বারহাট্টা শান্তি কমিটি গঠন ও তার সেই সব সদস্য- মুক্তিযুদ্ধের ছিন্ন দলিলপত্র-৪৮ by মুনতাসীর মামুন
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ প্রতিহত করার জন্য
গঠন করা হয়েছিল শান্তি কমিটি। কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হওয়ার পর পাকিস্তানী
সেনাদের নিয়ে সারাদেশে শান্তি কমিটি গঠিত হয়।
এদের মূল
কাজ ছিল হানাদারদের সহযোগিতায় লুটপাট করা। আমরা এখনও রাজাকারদের পূর্ণাঙ্গ
তালিকা প্রস্তুত করতে পারিনি। শান্তি কমিটি সম্পর্কেও তেমন তথ্য আমাদের
হাতে নেই। তবে মনে করি শান্তি কমিটি সম্পর্কে একটি তথ্যসমৃদ্ধ বই রচনা হওয়া
দরকার। এ পরিপ্রেৰিতে তথ্য সংগ্রহ করছি। সম্প্রতি নেত্রকোনার বারহাট্টা
শান্তি কমিটি সম্পর্কে কিছু তথ্য পেয়েছি।
বারহাট্টা শান্তি কমিটির প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় ২৮ এপ্রিল ১৯৭১ সালে। তাতে মনে হয় কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের পরই বারহাট্টার দালাল বা পাকিস্তানী বাঙালীরা শান্তি কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। প্রথম সভার কার্যবিবরণী অনুসারে, সভায় আটজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন মৌঃ শামছুদ্দিন ভূঞা। যে আটজন উপস্থিত ছিলেন তাঁরা হলেন আঃ খালেক, মিসবাহউদ্দিন মজুমদার, মফিজুল ইসলাম, শামসুদ্দিন ভূঞা, মতিয়র রহমান মোলস্না, রহমতুল্লাহ, আঃ মজিদ ও মির্জ্জা হোসেন চৌ।
"সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মৌঃ আঃ খালেক সাহেবকে আহ্বায়ক করিয়া নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণকে নিয়া বারহাট্টা থানা শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। সদস্যগণের নাম_
মৌঃ শামছুদ্দিন ভূঞা সদস্য, আব্দুল খালেক আহ্বায়ক, আব্বাস আলী সাঃ সদস্য, সিদ্দা হোসেন চৌ সদস্য
রহমতুলস্নাহ এবং ইহাও সিদ্ধানত্ম গ্রহণ করা হইল যে প্রয়োজন বোধে সদস্য সংখ্যা বর্ধিত করা যাইবে।" কমিটির উদ্দেশ্য নিরূপণ করা হয়_ "দেশের (এলাকার) শানত্মি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা
সমবেতভাবে দুষ্কৃতিকারী দিগকে" প্রতিহত করা ও "তাহাদের খুঁজ (খোঁজ) খবর রাখা, পাকিসত্মানের সংহতি" বজায় রাখা, "দুষ্কৃতিকারীদের ভয়ে ভীত লোকদের মনবল (মনোবল) ফিরাইয়া আনা। দুষ্কৃতিকারীগণ যাহাতে এলাকার যোগাযোগ অসুবিধা সৃষ্টি করিতে না পারে সে দিগে (দিকে) লৰ্য রাখা।"
মনে হয়, ইউনিয়ন অফিসে সভাটি ডাকা হয় এবং ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের উদ্যোগেই কমিটি গঠিত হয়। থানা সার্কেল অফিসার স্বাৰর করে কমিটির স্বীকৃতি দেন। দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয় ১ মে, ১৯৭১ সালে। সেদিন আরও ২০ জন দালালকে কমিটিতে অনত্মভর্ুক্ত করা হয়। বারহাট্টা শানত্মি কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫। এখানে সম্পূর্ণ তালিকা দেয়া হলো_
ক্রমিক নাম পিতার নাম ঠিকানা
১. মৌঃ আঃ খালেক মুক্তার হোসেন বারহাট্টা
২. শামসুদ্দিন ভূঞা মৌঃ জিন্নাতউলস্না গোপালপুর
৩. আব্বাস আলী বছির উদ্দিন বারহাট্টা
৪. মির্জ্জা হোসেন চৌ. তমিজউদ্দিন বারহাট্টা
৫. রহমতুলস্নাহ তৈয়বউদ্দিন গোপালপুর
৬. আঃ জাহেদ মনত্মাজউদ্দিন বিক্রমশ্রী
৭. আঃ হাকিম আঃ আজিজ বামনগাঁও
৮. আঃ ওয়াহেদ আঃ আজিজ হরিতলা
৯. মোফাজ্জল হোসেন মৌঃ উমর আলী বড়ী
১০. আপ্তাবউদ্দিন হাজী আবদুল গোপালপুর
১১. আঃ ওয়ায়েদ ফকির জাহা বংশ্য ছালিডুরা
১২. আঃ মালেক মনকর আলী বারহাট্টা
১৩. মিসবাউদ্দিন মজুমদার সফর উদ্দিন ঐ
১৪. (অস্পষ্ট) আলী আহঃ ইশব আলী গোপালপুর
১৫. আজিজুর রহমান কেরামত আলী কামালপুর
১৬. মফিজুল ইসলাম হাজী ইয়াকুব আলী বারহাট্টা
১৭. আব্দুর রাজ্জাক ই.উ.ঈ. আলী হোসেন আহঃ ঐ
১৮. আবদুর রহমান ভূঞা ইয়ার আলী ঐ
১৯. আঃ ওয়াব আঃ আজিজ বৃশলিকা
২০. মিসবাহউদ্দিন আঃ আজিজ বৃশলিকা
২১. আঃ মজিদ শাহনেওয়াজ বারহাট্টা
২২. আঃ আজিজ মিয়া আঃ ছামাদ গোপালপুর বাজার
২৩. আঃ ওয়ারেছ সিয়াকর গোসিরিয়া
২৪. খোরশেদ আলী ফসিউদ্দিন বিক্রমশ্রী
২৫. সাহিদুর রহমান খান ইমারত খান কামালপুর
সংগ্রহ : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
বারহাট্টা শান্তি কমিটির প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় ২৮ এপ্রিল ১৯৭১ সালে। তাতে মনে হয় কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের পরই বারহাট্টার দালাল বা পাকিস্তানী বাঙালীরা শান্তি কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। প্রথম সভার কার্যবিবরণী অনুসারে, সভায় আটজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন মৌঃ শামছুদ্দিন ভূঞা। যে আটজন উপস্থিত ছিলেন তাঁরা হলেন আঃ খালেক, মিসবাহউদ্দিন মজুমদার, মফিজুল ইসলাম, শামসুদ্দিন ভূঞা, মতিয়র রহমান মোলস্না, রহমতুল্লাহ, আঃ মজিদ ও মির্জ্জা হোসেন চৌ।
"সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মৌঃ আঃ খালেক সাহেবকে আহ্বায়ক করিয়া নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণকে নিয়া বারহাট্টা থানা শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। সদস্যগণের নাম_
মৌঃ শামছুদ্দিন ভূঞা সদস্য, আব্দুল খালেক আহ্বায়ক, আব্বাস আলী সাঃ সদস্য, সিদ্দা হোসেন চৌ সদস্য
রহমতুলস্নাহ এবং ইহাও সিদ্ধানত্ম গ্রহণ করা হইল যে প্রয়োজন বোধে সদস্য সংখ্যা বর্ধিত করা যাইবে।" কমিটির উদ্দেশ্য নিরূপণ করা হয়_ "দেশের (এলাকার) শানত্মি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা
সমবেতভাবে দুষ্কৃতিকারী দিগকে" প্রতিহত করা ও "তাহাদের খুঁজ (খোঁজ) খবর রাখা, পাকিসত্মানের সংহতি" বজায় রাখা, "দুষ্কৃতিকারীদের ভয়ে ভীত লোকদের মনবল (মনোবল) ফিরাইয়া আনা। দুষ্কৃতিকারীগণ যাহাতে এলাকার যোগাযোগ অসুবিধা সৃষ্টি করিতে না পারে সে দিগে (দিকে) লৰ্য রাখা।"
মনে হয়, ইউনিয়ন অফিসে সভাটি ডাকা হয় এবং ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের উদ্যোগেই কমিটি গঠিত হয়। থানা সার্কেল অফিসার স্বাৰর করে কমিটির স্বীকৃতি দেন। দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয় ১ মে, ১৯৭১ সালে। সেদিন আরও ২০ জন দালালকে কমিটিতে অনত্মভর্ুক্ত করা হয়। বারহাট্টা শানত্মি কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫। এখানে সম্পূর্ণ তালিকা দেয়া হলো_
ক্রমিক নাম পিতার নাম ঠিকানা
১. মৌঃ আঃ খালেক মুক্তার হোসেন বারহাট্টা
২. শামসুদ্দিন ভূঞা মৌঃ জিন্নাতউলস্না গোপালপুর
৩. আব্বাস আলী বছির উদ্দিন বারহাট্টা
৪. মির্জ্জা হোসেন চৌ. তমিজউদ্দিন বারহাট্টা
৫. রহমতুলস্নাহ তৈয়বউদ্দিন গোপালপুর
৬. আঃ জাহেদ মনত্মাজউদ্দিন বিক্রমশ্রী
৭. আঃ হাকিম আঃ আজিজ বামনগাঁও
৮. আঃ ওয়াহেদ আঃ আজিজ হরিতলা
৯. মোফাজ্জল হোসেন মৌঃ উমর আলী বড়ী
১০. আপ্তাবউদ্দিন হাজী আবদুল গোপালপুর
১১. আঃ ওয়ায়েদ ফকির জাহা বংশ্য ছালিডুরা
১২. আঃ মালেক মনকর আলী বারহাট্টা
১৩. মিসবাউদ্দিন মজুমদার সফর উদ্দিন ঐ
১৪. (অস্পষ্ট) আলী আহঃ ইশব আলী গোপালপুর
১৫. আজিজুর রহমান কেরামত আলী কামালপুর
১৬. মফিজুল ইসলাম হাজী ইয়াকুব আলী বারহাট্টা
১৭. আব্দুর রাজ্জাক ই.উ.ঈ. আলী হোসেন আহঃ ঐ
১৮. আবদুর রহমান ভূঞা ইয়ার আলী ঐ
১৯. আঃ ওয়াব আঃ আজিজ বৃশলিকা
২০. মিসবাহউদ্দিন আঃ আজিজ বৃশলিকা
২১. আঃ মজিদ শাহনেওয়াজ বারহাট্টা
২২. আঃ আজিজ মিয়া আঃ ছামাদ গোপালপুর বাজার
২৩. আঃ ওয়ারেছ সিয়াকর গোসিরিয়া
২৪. খোরশেদ আলী ফসিউদ্দিন বিক্রমশ্রী
২৫. সাহিদুর রহমান খান ইমারত খান কামালপুর
সংগ্রহ : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
No comments