পুঁজিবাজারে বেড়েছে বিদেশী বিনিয়োগ
নতুন বছরে দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ বেড়েছে। জানুয়ারি মাস শেষে
বিদেশীদের নিট বিনিয়োগ ছিল প্রায় ১০০ কোটি টাকা, যা বিগত ৯ মাসের মধ্যে
সর্বোচ্চ।
বেড়েছে মোট লেনদেনও। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্ভিল্যান্স বিভাগ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ডিএসই থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডিএসইর মোট
লেনদেনের ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ ছিল বিদেশী বিনিয়োগকারীদের দখলে। মাসটিতে
বিদেশী বিনিয়োগকারীরা মোট ১৭৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেন। এর
মধ্যে ১৩৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়ের বিপরীতে বিক্রয় ছিল ৩৬ কোটি
৭৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ মাসটিতে নিট বিনিয়োগ ছিল ৯৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা গত
বছরের এপ্রিল মাসের পর এ বাজারের জন্য সর্বোচ্চ।
গত বছরের অর্থাৎ ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে বিদেশীদের নিট বিনিয়োগ ছিল ১৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ওই মাসে ১৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়ের বিপরীতে বিদেশীদের শেয়ার বিক্রয় ছিল ৬০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। একই সময়ে মোট লেনদেন ছিল ২৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
অবশ্য এপ্রিলের পর পরবর্তী আট মাস বিদেশী বিনিয়োগের েেত্র কিছুটা মন্দা দেখা দেয়। তবে এ মন্দায়ও বিদেশীদের শেয়ার বিক্রির তুলনায় ক্রয়ের পরিমাণ বেশি ছিল। মে মাসে বিদেশীরা বিক্রির তুলনায় ৯৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার বেশি ক্রয় করেন। মোট লেনদেন দাঁড়ায় ১৯৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা। যার মধ্যে ক্রয় ১৪৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা এবং বিক্রয় ৪৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
জুন মাসে মোট লেনদেন কমে ৬৯ কোটি দুই লাখ টাকায় নেমে আসে। আর এ মাসেও বিদেশীদের নিট বিনিয়োগ অর্থাৎ বিক্রির তুলনায় ক্রয় ১৭ কোটি ১২ লাখ টাকা বেশি ছিল। এ সময় ৪৩ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়ের বিপরীতে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বিক্রি করেন ২৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার।
জুলাই মাসে বিদেশীদের লেনদেন ফের বৃদ্ধি পায়। তবে এ মাসে মোট লেনদেন ৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেলেও নিট বিনিয়োগ বাড়ে মাত্র ৫১ লাখ টাকা। মাস শেষে বিদেশীদের মোট লেনদেন দাঁড়ায় ১৩৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং নিট বিনিয়োগ দাঁড়ায় ১৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। পরের মাস অর্থাৎ আগস্টে নিট বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় তবে কমে যায় মোট লেনদেন। মাসটিতে বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর মোট লেনদেন হয় ৬৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
সেপ্টেম্বর মাসে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের লেনদেন ও নিট বিনিয়োগ চিত্রে। মাসটিতে বিদেশীদের মোট লেনদেন দাঁড়ায় ২৪৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ক্রয়ের পরিমাণ ১৬৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং বিক্রি ৮২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ নিট বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৮৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
পরের মাসে অর্থাৎ অক্টোবরে মোট লেনদেন কমে দাঁড়ায় ১১৯ কোটি ২৯ লাখ টাকায়। আর বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৬৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পরবর্তী দুই মাস নভেম্বর ও ডিসেম্বরে মোট লেনদেন আগের মাসের তুলনায় বৃদ্ধি পায়। তবে কমে যায় নিট লেনদেন। এর মধ্যে নভেম্বরে মোট লেনদেন হয় ১৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আর নিট বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৫১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
ডিসেম্বরে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা মোট লেনদেন করেন ১৬৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার। মাসটিতে নিট বিনিয়োগ আগের মাসের তুলনায় আট কোটি টাকার মতো কমে দাঁড়ায় ৪৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন পরে নানামুখী পদেেপ বর্তমানে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল আচরণ করছে। বাজারে তারল্য বৃদ্ধির সাথে বিনিয়োগকারীদের আস্থা সঙ্কটও কাটতে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে শিগগিরই বিদেশী লেনদেন বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশীয় লেনদেনও বৃদ্ধি পাবে।
গত বছরের অর্থাৎ ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে বিদেশীদের নিট বিনিয়োগ ছিল ১৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ওই মাসে ১৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়ের বিপরীতে বিদেশীদের শেয়ার বিক্রয় ছিল ৬০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। একই সময়ে মোট লেনদেন ছিল ২৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
অবশ্য এপ্রিলের পর পরবর্তী আট মাস বিদেশী বিনিয়োগের েেত্র কিছুটা মন্দা দেখা দেয়। তবে এ মন্দায়ও বিদেশীদের শেয়ার বিক্রির তুলনায় ক্রয়ের পরিমাণ বেশি ছিল। মে মাসে বিদেশীরা বিক্রির তুলনায় ৯৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার বেশি ক্রয় করেন। মোট লেনদেন দাঁড়ায় ১৯৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা। যার মধ্যে ক্রয় ১৪৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা এবং বিক্রয় ৪৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
জুন মাসে মোট লেনদেন কমে ৬৯ কোটি দুই লাখ টাকায় নেমে আসে। আর এ মাসেও বিদেশীদের নিট বিনিয়োগ অর্থাৎ বিক্রির তুলনায় ক্রয় ১৭ কোটি ১২ লাখ টাকা বেশি ছিল। এ সময় ৪৩ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়ের বিপরীতে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বিক্রি করেন ২৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার।
জুলাই মাসে বিদেশীদের লেনদেন ফের বৃদ্ধি পায়। তবে এ মাসে মোট লেনদেন ৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেলেও নিট বিনিয়োগ বাড়ে মাত্র ৫১ লাখ টাকা। মাস শেষে বিদেশীদের মোট লেনদেন দাঁড়ায় ১৩৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং নিট বিনিয়োগ দাঁড়ায় ১৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। পরের মাস অর্থাৎ আগস্টে নিট বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় তবে কমে যায় মোট লেনদেন। মাসটিতে বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর মোট লেনদেন হয় ৬৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
সেপ্টেম্বর মাসে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের লেনদেন ও নিট বিনিয়োগ চিত্রে। মাসটিতে বিদেশীদের মোট লেনদেন দাঁড়ায় ২৪৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ক্রয়ের পরিমাণ ১৬৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং বিক্রি ৮২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ নিট বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৮৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
পরের মাসে অর্থাৎ অক্টোবরে মোট লেনদেন কমে দাঁড়ায় ১১৯ কোটি ২৯ লাখ টাকায়। আর বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৬৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পরবর্তী দুই মাস নভেম্বর ও ডিসেম্বরে মোট লেনদেন আগের মাসের তুলনায় বৃদ্ধি পায়। তবে কমে যায় নিট লেনদেন। এর মধ্যে নভেম্বরে মোট লেনদেন হয় ১৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আর নিট বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৫১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
ডিসেম্বরে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা মোট লেনদেন করেন ১৬৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার। মাসটিতে নিট বিনিয়োগ আগের মাসের তুলনায় আট কোটি টাকার মতো কমে দাঁড়ায় ৪৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন পরে নানামুখী পদেেপ বর্তমানে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল আচরণ করছে। বাজারে তারল্য বৃদ্ধির সাথে বিনিয়োগকারীদের আস্থা সঙ্কটও কাটতে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে শিগগিরই বিদেশী লেনদেন বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশীয় লেনদেনও বৃদ্ধি পাবে।
No comments