সমুদ্রে উদ্ধার বাংলাদেশি-মৃত্যুর এ ফাঁদ বন্ধ করুন
সমুদ্রের অথৈ পানিতে একটি মাছধরা ট্রলারে
পানিশূন্য হয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি ভাসছিলেন ১২৭ বাংলাদেশিসহ ১৩৮ জন
ভাগ্যান্বেষী মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু মানুষ। প্রচণ্ড পানিশূন্যতায় ও ক্ষুধায়
কাতর একজন বাংলাদেশি তখন মারাও গেছেন। ভাগ্যক্রমে শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী
ট্রলারটি দেখতে পেয়ে এ মানুষগুলোকে উদ্ধার করে।
বেঁচে
যাওয়া এই মানুষগুলো এখন শ্রীলঙ্কার আশ্রয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন নারী ও
তিনটি শিশুও ছিল। আশা করা যায়, দ্রুত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের
ফিরিয়ে দেওয়া হবে বাংলাদেশের কাছে। এই মানবিক তৎপরতার জন্য শ্রীলঙ্কার
নৌবাহিনী, তথা গোটা দেশকে আমাদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। এদিকে
দালালের খপ্পরে পড়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু দুই শতাধিক বাঙালি এখন
থাইল্যান্ডের সীমান্ত অঞ্চলে আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের হাতে পড়ে
দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছে। প্রায় দেড় মাস আগে তারা নিখোঁজ হয়। এখন পাচারকারীরা
দালালের মাধ্যমে মুক্তিপণের জন্য বাংলাদেশে পরিবারগুলোকে টেলিফোনে চাপ
দিচ্ছে বলে পত্রিকার সংবাদ থেকে জানা গেছে।
কর্মসংস্থানের প্রলোভন দেখিয়ে মানবপাচারের নিষ্ঠুর এ ঘটনা এবারই প্রথম নয়। দীর্ঘকাল ধরে সমুদ্রপথে ট্রলারে চড়িয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে সরল বিশ্বাসী কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বিদেশ গমনেচ্ছু মানুষদের। প্রায়ই তারা লাশ হয়ে ফিরছে অথবা তাদের সলিল সমাধি ঘটছে। সরকারের উদ্যোগে উপকূল অঞ্চলে কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই এ জঘন্য অপরাধ রোধ করা যাচ্ছে না। এর প্রধান কারণ, পাচারকারীদের কঠোরহস্তে দমন না করা এবং সময়মতো বিচারের সম্মুখীন না করা। এর দায় বর্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। 'আর একটি মানুষের এমন মৃত্যু নয়'- এই মানসিকতা নিয়ে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, এটাই উদ্বিগ্ন দেশবাসীর দাবি। সমুদ্রে এভাবে আত্মাহুতি দেওয়া মানুষগুলো আমাদেরই ছেলে, ভাই, স্বজন। আমরা দায়িত্বে অবহেলার মধ্য দিয়ে তাদের এভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারি না। এ দেশের যারা দালাল ও প্রতারকচক্রের খপ্পরে পড়ছে, তাদের বেশির ভাগ মানুষই সহজ-সরল। এ মানুষগুলোকে সচেতন করার জন্য সরকারের ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। জেলায় জেলায় প্রশাসকদের অধীনে এবং গণমাধ্যমের সাহায্য নিয়ে মানবপাচারের সঠিক চিত্র তুলে ধরুন দেশবাসীর সামনে, যাতে ঘৃণ্য দালাল-প্রতারকরা বিভ্রান্ত করতে না পারে। তাহলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
কর্মসংস্থানের প্রলোভন দেখিয়ে মানবপাচারের নিষ্ঠুর এ ঘটনা এবারই প্রথম নয়। দীর্ঘকাল ধরে সমুদ্রপথে ট্রলারে চড়িয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে সরল বিশ্বাসী কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বিদেশ গমনেচ্ছু মানুষদের। প্রায়ই তারা লাশ হয়ে ফিরছে অথবা তাদের সলিল সমাধি ঘটছে। সরকারের উদ্যোগে উপকূল অঞ্চলে কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই এ জঘন্য অপরাধ রোধ করা যাচ্ছে না। এর প্রধান কারণ, পাচারকারীদের কঠোরহস্তে দমন না করা এবং সময়মতো বিচারের সম্মুখীন না করা। এর দায় বর্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। 'আর একটি মানুষের এমন মৃত্যু নয়'- এই মানসিকতা নিয়ে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, এটাই উদ্বিগ্ন দেশবাসীর দাবি। সমুদ্রে এভাবে আত্মাহুতি দেওয়া মানুষগুলো আমাদেরই ছেলে, ভাই, স্বজন। আমরা দায়িত্বে অবহেলার মধ্য দিয়ে তাদের এভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারি না। এ দেশের যারা দালাল ও প্রতারকচক্রের খপ্পরে পড়ছে, তাদের বেশির ভাগ মানুষই সহজ-সরল। এ মানুষগুলোকে সচেতন করার জন্য সরকারের ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। জেলায় জেলায় প্রশাসকদের অধীনে এবং গণমাধ্যমের সাহায্য নিয়ে মানবপাচারের সঠিক চিত্র তুলে ধরুন দেশবাসীর সামনে, যাতে ঘৃণ্য দালাল-প্রতারকরা বিভ্রান্ত করতে না পারে। তাহলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
No comments