যুদ্ধাপরাধী, খুনী জামায়াত শিবির চক্রকে প্রতিহত করুন- রাজশাহীতে বিশাল জনসভায় মোহাম্মদ নাসিম
সাবেক স্বরাষ্ট্র, ডাক ও
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য
মোহাম্মদ নাসিম একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী, খুনী জামায়াত-শিবির চক্রকে
সামাজিকভাবে প্রতিহত করার জন্য দেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান
জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলেই
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই। শীঘ্রই যুদ্ধাপরাধের বিচারের আইনী
প্রক্রিয়া শুরু হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীর সাহেব বাজারে 'একাত্তরের
ঘাতক জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং
বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোটের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে' দেশব্যাপী
সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায়
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে জনসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মিসেস আকতার জাহান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংরতি মহিলা সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার, রাজশাহী মহানগরীর সহসভাপতি মীর ইকবাল, যুগ্ম সম্পাদক নওশের আলী, বোয়ালিয়া থানার সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান কালু, মতিহার থানার সম্পাদক মনিরুল ইসলাম টিটো, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ইসমত আরা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাইমুল হুদা রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভা পরিচালনা করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্য শফিকুর রহমান বাদশা।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেশের সকল মানুষ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। একমাত্র বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বিচার চান না। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারের রায় কার্যকর হওয়ায় দেশের সকল মানুষ খুশি হলেও বেগম খালেদা জিয়া খুশি হননি। শোকাবহ ওই দিন তিনি ঘটা করে জন্মদিন পালন করেন। কারণ তাঁর স্বামী জেনারেল জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিদেশে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসন করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, বেগম খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে যান না। কিন্তু হুমকি দেন। ১৯৭০ সালের পর নজিরবিহীন নিরপে নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ তার হুমকিতে ভয় পায় না। তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একাত্তরের ঘাতকরা আমার ভাই ফারুককে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আজ ফারুকের রক্তে রঞ্জিত। ঘাতকদের বিরুদ্ধে যখন সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে তখন বেগম খালেদা জিয়া হুমকি দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ কারও হুমকিতে ভীত নয়, হুমকি দিয়ে আওয়ামী লীগকে ভয় দেখানো যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে এরশাদ শিকদারের মতো কুখ্যাত খুনীদের গ্রেফতার করে বিচারের ব্যবস্থা করেছিলাম। তখন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও কাউকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়নি। অথচ বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার আমলে জঙ্গী সন্ত্রাসী সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা হয়েছিল। দেশে ক্রসফায়ারের রেওয়াজ সৃষ্টি করা হয়েছে। জঙ্গী বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে রাজশাহী থেকে সারাদেশে বোমাবাজিসহ সন্ত্রাসের রামরাজত্ব সৃষ্টি করা হয়েছিল। চারদলীয় জোট সরকারের স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী বাবরকে আপনারা সবাই চেনেন। ওই বাবর জঙ্গীদের দিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়াকে হত্যা করিয়েছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। তার কী পরিণতি হয়েছে আপনারা জানেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেখে এলাম বঙ্গবন্ধু সেতু ও সিরাজগঞ্জ হয়ে রাজশাহীতে গ্যাস আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এসে রাজশাহীর ঘরে ঘরে গ্যাস পৌঁছে দেবেন। গ্যাস দিয়ে, উন্নয়নের মাধ্যমে রাজশাহী সমৃদ্ধ বিভাগে পরিণত হবে। শেখ হাসিনা দেশকে গৃহযুদ্ধের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। তাঁর শাসনামলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে না। সারের জন্য কৃষককে আন্দোলন করতে হয় না। গুলিবিদ্ধ হতে হয় না। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষকদের কল্যাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জামানত ছাড়াই কৃষকরা কৃষি ঋণ পাচ্ছে। নগদ সহায়তাও পাচ্ছে। ন্যাশনাল সার্ভিসের মাধ্যমে সরকার ৭ লাখ বেকারের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে। মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। একইভাবে জাতীয় চার নেতা হত্যারও বিচার হবে। সরকারের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে বিগত এক বছরে কেউ দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেনি। আমাদের ভুলভ্রান্তি হতে পারে। সেগুলো আপনারা মাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কারণ ভুল হয় না ফেরেশতা আর শয়তানের। শেখ হাসিনা কখনও বাংলার মানুষের সঙ্গে বেইমানি করতে পারবেন না।
সভাপতির বক্তব্যে রাজশাহীর মেয়র লিটন বলেন, রাজশাহীর মানুষ জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে। একাত্তরের গণহত্যার মতো হুঙ্কার দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তাদের অবগতির জন্য বলতে চাই, আমরাও ঘরে বসে থাকব না। জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় তা আমাদের জানা আছে। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী রাজনীতি উৎখাত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করবই।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে জনসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মিসেস আকতার জাহান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংরতি মহিলা সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার, রাজশাহী মহানগরীর সহসভাপতি মীর ইকবাল, যুগ্ম সম্পাদক নওশের আলী, বোয়ালিয়া থানার সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান কালু, মতিহার থানার সম্পাদক মনিরুল ইসলাম টিটো, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ইসমত আরা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাইমুল হুদা রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভা পরিচালনা করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্য শফিকুর রহমান বাদশা।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেশের সকল মানুষ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। একমাত্র বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বিচার চান না। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারের রায় কার্যকর হওয়ায় দেশের সকল মানুষ খুশি হলেও বেগম খালেদা জিয়া খুশি হননি। শোকাবহ ওই দিন তিনি ঘটা করে জন্মদিন পালন করেন। কারণ তাঁর স্বামী জেনারেল জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিদেশে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসন করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, বেগম খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে যান না। কিন্তু হুমকি দেন। ১৯৭০ সালের পর নজিরবিহীন নিরপে নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ তার হুমকিতে ভয় পায় না। তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একাত্তরের ঘাতকরা আমার ভাই ফারুককে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আজ ফারুকের রক্তে রঞ্জিত। ঘাতকদের বিরুদ্ধে যখন সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে তখন বেগম খালেদা জিয়া হুমকি দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ কারও হুমকিতে ভীত নয়, হুমকি দিয়ে আওয়ামী লীগকে ভয় দেখানো যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে এরশাদ শিকদারের মতো কুখ্যাত খুনীদের গ্রেফতার করে বিচারের ব্যবস্থা করেছিলাম। তখন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও কাউকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়নি। অথচ বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার আমলে জঙ্গী সন্ত্রাসী সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা হয়েছিল। দেশে ক্রসফায়ারের রেওয়াজ সৃষ্টি করা হয়েছে। জঙ্গী বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে রাজশাহী থেকে সারাদেশে বোমাবাজিসহ সন্ত্রাসের রামরাজত্ব সৃষ্টি করা হয়েছিল। চারদলীয় জোট সরকারের স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী বাবরকে আপনারা সবাই চেনেন। ওই বাবর জঙ্গীদের দিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়াকে হত্যা করিয়েছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। তার কী পরিণতি হয়েছে আপনারা জানেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেখে এলাম বঙ্গবন্ধু সেতু ও সিরাজগঞ্জ হয়ে রাজশাহীতে গ্যাস আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এসে রাজশাহীর ঘরে ঘরে গ্যাস পৌঁছে দেবেন। গ্যাস দিয়ে, উন্নয়নের মাধ্যমে রাজশাহী সমৃদ্ধ বিভাগে পরিণত হবে। শেখ হাসিনা দেশকে গৃহযুদ্ধের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। তাঁর শাসনামলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে না। সারের জন্য কৃষককে আন্দোলন করতে হয় না। গুলিবিদ্ধ হতে হয় না। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষকদের কল্যাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জামানত ছাড়াই কৃষকরা কৃষি ঋণ পাচ্ছে। নগদ সহায়তাও পাচ্ছে। ন্যাশনাল সার্ভিসের মাধ্যমে সরকার ৭ লাখ বেকারের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে। মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। একইভাবে জাতীয় চার নেতা হত্যারও বিচার হবে। সরকারের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে বিগত এক বছরে কেউ দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেনি। আমাদের ভুলভ্রান্তি হতে পারে। সেগুলো আপনারা মাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কারণ ভুল হয় না ফেরেশতা আর শয়তানের। শেখ হাসিনা কখনও বাংলার মানুষের সঙ্গে বেইমানি করতে পারবেন না।
সভাপতির বক্তব্যে রাজশাহীর মেয়র লিটন বলেন, রাজশাহীর মানুষ জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে। একাত্তরের গণহত্যার মতো হুঙ্কার দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তাদের অবগতির জন্য বলতে চাই, আমরাও ঘরে বসে থাকব না। জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় তা আমাদের জানা আছে। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী রাজনীতি উৎখাত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করবই।
No comments