ্টা চালাচ্ছিলাম যাতে কোনো অনাকাক্সিত ঘটনা না ঘটে। তারপরও রোববার রাতে একটি ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২ জুন বিল কপালিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের টিআরএম প্রকল্পের কাজ শুরু করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হামলার শিকার হয়েছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ শেখ আব্দুল ওহাব। গ্রামবাসী তার গাড়িবহরের তিনটি মাইক্রোবাস, তিনটি মোটরসাইকেল ও তিনটি নসিমনে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় অভয়নগর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছিলেন।
বিল কপালিয়া পাড়ের বাসিন্দারা জানান, অভয়নগর উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক তার লোকজন নিয়ে গভীর রাতে ওই বাঁধ কেটে তাদের ফসলের ক্ষেত ও মাছের ঘেরে লবণ-পানি ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে বিল কপালিয়া পাড়ের কয়েকটি গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ তাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। এ সময় টিআরএম প্রকল্পের পক্ষের লোকজন কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ভবদহ এলাকার নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, অভয়নগর উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন বিল কপালিয়ার ৯ নম্বর পয়েন্ট এলাকায় গিয়ে সেখানকার বাঁধ কেটে দেন। খবর পেয়ে জোয়ারাধার বিরোধী লোকজন সেখানে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে অভয়নগর উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, তিনি বা তার কোনো লোকজন বাঁধ কাটতে যাননি। এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক বৈকুণ্ঠ বিহারী রায় বলেন, ভবদহ এলাকা থেকে জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর করার জন্য জোয়ারাধার প্রকল্পের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু এই প্রকল্পটি নিয়ে এলাকায় পক্ষে-বিপক্ষে দু’টি গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে। গভীর রাতে একটি পক্ষ বাঁধ কেটে বিল কপালিয়ায় পানি ঢোকানোর চেষ্টা করলে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অপর পক্ষ গতকাল সকালে বাঁধটি মেরামত করেছে।
যশোরের পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র বলেন, জোয়ারাধার প্রকল্প নিয়ে সৃষ্ট সমস্যাটি দীর্ঘ দিনের। গত কয়েক দিন ধরেই আমরা চেষ্টা চালাচ্ছিলাম যাতে কোনো অনাকাক্সিত ঘটনা না ঘটে। তারপরও রোববার রাতে একটি ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২ জুন বিল কপালিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের টিআরএম প্রকল্পের কাজ শুরু করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হামলার শিকার হয়েছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ শেখ আব্দুল ওহাব। গ্রামবাসী তার গাড়িবহরের তিনটি মাইক্রোবাস, তিনটি মোটরসাইকেল ও তিনটি নসিমনে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় অভয়নগর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছিলেন।
No comments