সরে গেল দাতা সংস্থাঃ পড়ে থাকল জরাজীর্ণ ভিত্তিপ্রস্তর by গোলাম মঞ্জুরে মাওলা অপু
২০০১ সালের ৪ জুলাই অর্থের জোগান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়ায়
বহুল আলোচিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন; যার
নামফলকটি আজ ধুলোবালু প্রলেপ মাখানো।
জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে মাওয়ার পদ্মাপাড়ে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আবার মতায় এলে বিশ্বব্যাংক, জাইকা, এডিবি ও
আইডিবিকে নিয়ে সেতু নির্মাণকাজ শুরু করে। বৃহৎ এ সেতু প্রকল্প থেকে একে
একে বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও জাইকা এরই মধ্যে অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।
চতুর্থ দাতা সংস্থা আইডিবির অর্থায়ন নিয়েও রয়েছে সংশয়। এ সেতু নিয়ে
ছয় কোটি জন-অধ্যুষিত দণি-পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দার মধ্যে অনিশ্চয়তা কাটছে
না। মহাজোট সরকারের প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী এ পরিস্থিতিতে বিকল্প অর্থায়নে
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সরকার শুরু করতে পারবে কি না তা নিয়ে
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের মধ্যে আলোচনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ
চলছে। কেননা ২০১৩ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করা মহাজোট
সরকারের অন্যতম প্রতিশ্র“তি ছিল। এ েেত্র সরকার সমর্থকেরা যেকোনো উপায়ে
পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করা হবে বললেও সাধারণ জনগণ জোর দিয়েই বলছেন, এ
সরকারের মেয়াদে বড়জোর আগের মতোই নতুন একটি ভিত্তিহীন ভিত্তিপ্রস্তর
স্থাপন করা হতে পারে। তবে সেতু না হওয়ার আশঙ্কাই সর্বমহলে দেখা দিয়েছে। এ
নিয়ে দণিবঙ্গের অনেকেরই মত হচ্ছে, পদ্মা সেতু ইস্যুতেই আওয়ামী লীগ
সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বহুলাংশে কমে যাবে এবং এত অল্প সময়ের মধ্যে নিজস্ব
অর্থায়নেও পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হবে না। পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগের
দায়ও আওয়ামী লীগ সরকারকে বহন করতে হবে বলে তারা বলছেন। সব মিলিয়ে আগামী
দুই মাসে সেতুর কাজ করতে পারা যাবে বলে অর্থমন্ত্রী যে আশা প্রকাশ করেছেন,
তাও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বলে মনে করছেন এ অঞ্চলের মানুষ।
এ দিকে মূল ব্রিজের কাজ না করলেও জমি অধিগ্রহণ ও তিগ্রস্তদের পুনর্বাসনকাজ প্রায় শেষপর্যায়ে। এত কিছুর পরও বর্তমান সরকারের কয়েকজনের দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতু হবে না তা মানতে রাজি নন অনেকে। এখনো তাদের মধ্যে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নে আশার আলো নেভেনি। গত রোববারও পদ্মাপাড়ের সেতু এলাকায় ও মাওয়া নৌরুটে চলাচলরত জনগণের মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
মুন্সীগঞ্জের মেদিনীমণ্ডল এলাকার বাবুল শিকদার বলেন, এ সরকার মতায় আসার পর পদ্মা সেতু দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় দু-একজনের দুর্নীতিতে দাতা সংস্থাগুলো বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলে গেল। এখন অর্থমন্ত্রী বলছেন দুই মাসের মধ্যে কাজ শুরু করবে, কিভাবে করবে তা বুঝছি না।
মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী প্রজন্মলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থানীয় বাসিন্দা শরীফুল ইসলাম সঞ্জিব বলেন,্ এ সরকারই শুরু করতে পারবে, একটি কুচক্রিমহলের কারণে বিশ্বব্যাংক চলে গেছে। এখনো দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন এ সরকাই পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করতে পারবে।
মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা মেন্বার আইভি নাহার লাকি জানান, অর্থমন্ত্রী মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছেন। সরকার হয়তো তড়িঘড়ি করে পদ্মা সেতুর একটি খুঁটি দিয়ে যেতে পারবেন। তবে এত বড় কাজ করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না।
ঢাকা-বাগেরহাট রুটের বাসযাত্রী বাগেরহাটের কাছিকাটা গ্রামের রুহুল আমিন জানান, এত কিছুর পরও শুধু শুনেই যাচ্ছি এ সরকারের আমলে পদ্মা সেতু হবে; অথচ সরকারের হাতে তো আর বেশি সময়ও নেই। কিন্তু কবে সেতু হবে তার কোনো হিসাবই পাচ্ছি না।
মোরেলগঞ্জের সোহাগ জানান, দাতা সংস্থা ফিরে যাওয়ায় বিশ্বের সবাই আমাদের তিরস্কার করছেন।
পদ্মা সেতুতে তিগ্রস্ত মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ফেরিঘাট এলাকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী পনির, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী গ্রামের হান্নান শেখ বলেন, প্রকল্প এলাকায় এখন পর্যন্ত ব্রিজের মালামাল বা নির্মাণকাজের কোনো আলামতই নেই। তা হলে সরকার ব্রিজ করবে কিভাবে?
লঞ্চযাত্রী শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা গ্রামের মওদুদ হোসেন বলেন, সরকারের হাতে মেয়াদ তো আর নেই। তা ছাড়া বিশ্বব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলো টাকা দিচ্ছে না। নিজস্ব অর্থায়ন কোথা থেকে হবে? এ সরকারের কথায় ও কাজে মিল নেই। কিন্তু একটি পিলারও তো বানাতে পারেনি। আবার কবে বানাবে সেতু।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ ফেব্র“য়ারি জাজিরা পয়েন্টে ভারতের সাথে যৌথ উদ্যোগের নদীশাসন কাজের উদ্বোধন করার সময় পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের প্যাকেজ ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিশ্বব্যাংকের সাথে চুক্তি বাতিল হওয়ায় পুরনো নকশা বাদ দিয়ে নতুন নকশায় সেতু নির্মাণ করারও কথা রয়েছে।
এ দিকে মূল ব্রিজের কাজ না করলেও জমি অধিগ্রহণ ও তিগ্রস্তদের পুনর্বাসনকাজ প্রায় শেষপর্যায়ে। এত কিছুর পরও বর্তমান সরকারের কয়েকজনের দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতু হবে না তা মানতে রাজি নন অনেকে। এখনো তাদের মধ্যে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নে আশার আলো নেভেনি। গত রোববারও পদ্মাপাড়ের সেতু এলাকায় ও মাওয়া নৌরুটে চলাচলরত জনগণের মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
মুন্সীগঞ্জের মেদিনীমণ্ডল এলাকার বাবুল শিকদার বলেন, এ সরকার মতায় আসার পর পদ্মা সেতু দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় দু-একজনের দুর্নীতিতে দাতা সংস্থাগুলো বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলে গেল। এখন অর্থমন্ত্রী বলছেন দুই মাসের মধ্যে কাজ শুরু করবে, কিভাবে করবে তা বুঝছি না।
মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী প্রজন্মলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থানীয় বাসিন্দা শরীফুল ইসলাম সঞ্জিব বলেন,্ এ সরকারই শুরু করতে পারবে, একটি কুচক্রিমহলের কারণে বিশ্বব্যাংক চলে গেছে। এখনো দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন এ সরকাই পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করতে পারবে।
মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা মেন্বার আইভি নাহার লাকি জানান, অর্থমন্ত্রী মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছেন। সরকার হয়তো তড়িঘড়ি করে পদ্মা সেতুর একটি খুঁটি দিয়ে যেতে পারবেন। তবে এত বড় কাজ করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না।
ঢাকা-বাগেরহাট রুটের বাসযাত্রী বাগেরহাটের কাছিকাটা গ্রামের রুহুল আমিন জানান, এত কিছুর পরও শুধু শুনেই যাচ্ছি এ সরকারের আমলে পদ্মা সেতু হবে; অথচ সরকারের হাতে তো আর বেশি সময়ও নেই। কিন্তু কবে সেতু হবে তার কোনো হিসাবই পাচ্ছি না।
মোরেলগঞ্জের সোহাগ জানান, দাতা সংস্থা ফিরে যাওয়ায় বিশ্বের সবাই আমাদের তিরস্কার করছেন।
পদ্মা সেতুতে তিগ্রস্ত মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ফেরিঘাট এলাকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী পনির, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী গ্রামের হান্নান শেখ বলেন, প্রকল্প এলাকায় এখন পর্যন্ত ব্রিজের মালামাল বা নির্মাণকাজের কোনো আলামতই নেই। তা হলে সরকার ব্রিজ করবে কিভাবে?
লঞ্চযাত্রী শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা গ্রামের মওদুদ হোসেন বলেন, সরকারের হাতে মেয়াদ তো আর নেই। তা ছাড়া বিশ্বব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলো টাকা দিচ্ছে না। নিজস্ব অর্থায়ন কোথা থেকে হবে? এ সরকারের কথায় ও কাজে মিল নেই। কিন্তু একটি পিলারও তো বানাতে পারেনি। আবার কবে বানাবে সেতু।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ ফেব্র“য়ারি জাজিরা পয়েন্টে ভারতের সাথে যৌথ উদ্যোগের নদীশাসন কাজের উদ্বোধন করার সময় পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের প্যাকেজ ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিশ্বব্যাংকের সাথে চুক্তি বাতিল হওয়ায় পুরনো নকশা বাদ দিয়ে নতুন নকশায় সেতু নির্মাণ করারও কথা রয়েছে।
No comments