২ মাসের সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ বাড়েনি- আরব আমিরাতে ধরপাকড় শুরু by মনির হোসেন
সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) অবৈধভাবে অবস্থানকারী বাংলাদেশীসহ বিদেশী শ্রমিকদের সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৪ ফেব্রুয়ারি।
এ
সময়ের মধ্যে ২২ হাজার শ্রমিক আউটপাস সংগ্রহ করে দেশে ফেরার সুযোগ
নিয়েছেন। এর পর থেকেই ইউএই পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু হয়।
দেশটির সিআইডি পুলিশ ও ইমিগ্রেশন রাস্তার মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে
শ্রমিকদের কাগজপত্র তল্লাশি করছে। আর এই তল্লাশি অভিযানে টার্গেট শুধু
বাংলাদেশীরা। শুধু চেকপোস্ট নয়, যারা দেশে ফিরতে আউটপাস সংগ্রহের জন্য
ইমিগ্রেশনে যাচ্ছেন তাদেরও গ্রেফতার করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে
ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত রাতে দুবাইয়ের শারজাহ এলাকা থেকে আব্দুস সালাম সাকিল নয়া দিগন্তকে বলেন, ইউএই সরকারের সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরদিন থেকেই অবৈধ শ্রমিক আটকের জন্য ধরপাকড় শুরু হয়েছে। তাদের এই তল্লাশি অভিযান রাস্তার মোড়ে মোড়ে একই সাথে বাসাবাড়িতেও চলছে। রাত দিন সমানে চলছে অভিযান। তার হিসাবে গত দুই দিনে শারজাহ এলাকা থেকেই সিআইডি পুলিশ ২৬৫ জন অবৈধ বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। পুলিশের পাশাপাশি মিউনিসিপ্যালটির কর্মকর্তারাও ফ্যাট বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী এক রুমে চারজনের বেশি পেলেই জরিমানা করছে। আর যাদের বৈধতা নেই (আকামা) তাদের তুলে দেয়া হচ্ছে পুলিশের হাতে। এভাবে গত এক সপ্তাহে কয়েক হাজার শ্রমিক পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এখন জেলে রয়েছেন। তিনি বলেন, অনেক অবৈধ শ্রমিক মনে করেছিলেন, ইউএই সরকার সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ ৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার পর আবার নতুন করে সময় বাড়াবে। কিন্তু ইউএই সরকার নির্ধারিত সময়ের একদিনও আর না বাড়ানোয় বিপাকে পড়েন অনেকেই। তার পরও অনেকেই আউটপাস নিতে ইউএই ইমিগ্রেশনে গিয়ে আটক হন। সর্বশেষ আউটপাসের জন্য ফিংগারপ্রিন্ট নিতে ইমিগ্রেশনে ডেকে নিয়ে ২০০ শ্রমিককে আটক করে কারাগারে পাঠায়।
উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর ইউএই সরকার অবৈধভাবে অবস্থানকারী বাংলাদেশসহ বিদেশী শ্রমিকদের দেশত্যাগে দুই মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। এ সময়ের মধ্যে যারা স্বেচ্ছায় দেশ ত্যাগ করবে তারা ছয় মাস পর আবার ইউএইতে ফিরে আসতে পারবে বলে ঘোষণা দেয়। এ ক্ষেত্রে কোনো জেল জরিমানা হবে না। এই প্রক্রিয়ায় দেশ ত্যাগে উদ্বুদ্ধ করতে দেশটির সরকার পুরো ইউএইতে ৩৭টি ক্যাম্প অফিস স্থাপন করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন মসজিদে খুতবার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণাও চালায়। এরই অংশ হিসেবে অবৈধভাবে অবস্থানকারী প্রায় ২২ হাজার বাংলাদেশী কর্মী আউটপাসে দেশে চলে এসেছেন বলে ইউএইতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের দেয়া তথ্যে জানা যায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে আরো জানা গেছে, ২২ হাজার শ্রমিক আউটপাসে দেশে ফেরত এলেও বর্তমানে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিক দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। এর মধ্যে অনেকে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে কারাগারে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। গ্রেফতার হওয়া শ্রমিকদের অনেকেই দেশটিতে হকারি, মোবাইল ফ্যাক্সিলোড করে দিনযাপন করছিলেন। জানা গেছে এসব শ্রমিকের বেশির ভাগ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে পাড়ি জমিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বাধ্য হয়ে তারা বাঁচার তাগিদে এসব আইন বিরুদ্ধ ব্যবসায়কে বেছে নিয়েছেন।
ইউএই-তে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল কাউনাইন গত সপ্তাহে নয়া দিগন্তকে বলেন, ইউএই সরকার অবৈধ শ্রমিকদের দুই মাসের সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তার পরও আমরা কিছুটা সময় বাড়ানো যায় কি না সে ব্যাপারে ইমিগ্রেশনে চিঠি লিখেছি। কিন্তু এ ব্যাপারে তারা এখনো কিছু জানায়নি।
দুবাই থেকে আবদুল্লাহ আল সাহিন গত রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, আবুধাবি, শারজাহ এলাকার মতো দুবাইয়েও ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু হয়েছে। এক কথায় বাংলাদেশীরা এখন রয়েছে মহা আতঙ্কে। তার মতে, সম্ভবত চলতি মাসের শেষ দিকেই ইউএই সরকার বাংলাদেশ থেকে নতুন করে আবারো শ্রমিক আমদানি শুরু করতে পারে। সেই ল্েয ধরপাকড় অভিযান ব্যাপকভাবে শুরু করেছে দেশটির সিআইডি ও ইমিগ্রেশন পুলিশ। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাস্তার চেকপোস্টে ধরপাকড় অভিযানে ভারত ও শ্রীলঙ্কার শ্রমিকেরা থাকলেও শুধু বাংলাদেশীদের টার্গেট করে তল্লাশি করা হচ্ছে। দেশটিতে বাংলাদেশী শ্রমিক এখন সবচেয়ে বেশি। এ কারণেই তারা টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক বেগম ছামসুন্নাহারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, ইউএই সরকার সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ বাড়াবে এমন কথা আমি এখনো শুনিনি। ধরপাকড় অভিযান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
গত রাতে দুবাইয়ের শারজাহ এলাকা থেকে আব্দুস সালাম সাকিল নয়া দিগন্তকে বলেন, ইউএই সরকারের সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরদিন থেকেই অবৈধ শ্রমিক আটকের জন্য ধরপাকড় শুরু হয়েছে। তাদের এই তল্লাশি অভিযান রাস্তার মোড়ে মোড়ে একই সাথে বাসাবাড়িতেও চলছে। রাত দিন সমানে চলছে অভিযান। তার হিসাবে গত দুই দিনে শারজাহ এলাকা থেকেই সিআইডি পুলিশ ২৬৫ জন অবৈধ বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। পুলিশের পাশাপাশি মিউনিসিপ্যালটির কর্মকর্তারাও ফ্যাট বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী এক রুমে চারজনের বেশি পেলেই জরিমানা করছে। আর যাদের বৈধতা নেই (আকামা) তাদের তুলে দেয়া হচ্ছে পুলিশের হাতে। এভাবে গত এক সপ্তাহে কয়েক হাজার শ্রমিক পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এখন জেলে রয়েছেন। তিনি বলেন, অনেক অবৈধ শ্রমিক মনে করেছিলেন, ইউএই সরকার সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ ৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার পর আবার নতুন করে সময় বাড়াবে। কিন্তু ইউএই সরকার নির্ধারিত সময়ের একদিনও আর না বাড়ানোয় বিপাকে পড়েন অনেকেই। তার পরও অনেকেই আউটপাস নিতে ইউএই ইমিগ্রেশনে গিয়ে আটক হন। সর্বশেষ আউটপাসের জন্য ফিংগারপ্রিন্ট নিতে ইমিগ্রেশনে ডেকে নিয়ে ২০০ শ্রমিককে আটক করে কারাগারে পাঠায়।
উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর ইউএই সরকার অবৈধভাবে অবস্থানকারী বাংলাদেশসহ বিদেশী শ্রমিকদের দেশত্যাগে দুই মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। এ সময়ের মধ্যে যারা স্বেচ্ছায় দেশ ত্যাগ করবে তারা ছয় মাস পর আবার ইউএইতে ফিরে আসতে পারবে বলে ঘোষণা দেয়। এ ক্ষেত্রে কোনো জেল জরিমানা হবে না। এই প্রক্রিয়ায় দেশ ত্যাগে উদ্বুদ্ধ করতে দেশটির সরকার পুরো ইউএইতে ৩৭টি ক্যাম্প অফিস স্থাপন করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন মসজিদে খুতবার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণাও চালায়। এরই অংশ হিসেবে অবৈধভাবে অবস্থানকারী প্রায় ২২ হাজার বাংলাদেশী কর্মী আউটপাসে দেশে চলে এসেছেন বলে ইউএইতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের দেয়া তথ্যে জানা যায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে আরো জানা গেছে, ২২ হাজার শ্রমিক আউটপাসে দেশে ফেরত এলেও বর্তমানে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিক দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। এর মধ্যে অনেকে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে কারাগারে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। গ্রেফতার হওয়া শ্রমিকদের অনেকেই দেশটিতে হকারি, মোবাইল ফ্যাক্সিলোড করে দিনযাপন করছিলেন। জানা গেছে এসব শ্রমিকের বেশির ভাগ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে পাড়ি জমিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বাধ্য হয়ে তারা বাঁচার তাগিদে এসব আইন বিরুদ্ধ ব্যবসায়কে বেছে নিয়েছেন।
ইউএই-তে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল কাউনাইন গত সপ্তাহে নয়া দিগন্তকে বলেন, ইউএই সরকার অবৈধ শ্রমিকদের দুই মাসের সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তার পরও আমরা কিছুটা সময় বাড়ানো যায় কি না সে ব্যাপারে ইমিগ্রেশনে চিঠি লিখেছি। কিন্তু এ ব্যাপারে তারা এখনো কিছু জানায়নি।
দুবাই থেকে আবদুল্লাহ আল সাহিন গত রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, আবুধাবি, শারজাহ এলাকার মতো দুবাইয়েও ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু হয়েছে। এক কথায় বাংলাদেশীরা এখন রয়েছে মহা আতঙ্কে। তার মতে, সম্ভবত চলতি মাসের শেষ দিকেই ইউএই সরকার বাংলাদেশ থেকে নতুন করে আবারো শ্রমিক আমদানি শুরু করতে পারে। সেই ল্েয ধরপাকড় অভিযান ব্যাপকভাবে শুরু করেছে দেশটির সিআইডি ও ইমিগ্রেশন পুলিশ। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাস্তার চেকপোস্টে ধরপাকড় অভিযানে ভারত ও শ্রীলঙ্কার শ্রমিকেরা থাকলেও শুধু বাংলাদেশীদের টার্গেট করে তল্লাশি করা হচ্ছে। দেশটিতে বাংলাদেশী শ্রমিক এখন সবচেয়ে বেশি। এ কারণেই তারা টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক বেগম ছামসুন্নাহারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, ইউএই সরকার সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ বাড়াবে এমন কথা আমি এখনো শুনিনি। ধরপাকড় অভিযান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
No comments