খোঁজ নেয়া হচ্ছে পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কে কোথায়- শাহাদাতের প্রতিবাদ by শংকর কুমার দে
চারদলীয় জোট সরকারের পুরস্কার ঘোষিত ২৩
শীর্ষ সন্ত্রাসীর মধ্যে এখন কে কোথায় আছে সে ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
নতুন করে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরির উদ্দেশ্যেই তাদের খোঁজ নেয়া
হচ্ছে।
বিদেশে পলাতক অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে
খুন, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো হচ্ছে। ২০০১ সালে জোট
সরকার ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা তৈরি করে। এর মধ্যে ২ জন নিহত হয়েছে।
পিচ্চি হান্নান খুন হয়েছে ক্রসফায়ারে। আলাউদ্দিন গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে।
লিয়াকতের পরিবারের পৰ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তাকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর লোকজন বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তার আর কোন খোঁজখবর নেই।
কালা জাহাঙ্গীর কি মারা গেছে নাকি বেঁচে আছে সে ব্যাপারে কেউ কোন হদিস
দিতে পারছে না। দেশের ভেতরে গ্রেফতার হয়েছে পিচ্চি হেলাল, টিটন, ফ্রিডম
সোহেল, খোরশেদ আলম ওরফে রাশু, কামাল পাশা ওরফে পাশা, মশিউর রহমান কচি,
আব্বাস ওরফে কিলার আব্বাস। বিদেশে গ্রেফতার হয়েছে সুব্রত বাইন। ভারত থেকে
পালিয়ে নেপালে যাওয়ার সময়ে নেপাল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে আমিন রসুল সাগর অবস্থান করছে আমেরিকায়। কানাডায় অবস্থান করছে ইমাম হোসেন। প্রকাশ কুমার বিশ্বাস অবস্থান করছে কলকাতায়। মোলস্না মাসুদ কলকাতায় অবস্থান করছে। শামিম আহমেদও অবস্থান করছে কলকাতায়। হারিস আহেমদ অবস্থান করছে পাকিসত্মানে। তানভিরম্নল ইসলাম জয় অবস্থান করছে কলকাতায়। জাব্বার মুন্না, জাফর আহমেদ কোথায় অবস্থান করছে সে ব্যাপারে কারও কাছে কোন তথ্য নেই। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয় নগদ টাকা। বিগত ৯ বছর পরও ধরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে কাউকে নগদ টাকা পুরস্কার দেয়া হয়নি। জোট সরকারের সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কেউ কেউ পুরস্কার হিসেবে নগদ টাকা প্রদানের দাবিদার হয়েছেন। দীর্ঘদিনের পুরনো শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকাটি নিয়ে মাঝে মধ্যেই জটিলতা দেখা দিচ্ছে।
স্বরাষ্ট্্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বুধবার বলেছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একটি নতুন তালিকা তৈরি করে তা প্রকাশ করা হবে। এর আগে তিনি যে ৪২ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা প্রকাশ করেছেন তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। প্রকাশ করা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে অনেকে মারা গেছে, অনেকে সন্ত্রাসী না হয়েও শীর্ষ সন্ত্রাসী হয়ে গেছে। আবার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অনেকে তালিকার বাইরে রয়ে গেছে। জোট সরকার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করার পর ৯ বছর পার হয়ে গেছে। বিগত ৯ বছরে সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকেই পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সবার নাম জানেনই না। এমনকি পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়ালেও তাঁরা চিনতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ কর্মকর্তারা।
মিরপুরের শাহাদাতের প্রতিবাদ ॥ মিরপুরের শাহাদাত বৃহস্পতিবার বিদেশ থেকে টেলিফোনে তাঁর নাম সন্ত্রাসীর তালিকায় প্রকাশ পাওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সে কোনদিনই সন্ত্রাসী ছিল না। পরিস্থিতির শিকারে পরিণত হয়েছে। কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। সে বলে, 'আমি ভাল হয়ে মুক্ত জীবনে ফিরে আসতে চাই।' সরকারের কাছে সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে তাকে ভাল হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছে।
বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে আমিন রসুল সাগর অবস্থান করছে আমেরিকায়। কানাডায় অবস্থান করছে ইমাম হোসেন। প্রকাশ কুমার বিশ্বাস অবস্থান করছে কলকাতায়। মোলস্না মাসুদ কলকাতায় অবস্থান করছে। শামিম আহমেদও অবস্থান করছে কলকাতায়। হারিস আহেমদ অবস্থান করছে পাকিসত্মানে। তানভিরম্নল ইসলাম জয় অবস্থান করছে কলকাতায়। জাব্বার মুন্না, জাফর আহমেদ কোথায় অবস্থান করছে সে ব্যাপারে কারও কাছে কোন তথ্য নেই। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয় নগদ টাকা। বিগত ৯ বছর পরও ধরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে কাউকে নগদ টাকা পুরস্কার দেয়া হয়নি। জোট সরকারের সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কেউ কেউ পুরস্কার হিসেবে নগদ টাকা প্রদানের দাবিদার হয়েছেন। দীর্ঘদিনের পুরনো শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকাটি নিয়ে মাঝে মধ্যেই জটিলতা দেখা দিচ্ছে।
স্বরাষ্ট্্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বুধবার বলেছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একটি নতুন তালিকা তৈরি করে তা প্রকাশ করা হবে। এর আগে তিনি যে ৪২ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা প্রকাশ করেছেন তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। প্রকাশ করা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে অনেকে মারা গেছে, অনেকে সন্ত্রাসী না হয়েও শীর্ষ সন্ত্রাসী হয়ে গেছে। আবার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অনেকে তালিকার বাইরে রয়ে গেছে। জোট সরকার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করার পর ৯ বছর পার হয়ে গেছে। বিগত ৯ বছরে সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকেই পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সবার নাম জানেনই না। এমনকি পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়ালেও তাঁরা চিনতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ কর্মকর্তারা।
মিরপুরের শাহাদাতের প্রতিবাদ ॥ মিরপুরের শাহাদাত বৃহস্পতিবার বিদেশ থেকে টেলিফোনে তাঁর নাম সন্ত্রাসীর তালিকায় প্রকাশ পাওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সে কোনদিনই সন্ত্রাসী ছিল না। পরিস্থিতির শিকারে পরিণত হয়েছে। কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। সে বলে, 'আমি ভাল হয়ে মুক্ত জীবনে ফিরে আসতে চাই।' সরকারের কাছে সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে তাকে ভাল হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছে।
No comments