রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীত- বিরোধীদের ওয়াকআউট
প্রায় আড়াই মাসে ৪৩ ঘণ্টা
উত্তপ্ত-প্রাণবন্ত আলোচনার পর বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের
ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রসত্মাব গৃহীত হয়েছে। সংসদনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার সমাপনী বক্তব্যের পর কণ্ঠভোটে তা গৃহীত হয়।
তবে আলোচনার সমাপনী দিনেও এক দফা সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছে বিরোধী দল।
তবে প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপের আপত্তিকর মন্তব্যেকে কেন্দ্র করে সংসদ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তীব্র হৈচৈ, বাকবিতণ্ডর এক পর্যায়ে বিএনপির জয়নুল আবদীন ফারুকের মাইক বন্ধ করার প্রতিবাদে বিরোধী দল সংসদ থেকে ওয়াকআউট করে। এক ঘণ্টার পর সংসদে ফিরে এসে তাঁরা রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নেন।
সময় নির্ধারণ নিয়ে বিরোধী দলের আপত্তি সম্পর্কে স্পীকার এ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ বলেন, বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার সময় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার জন্য বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারম্নক ৫ ঘণ্টা সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের ৩১ জন সদস্য ইতোমধ্যে ৬ ঘণ্টা ৩১ মিনিট বক্তব্যে রেখেছেন। সেই হিসেবে ১ ঘণ্টা ৩১ মিনিট বেশি পেয়েছেন। এখনও বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক স্পীকার জমিরউদ্দিন সরকার এখনও বলেননি। তার পরও সময় নিয়ে কথা বলা দুঃখজনক।
রাষ্ট্রপতি ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব পাস হওয়ার আগে এ বিষয়ে ৪০৯টি সংশোধনী আনেন বিরোধী দলের ৫ সদস্য। প্রত্যেকেই ঢাকা বিমানবন্দরের নাম বদলকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উলেস্নখ বলেন, রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে কিছু না বলা দুঃখজনক। গত ৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন। তখন বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করা হয়নি। পরে কণ্ঠভোটে সংশোধনীগুলো নাকচ হয়ে যায়।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার সমাপনী দিনে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বক্তব্য দেয়ার কথা থাকলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। আরও বক্তব্যে রাখেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি, বিএনপির সাবেক স্পীকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারম্নক।
বিতর্কের সূত্রপাত, ওয়াকআউট ॥ বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারম্নক আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য রাখলে সংসদ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জনাব ফারম্নক বলেন, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার কারণে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। আর এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রধানমন্ত্রীর পুত্র জয়। এ সময় সরকারী দলের সদস্যরা তীব্র ৰোভে ফেটে পড়েন। হৈচৈ ও প্রতিবাদের মুখে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ আরও বলেন, লগি-বৈঠার ফসল ওয়ান ইলেভেন। সাজানো-পাতানো অদ্ভুত নির্বাচনে এই সংসদ। পঞ্চম সংশোধনী করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এখন সুপ্রীমকোর্ট ও বিচারপতিদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করা হলে বলার কিছু নেই।
জয় সম্পর্কে কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্য এক্সপাঞ্জের দাবিতে ৰোভে ফেটে পড়েন সরকারী দলের সদস্যরা। সৈয়দ সাজেদা চৌধুরীসহ সবাই একযোগে দাঁড়িয়ে বক্তব্যটি প্রত্যাহারের দাবি জানাতে থাকেন। নির্ধারিত ৩০ মিনিট শেষ হওয়ার পরও বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ বক্তব্য শেষ না করায় ডেপুটি স্পীকার তাঁর মাইক বন্ধ করে দেন। মাইক বন্ধ করার প্রতিবাদে বিরোধী দলও তীব্র হৈচৈ, ফাইল দিয়ে টেবিল চাপড়িয়ে তার প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিএনপির শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানির চাপেই ৩টা ৪০ মিনিটে ওয়াকআউট করে বিরোধী দল। ওয়াকআউটের সময় ডেপুটি স্পীকার বলেন, নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর নিয়ম মেনেই মাইক বন্ধ করা হয়েছে। এ সময় সরকারী দলের তীব্র দাবির মুখে জয় সম্পর্কে দেয়া কটূক্তিমূলক বক্তব্য স্পীকার এক্সপাঞ্জ করে দিলে পরিস্থিতি শানত্ম হয়।
জবাব দিতে দাঁড়িয়ে সরকারী দলের চীফ হুইপ উপাধ্যৰ আবদুস শহীদ সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে দেয়া মিথ্যা বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জয়ের সঙ্গে তারেকের তুলনা চলে না। গোল্ড আর সিলভার এক নয়। জয় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। আর তারেক রহমান দুর্নীতির কারণে রাজনীতি করবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন। হাওয়া ভবন তৈরি করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। তিনি বলেন, অজুহাত খুঁজে প্রতিদিনই ওয়াকআউট তাদের রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। বিরোধীদলীয় নেত্রী গত ১৪ মাসে মাত্র ৪ দিন সংসদে এসেছেন। এটাই তাদের সংসদ কার্যকরের নমুনা।
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিরোধী দল এ সংসদ চাননি। চেয়েছিলেন ২২ জানুয়ারির ইয়েসউদ্দিন-আজিজ মার্কা পাতানো নির্বাচনের সংসদ। জয়ের সঙ্গে তারেকের তুলনা করা হয়। তারেকের মা নির্বাচনী ফরমে লিখেছেন স্বশিৰিত। আর পুত্রকে লিখতে হবে বহিষকৃত। শামুক কখনও শঙ্খ হয় না। তিনি বলেন, মইন-ফখরম্নদ্দীনরা এখন বিএনপির চৰুশূল হয়েছে। অথচ কতজনকে সুপারসিড করে মইন উ আহমদকে সেনাপ্রধান করেছিলেন এটা খালেদা জিয়াই বেশি জানেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, চোখ বন্ধ করে রাখলেও প্রলয় বন্ধ হয় না। পঞ্চম সংশোধনী মেনে নিলে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না। ইতিহাস বিকৃতির খেলা বন্ধ হবে, ইতিহাস নিয়ে রাজনীতিতে আর প্রতিযোগিতা হবে না। এই রায় সবাই মেনে নিতে বাধ্য। নকল নায়ক নিয়ে সত্য ইতিহাস ঢাকা যায় না। সর্বোচ্চ আদালতের রায়েই প্রমাণ হয়েছে জিয়াউর রহমানের ৰমতা দখল ছিল অবৈধ।
বিএনপির সাবেক স্পীকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক। এটা ঐতিহাসিকভাবে সত্য। শেখ মুজিব ও জিয়াউর রহমান ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস হবে না। সরকারী দলকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক স্বীকার করেন বা না করেন, তাঁকে অপমান করবেন না। সংসদে তাঁর বিরম্নদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত কমিটি গঠন করার প্রতিবাদ জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেন, একটি মহল সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে তৎপর। তারা চায় না দেশ স্থিতিশীল থাকুক। কোন ষড়যন্ত্রই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে পারবে না। দুর্নীতিবাজ, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও টেন্ডারবাজদের নির্মুল করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পাঁচ বছরে এ অঞ্চলে আমরা কার্যত একঘরে হয়ে গিয়েছিলাম। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, সাংবাদিক নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দেশ হিসেবে নেতিবাচক পরিচিত ছিল। এক বছরে মহাজোট সরকার সেই নেতিবাচক পরিচয় থেকে দেশকে বেরিয়ে আনতে পেরেছে। সন্দেহ-অবিশ্বাস দূর করে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক তৈরি করে নতুন দিগন্ত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বিশ্ব সমর্থন আদায়ে সক্ষম হয়েছি।
তবে প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপের আপত্তিকর মন্তব্যেকে কেন্দ্র করে সংসদ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তীব্র হৈচৈ, বাকবিতণ্ডর এক পর্যায়ে বিএনপির জয়নুল আবদীন ফারুকের মাইক বন্ধ করার প্রতিবাদে বিরোধী দল সংসদ থেকে ওয়াকআউট করে। এক ঘণ্টার পর সংসদে ফিরে এসে তাঁরা রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নেন।
সময় নির্ধারণ নিয়ে বিরোধী দলের আপত্তি সম্পর্কে স্পীকার এ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ বলেন, বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার সময় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার জন্য বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারম্নক ৫ ঘণ্টা সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের ৩১ জন সদস্য ইতোমধ্যে ৬ ঘণ্টা ৩১ মিনিট বক্তব্যে রেখেছেন। সেই হিসেবে ১ ঘণ্টা ৩১ মিনিট বেশি পেয়েছেন। এখনও বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক স্পীকার জমিরউদ্দিন সরকার এখনও বলেননি। তার পরও সময় নিয়ে কথা বলা দুঃখজনক।
রাষ্ট্রপতি ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব পাস হওয়ার আগে এ বিষয়ে ৪০৯টি সংশোধনী আনেন বিরোধী দলের ৫ সদস্য। প্রত্যেকেই ঢাকা বিমানবন্দরের নাম বদলকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উলেস্নখ বলেন, রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে কিছু না বলা দুঃখজনক। গত ৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন। তখন বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করা হয়নি। পরে কণ্ঠভোটে সংশোধনীগুলো নাকচ হয়ে যায়।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার সমাপনী দিনে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বক্তব্য দেয়ার কথা থাকলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। আরও বক্তব্যে রাখেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি, বিএনপির সাবেক স্পীকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারম্নক।
বিতর্কের সূত্রপাত, ওয়াকআউট ॥ বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারম্নক আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য রাখলে সংসদ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জনাব ফারম্নক বলেন, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার কারণে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। আর এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রধানমন্ত্রীর পুত্র জয়। এ সময় সরকারী দলের সদস্যরা তীব্র ৰোভে ফেটে পড়েন। হৈচৈ ও প্রতিবাদের মুখে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ আরও বলেন, লগি-বৈঠার ফসল ওয়ান ইলেভেন। সাজানো-পাতানো অদ্ভুত নির্বাচনে এই সংসদ। পঞ্চম সংশোধনী করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এখন সুপ্রীমকোর্ট ও বিচারপতিদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করা হলে বলার কিছু নেই।
জয় সম্পর্কে কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্য এক্সপাঞ্জের দাবিতে ৰোভে ফেটে পড়েন সরকারী দলের সদস্যরা। সৈয়দ সাজেদা চৌধুরীসহ সবাই একযোগে দাঁড়িয়ে বক্তব্যটি প্রত্যাহারের দাবি জানাতে থাকেন। নির্ধারিত ৩০ মিনিট শেষ হওয়ার পরও বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ বক্তব্য শেষ না করায় ডেপুটি স্পীকার তাঁর মাইক বন্ধ করে দেন। মাইক বন্ধ করার প্রতিবাদে বিরোধী দলও তীব্র হৈচৈ, ফাইল দিয়ে টেবিল চাপড়িয়ে তার প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিএনপির শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানির চাপেই ৩টা ৪০ মিনিটে ওয়াকআউট করে বিরোধী দল। ওয়াকআউটের সময় ডেপুটি স্পীকার বলেন, নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর নিয়ম মেনেই মাইক বন্ধ করা হয়েছে। এ সময় সরকারী দলের তীব্র দাবির মুখে জয় সম্পর্কে দেয়া কটূক্তিমূলক বক্তব্য স্পীকার এক্সপাঞ্জ করে দিলে পরিস্থিতি শানত্ম হয়।
জবাব দিতে দাঁড়িয়ে সরকারী দলের চীফ হুইপ উপাধ্যৰ আবদুস শহীদ সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে দেয়া মিথ্যা বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জয়ের সঙ্গে তারেকের তুলনা চলে না। গোল্ড আর সিলভার এক নয়। জয় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। আর তারেক রহমান দুর্নীতির কারণে রাজনীতি করবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন। হাওয়া ভবন তৈরি করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। তিনি বলেন, অজুহাত খুঁজে প্রতিদিনই ওয়াকআউট তাদের রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। বিরোধীদলীয় নেত্রী গত ১৪ মাসে মাত্র ৪ দিন সংসদে এসেছেন। এটাই তাদের সংসদ কার্যকরের নমুনা।
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিরোধী দল এ সংসদ চাননি। চেয়েছিলেন ২২ জানুয়ারির ইয়েসউদ্দিন-আজিজ মার্কা পাতানো নির্বাচনের সংসদ। জয়ের সঙ্গে তারেকের তুলনা করা হয়। তারেকের মা নির্বাচনী ফরমে লিখেছেন স্বশিৰিত। আর পুত্রকে লিখতে হবে বহিষকৃত। শামুক কখনও শঙ্খ হয় না। তিনি বলেন, মইন-ফখরম্নদ্দীনরা এখন বিএনপির চৰুশূল হয়েছে। অথচ কতজনকে সুপারসিড করে মইন উ আহমদকে সেনাপ্রধান করেছিলেন এটা খালেদা জিয়াই বেশি জানেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, চোখ বন্ধ করে রাখলেও প্রলয় বন্ধ হয় না। পঞ্চম সংশোধনী মেনে নিলে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না। ইতিহাস বিকৃতির খেলা বন্ধ হবে, ইতিহাস নিয়ে রাজনীতিতে আর প্রতিযোগিতা হবে না। এই রায় সবাই মেনে নিতে বাধ্য। নকল নায়ক নিয়ে সত্য ইতিহাস ঢাকা যায় না। সর্বোচ্চ আদালতের রায়েই প্রমাণ হয়েছে জিয়াউর রহমানের ৰমতা দখল ছিল অবৈধ।
বিএনপির সাবেক স্পীকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক। এটা ঐতিহাসিকভাবে সত্য। শেখ মুজিব ও জিয়াউর রহমান ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস হবে না। সরকারী দলকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক স্বীকার করেন বা না করেন, তাঁকে অপমান করবেন না। সংসদে তাঁর বিরম্নদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত কমিটি গঠন করার প্রতিবাদ জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেন, একটি মহল সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে তৎপর। তারা চায় না দেশ স্থিতিশীল থাকুক। কোন ষড়যন্ত্রই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে পারবে না। দুর্নীতিবাজ, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও টেন্ডারবাজদের নির্মুল করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পাঁচ বছরে এ অঞ্চলে আমরা কার্যত একঘরে হয়ে গিয়েছিলাম। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, সাংবাদিক নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দেশ হিসেবে নেতিবাচক পরিচিত ছিল। এক বছরে মহাজোট সরকার সেই নেতিবাচক পরিচয় থেকে দেশকে বেরিয়ে আনতে পেরেছে। সন্দেহ-অবিশ্বাস দূর করে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক তৈরি করে নতুন দিগন্ত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বিশ্ব সমর্থন আদায়ে সক্ষম হয়েছি।
No comments